ঠাকুরগাঁওয়ে এই প্রথম এলপিজি অটো গ্যাস ও কনভার্সন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। পৌর শহরের ঠাকুরগাঁও রোড বিমানবন্দর সড়কে “সোনার তরী” নামে এ স্টেশনটি স্থাপন করেছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ি মো: মোস্তফা। এ সেন্টারটির পরিবেশক পেট্রোম্যাক্স এলপিজি।
গতকাল বুধবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কনভার্সন সেন্টারটি পুরোপুরি সেবা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রস্তুত। সেখানে ইতিমধ্যে গ্যাসচালিত বেশকিছু যানবাহন এলপিজি গ্যাস সংগ্রহ করেছেন। এছাড়াও বেশ কয়েকটি পেট্রোলচালিত গাড়ি কনভার্সন সেন্টারে এল.পি.জিতে স্থানান্তরের জন্য কাজ চলছে। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে আমরাই প্রথম এলপিজি অটো গ্যাস ও কনভার্সন সেন্টার স্থাপন করলাম। এখন থেকে আর বগুড়া বা ঢাকায় গিয়ে গ্যাস আনতে হবে না। এছাড়াও যে কোন পেট্রোলচালিত গাড়ি এখানে এল.পি.জিতে কনভার্সন করা যাবে। এতে কনভার্সন চার্জ মাসিক কিংবা এককালীন ভিত্তিতে প্রদান করার সুবিধা রয়েছে। এলপিজি অটো গ্যাস ছাড়াও মবিল, গিয়ার অয়েল, ব্রেক অয়েল, গ্রীজ, ডিঃ ওয়াটারসহ বিভিন্ন সার্ভিস চালু রয়েছে।
মাইক্রো চালক সুজন ইসলাম বলেন, আমার মালিকের ২টি গ্যাসচালিত গাড়ি আছে। ইতিপূর্বে বগুড়া বা ঢাকা গেলে বেশি করে গ্যাস নিয়ে আসতাম। গ্যাস শেষ হলে পরে প্রেট্রোল দিয়ে গাড়ি চলাচলে জ্বালানি খরচ বেশি পরতো। ঠাকুরগাঁওয়ে সোনার তরী ষ্টেশন থেকে এখন সহজেই গ্যাস নিতে পারবো। এতে যানবাহন ভাড়াতে খরচ অনেকাংশে কমে আসবে।
মানিক নামে প্রাইভেট কার চালক বলেন, পেট্রোল লিটার প্রতি ৮৭ টাকা। প্রতি লিটারে ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার রাস্তা পারি দেওয়া যায়। সেখানে এক লিটার গ্যাস ৪৫ টাকায় কিনে একই মাইলেজ পাওয়া যায়।
এতে করে জ্বালানী খরচ অনেকাংশে কমে আসবে এবং এটি পরিবেশবান্ধব। ইতিমধ্যে জেলায় প্রচুর পরিমানে গ্যাস চালিত যানবাহন রয়েছে, এখন থেকে ওই যানবাহনগুলো “সোনার তরী” ষ্টেশন থেকে সহজেই গ্যাস সংগ্রহ করতে পারবে। এতে যানবাহনের মালিকগণ আর্থিক দিক থেকে লাভবান ও সাশ্রয়ী হবেন।
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]