বৃহস্পতিবার বিকাল ৩:৩৪, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২রা মে, ২০২৪ ইং

উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে চায়নার সাথে কেমন হবে তালেবানের সম্পর্ক?

২৫০ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

আফগানিস্তানে বেইজিংয়ের আগ্রহগুলো প্রাথমিক ভাবে অর্থনৈতিক। কারণ এটি বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের সাথে একীভূত হবার বিষয়ে আশাবাদী। চায়না দেশটির বৃহত্তম বিদেশী বিনিয়োগের উৎস এবং এটি আফগানিস্তানের বিশাল প্রাকৃতিক সম্পদের সুবিধা নিতে আগ্রহী।

২০১৯ এর শেষ দিকে আফগানিস্তান এবং তালেবান কর্মকর্তারা বেইজিংয়ে একটি সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন এবং চাইনিজ নেতারা মার্কিন-তালেবান চুক্তিকে সমর্থন করেন। তালেবান মুখপাত্র সুহেল শাহীন বলেছেন, চায়না আফগানিস্তানের ‘বন্ধু’ এবং পুনর্নির্মাণ কাজে বিনিয়োগের বিষয়ে বেইজিংয়ের সাথে কথা বলবে বলে আশাবাদী।

তিনি বলেন, ‘যারা আফগানিস্তানকে অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধে [হামলা চালানোর] সাইট হিসেবে ব্যবহার করতে চায়, আমরা প্রতিশ্রুতি রেখেছি যে আমরা তাদের অনুমতি দেব না। এটি চায়নাসহ যেকোনো দেশের বিরুদ্ধে যেকোনো ব্যক্তি বা সত্তা হোক না কেন।’

চাইনিজ সরকারি মুখপাত্র গ্লোবাল টাইমসের মূল্যায়নটিও গুরুত্বপূর্ণ। এতে বলা হয়েছে, ‘বিশ বছরের যুদ্ধ ও অশান্তির পরে আফগান সরকার এবং তালেবান দু’জনই চায়নাকে বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করে। এটা ভবিষ্যতে আফগান পরিস্থিতিতে ইতিবাচক ভূমিকা নিতে চায়নাকে একটি ভালো ভিত্তি দেবে। চায়না খুব কার্যকর ভাবে তার প্রভাব ব্যবহার করবে।

মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ফলে শূন্যতা পূরণ করতে চায়না আফগানিস্তানে যাবে না। আমেরিকা আফগানিস্তানে জোর করে আক্রমণ করেছিল এবং একেবারে উচ্চাভিলাষী ভাবে এর রূপান্তর ও পুনর্নির্মাণের নেতৃত্ব দেয়ার চেষ্টা করেছিল।

আফগানিস্তানের বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসাবে চায়নার অবস্থান পরিবর্তিত হবে না অথবা আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অ-হস্তক্ষেপের মূল নীতিটিও বদলাবে না। আমরা কেবল আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেব এবং আমরা কখনো আফগানিস্তানে আধিপত্য বিস্তার করতে যাবো না।’

পত্রিকাটিতে আরো বলা হয়, “আফগানিস্তানের অন্তর্নিহিত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে এবং এটি ‘সাম্রাজ্যের কবরস্থান’ হিসাবে ব্যাপক ভাবে বিবেচিত হয়। গত ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই দেশে ব্যর্থতার মুখোমুখি হয়েছিল। চায়না কখনো তাদের পথে আফগানিস্তানে প্রবেশ করবে না এবং এটি নিশ্চিত করবে যে চায়না কখনো সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরে ‘তৃতীয়’ দেশে পরিণত হবে না।”

আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে নানা আশঙ্কা সত্ত্বেও ইতিবাচক অনেক দিক দেখা যাচ্ছে। বিশেষত এর সাথে সংশ্লিষ্ট প্রায় সব দেশই আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা পাক সেটিই কামনা করছে বলে মনে হয়। আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে এর নিষ্পত্তি হলে প্রায় চার দশক ধরে নানাভাবে যুদ্ধের মধ্যে থাকা দেশটিতে শান্তি ফিরে আসার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।

আবার আশঙ্কার বিষয় হলো যারা আফগানিস্তানে হেরে গেছে বলে মনে করছে তারা নতুন কোন ছায়া যুদ্ধে ইন্ধন দিতে শুরু করলে নতুন করে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।

Some text

ক্যাটাগরি: মতামত

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি