শনিবার বিকাল ৩:৩০, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

লঞ্চে যৌন হয়রানি

২১০ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

গত ১৫ই নভেম্বরে লঞ্চে করে বরিশাল যাচ্ছিলাম।হঠাৎ চা খাওয়ার উদ্দেশ্য লঞ্চে ডেকে নামি আর নামতেই চোখ চলে যায় অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনার দিকে!কাঁথা মুড়িয়ে থাকা একটি লোকের হাত বারবার চলে যাচ্ছিলো পাশেই শায়িত ১০-১২ বছর বয়সী এক মেয়ের শরীরে! কিছুক্ষণ দাড়িয়ে লক্ষ্য করলাম দৃশ্যটি!হাতটি একটু পরপর কাঁথার মধ্যে থেকে বের হয়ে বারবার পাশের মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন অংশে হাতাহাতি করছিল!

মেয়েটির সাথে ছিলো তার মা,যিনি ঘুমিয়ে ছিলেন।মেয়েটি ভয়ে কিছু বলতে পারছিলো না। লঞ্চের বেশিরভাগ মানুষই তখন ঘুমিয়ে ছিলো।ঘটনাটি বেশ কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করলাম,আর শরীরের লোম রীতিমতো কেঁপে উঠতে থাকলো।অস্থির হয়ে গেলাম আমি।প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চেষ্টা করছিলাম নিজেকে ঠান্ডা করার।ইতিমধ্যে মেয়েটির মা উঠে ব্যাপারটা বুঝে পাশের অমানুষটিকে বিরবির করে কি যেনো বলে সতর্ক করে দিলো।
আমি তখনও দুর থেকে ফলো করছি আর ভাবছি আজকে এই ঘটনার প্রতিবাদ না করলে নিজেকেও ক্ষমা করতে পারবো না,আর এই মানুষরূপী জানোয়ারটা আরেকদিন অন্য কোনো অসহায় যাত্রীর সাথে একই কাজটা করবে।।এসব ভাবতে ভাবতে খুব দ্রুত ওই জানোয়ারটাকে গিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে শুরু করি(তখনও অমানুষটা ঘুমের ভান ধরে আছে)।যাই হোক মারামারির এক পর্যায়ে পুলিশ চলে আসে,সাথে লঞ্চের স্টাফরাও চিল্লাতে থাকে,আর সেই সাথে পাশের এক মহিলা(সম্ভবত মহিলা লঞ্চের কেউ) ওই মানুষটার পক্ষে অবস্থান করে চিল্লাতে থাকে এই বলে,শুধু শুধু আমি ওর গায়ে হাত তুলছি,হিরোগীরি দেখাতে এসেছি,মেয়েটা আমার কি হয়,মেয়েটা কি আমার কাছে যৌন হয়রানির অভিযোগ করছে কিনা,কোনো ভিডিও বা প্রমান আছে কিনা,কেন পুলিশকে জানাই নি ইত্যাদি ইত্যাদি।তার এসব গলাবাজিতে ভিক্টিম মেয়েটা কিছু বলার সুযোগ পায়নি।আর তখন সবাই আমাকে দোষারোপ করতে লাগলো(বিশেষ করে লঞ্চের স্টাফরা কারন অমানুষ টা ছিলো লঞ্চের স্টাফ)।

যাইহোক আমি একটুখানি নার্ভাস হয়ে ফোন করি লঞ্চে থাকা আমার এক ভাতিজা কে,উনি রেলওেয়ের এ.এস.আই।উনি আসার পর যখন ওনার পরিচয় দেয় তখন অন্যরা ঠান্ডা হয় এবং ভিক্টিম ওই মেয়েটি কথা বলার সুযোগ পায়।ভিক্টিম যখন ঘটনা বলছিল তখন পুলিশ পাশেই ছিলো কিন্তু অমানুষটারে কিছুই বলে নি,তখন আমি আবার গিয়ে এলোপাতাড়ি লাথি মারি অমানুষটারে।পরে বিচার হয়।একজন ভালো পুলিশ অফিসার ছিলো উনি ভিক্টিম মেয়েটির মুখ থেকে সব শুনে অমানুষটারে ধোলাই করে।।

ঘটনা সব শোনার পর এখন অন্যান্য যাত্রীরা আমাকে বাহবা দিচ্ছে(যারা আমার দোষারোপ করছিল তারাও)।

আসলে প্রতিনিয়ত এভাবে লঞ্চে অনেক অসহায় যাত্রী ভুক্তভোগী হয় যাত্রাপথে,যেখানে পুলিশ থাকা স্বত্বেও এসব হচ্ছে।।

 

Some text

ক্যাটাগরি: মতামত

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি