শনিবার রাত ১:৫৪, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশনে বিড়ম্বনা-হয়রানী!!

১৮২ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

দেশের প্রায় ৮০ লক্ষাধিক লোক কর্মসূত্রে বিদেশে প্রবাসী জীবন যাপন করছে। দেশে এসে করোনা মহামারীর কারণে প্রবাসীদের অনেকেই পড়েছেন মহা বিপদে। বিপদের কারণ হলো কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ। ভ্যাকসিন গ্রহণ না করলে তারা দেশ থেকে বিদেশের কর্মস্থলে প্রবেশ করতে পারছেন না।

প্রবাসীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য প্রথম দিকে কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা না থাকার কারণে তারা ভ্যাকসিন গ্রহণে হয়রানীর জন্য রাজধানীসেহ দেশের অনেক জায়গায় বিক্ষোভ করেন। তাদের বিক্ষোভের মুখে লকডাউনের মধ্যেই সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রবাসীদের ভ্যাকসিন গ্রহণের ২ ধরণের পদ্ধতি চালু করে। এরমধ্যে একটি হলো ম্যানুয়েল পদ্ধতি। যা সরাসরি ব্যক্তি বিএমইটি অফিসে গিয়ে খ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশন। অন্যটি হলো এনড্রয়েড অ্যাপ “আমি প্রবাসী” দিয়ে রেজিস্ট্রেশন।

প্রথম দিকে আমি প্রবাসী অ্যাপ দিলে প্রবাসীরা বেশ ভাল ভাবেই ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশন করে ৩০০ টাকা ফি দেয়ার ৭২ ঘন্টার মধ্যে বা তারও পর অনুমোদনের মাধ্যমে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশনের সাইট ”সুরক্ষা” থেকে ভ্যাকসিন কার্ড গ্রহণ করে ভ্যাকসিন নিতে পেরেছেন। বেশ কিছুদিন “আমি প্রবাসী” অ্যাপটির সেবা ভালই ছিল।

কিন্তু সম্প্রতি এ অ্যাপটিতে নানারকম সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ অ্যাপসে রেজিস্ট্রেশনের করে ফি পরিশোধের পর বিএমইটি নাম্বার আসছে না। ফি পরিশোধের পর আবার ফি পরিশোধের ম্যাসেজ শো হচ্ছে।

একাধিক ব্যক্তি এ ধরণের হয়রানীর শিকার হয়েছেন।  এদের মধ্যে কয়েক জনের নাম হলো: মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, রতন জল দাশ। এরা বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতির অংশ হিসাবে ”আমি প্রবাসী” অ্যাপস দিয়ে করোনা ভ্যাকসিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করে যথারীতি ফি পরিশোধ করেছেন। কিন্তু ফি পরিশোধের পর বিএমইটি নাম্বার না এসে আবার ফি পরিশোধের ম্যাসেজ রয়ে গেছে। অথচ তারা অনলাইনে ফি পরিশোধের পর সংশ্লিষ্ট মোবাইল নাম্বারে ট্রান্সজেকশন আইডি এসেছে।

এ বিষয়ে অনেক বার ”আমি প্রবাসী” অ্যাপস-এর কেয়ার নাম্বারে ফোন করলেও সাপোর্টিং টিমের সদস্যরা এ ধরণের সমস্যার কোনো সমাধান দিতে পারছে না। তারা বার বার বলছে অপেক্ষা করতে। কিন্তু কতোদিন যে অপেক্ষা করতে হবে-সে বিষয়ে তারা কোনো জবাব দিতে পারছে না।

এসব সমস্যার শিকার অনেকেই “আমি প্রবাসী” অ্যাপসের সাপোর্টিং ই-মেইলে নাম্বারে ই-মেইলে করেছে। তাতে কোনো সমাধান দিলছে না। ভাল ভাবে সার্ভিস দেয়া একটি অ্যাপসের হঠাৎ এমন অবস্থা দেখে ভুক্তভোগী প্রবাসীরা অবাক হয়েছেন।

প্রশ্ন হলো ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশনের জন্য ফি পরিশোধ করে নানা হয়রানী ও বিড়ম্বনার শিকার ভুক্তভোগী প্রবাসীদের সমস্যা নিরসন হবে কিভাবে?

Some text

ক্যাটাগরি: মতামত

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি