বৃহস্পতিবার রাত ৯:৩৮, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২রা মে, ২০২৪ ইং

ভ্রমণপিপাসুদের ১৭তম বনভোজন: তিতাস নদীর পূর্বপাড়

৪৩৪ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

গতকাল ছিল আমা‌দের ভ্রমণপিপাসুদের ১৭তম বনভোজন/চড়ুইভাতি, তিতাস নদীর পূর্বপাড়। দারুন মজা হয়ছে। ঐখানে খাবারের পরে মেয়ে ছেলেদের খেলা, গান, নাচ, কুইজ, লটারি সব শেষে নৌকা ভ্রমণ। এক কথায় এত সুন্দর পরিবেশে আমাকে মুগ্ধ করেছে।

আশিকের প্রতিভা দেখে আমি খুব খুশি। ও একসাথে এতগুলো পুরস্কার পেয়েছে কুইজ প্রতিযোগিতায়। তাহুমনি সাফার ছবি তুলা আর পাগলামি আমার কাছে খুব ভাল লাগে। না খেয়ে শুধু ডবল কলা খেয়ে মেয়ে ছবি তুলার জন্য পাগল। মীমের ফ্যাশন এবং মিট মিট করে হাসি চুপ থাকা আমার কাছে ভাল লাগে।

তাহু পাগলিটা বট গাছে ছোট ডালে উঠে বসে রইছে আমি মনে করে ছিলাম বট গাছে কোন লাল পরী বসে আছে কি না। আর সাফা পাগলি তো একটা কলা নিয়ে আমার মুখে দিয়ে বলে কলিজা খাওয়া কত মিষ্টি করে মেয়েটা আমাকে কলিজা ডাকে ও চঞ্চলতা আমাকে পাগল করে তুলে সারাক্ষণ।

ফাহিমের কথা তো আর বলতে হয় ওকে দিয়ে তো সব কাজ করানো যাই এবং সবাই কে মন থেকে নিজের মত করে খুব ভালবাসে তবো অনেক বকা শুনতে হয় ঠিক আমার মত। রিফাত তো অনেক কাজ করে তবো তার মুখে হাসি লেগে থাকে।

অনিক খুব পরিশ্রমী ছেলে খুব কষ্ট করে ভ্রমণ পিপাসুর জন্য তার কাছে বেশি ভাগ দ্বায়িত থাকে তবো অভি দমক শুনতে হয়। আবার অভি থাকে অনেক ভালো ও বাসে খুব। সাহাদাত খুব চমৎকার অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

আসিফ ভাই এবং তার স্কুলের ম্যাডাম স্যারদের কে নিয়ে গানের অনুষ্ঠানটা সুন্দর করে তুলেছেন। আমি ফাকেঁ দিয়ে অভি কে লাভ করে দিলাম লটারি বিক্রি করে আসিফ ভাই এবং তার দলবলদের কাছে এক প্রকার জোর করে দিলাম আসিফ ভাই অবশ্যই একবার বলার পর হাসি মুখে নিয়ে নিল আর আমি এত গুলো নিব আমি আগে জানলে বাড়ি থেকে বেশি করে টাকা নিয়ে আসতাম। কিন্তু টাকা কম তা ও ২০০ টাকা নিয়ে নিলাম তারপর ম্যাডামদের পালা মুন্নি ম্যডাম লাল ম্যাডাম।

লাল ম্যাডাম মানে লাল জামা পরা ছিল তাই তাদের কে দিলাম ৫০ / ১০০ টাকা করে। পরে যখন লটারি লেগে গেল তখন লাল ম্যাডাম তো কি খুশি একেবারে জুরে চিৎকার করে উঠল আমি পেয়ে গেছি আমি মজা লটারি আর আমাকে বলে আপা আপনি জোর করে দিয়ে ভালই তো করেছেন আমি তো পেয়ে গেলাম প্রথম পুরস্কার। আর ভ্রমণে যারা অংশগ্রহণ করেছেন তারা ও অনেক মজা পেয়েছে এবং মজা করেছে। দুঃখিত সবাইর নাম আমার জানা নেই তাই সবার নাম উল্লেখ করতে পারি নাই। আমি আবার সবার জন্য নিজের হাতের বানানো আমের আচাঁর নিয়ে ছিলাম সকলে খেয়ে বলে আচাঁর নাকি খুব মজা হয়েছে।

আমি রিফাত অভি সুব্রত অরো কয়েকজন মিলে খাবার পরিবেশনা করলাম।সবাই কে খাওয়া খাওয়াতে নিজেই খাইতে ভুলে গেলাম। সাফা তাহুমনির জন্য অপেক্ষাই ছিলাম। অভি বার বার বলে ছিল ম্যাডাম আপনি খেয়ে নেন। আমি বলেছি পরে খাব সাফা তাহুমনি আসুক। কিন্তু তাহুমনি তারাহুরা করে কিছু খেয়েছে কিন্তু অামার আর সাফার খাওয়া হল না। সাফা আবার ২টা কলা এক সাথে খেয়ে পেলছে।আমি কলা পেলাম না রিফাতের দ্বায়িতে ছিল কলা সবাই কে দেওয়ার জন্য সে সবাই কে দেওয়া সময় আমি বলে ছিলাম আমাকে একটা দে সে বল আপা সবাই কে দিয়ে অাপনাকে দিব কিন্তু শেষ মুহুর্তে কলা অার নাই। কিভাবে থাকবে সাফা যে ২টা খেয়ে পেলছে মনে হয় আমার ভাগেরটা।

এবার আসি ভ্রমণ পিপাসুর মূল নায়ক তার কথা না বলে গাল ফুলাবে। সে নায়ক হল আমাদের প্রিয় অভি তার মাঝে অনেক গুণ সে একটা লাইব্রেরি চালান দুই ভাইকে নিয়ে। সে আবার টিচার। সারা দিন খুব পরিশ্রম করেন। এত খাটাখাটনির পর ও ভ্রমণ পিপাসু টিম নিয়ে সারা বাংলাদেশে ঘুরেন। সে খুব ভ্রমণ পিপাসু যে খানে নাম শুনবে যে সুন্দর সুন্দর দেখা জায়গা আছে সেখানেতে ছুটে চলে ভ্রমণ পিপাসু দলবল নিয়ে। তার অনেক ভাল গুণ আছে সে সবাই সাথে হাসি খুশি ভাবে চলে।

আর খারাপ দিক হল তার রাগ উঠলে নিজের চুল টানতে থাকে আর দাতঁ কিরমির করে চেহারা কালো হয়ে যাই। আমার জানা মতে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে অনেক সংগঠন আছে বছরে দুই একবার ভ্রমণ করে। কিন্তু ভ্রমণ পিপাসু সারা বছর ভ্রমণ করে। ব্রাহ্মণবাড়িতে আমার দেখা প্রথম ভ্রমণ পিপাসু টিম।

আমি আগে সব সময় ভাবতাম যে আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে কেন এই রকম একটা ভ্রমণের জন্য টিম হয় না শুধু টিভিতে দেখি। সে অাশা আমার পূরণ করেছে ভ্রমণ পিপাসু টিম। অনেক ভালবাসি এই টিমটাকে।

Some text

ক্যাটাগরি: মতামত

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি