মঙ্গলবার সকাল ৯:৪৫, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

সরাইলে তীব্র শীতে জনজীবন জবুথবু: বিপাকে দরিদ্ররা

৪০৬ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

সারাদেশের ন্যায় হাড়-কাঁপানো শীতে কাঁপছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের মানুষ। শীতের তীব্রতায় মানুষের স্বাভাবিক জীবনের ছন্দপতন ঘটেছে। গত তিনদিন ধরে দেরিতে সূর্য উঠায় শ্রমজীবী মানুষ খুবই কষ্ট করছে। তীব্র এই শীতে সব চেয়ে বেশী কষ্ট করছে শিশু ও বয়স্করা।

অসহায়, ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষদের কষ্টের শেষ নেই। তীব্র এই শীতে উচ্চবিত্তের মানুষ বিভিন্ন মার্কেট থেকে গরমের কাপড় কিনলেও মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ ঝুঁকছে ফুটপাতে থাকা অস্থায়ী ও ভাসমান গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। উপজেলার আঞ্চলিক সড়কের ফুটপাতগুলোতে রিকশা ভ্যানের ওপর বসেছে গরম কাপড়ের দোকান। সকাল থেকে শুরু করে রাত ৯টা পর্যন্ত এসব দোকান খোলা থাকে। কম পয়সায় পছন্দের গরম কাপড় দেখে শুনে কিনছেন ক্রেতারা।

সরাইল সদর, উচালিয়াপাড়া মোড়, কালীকচ্ছ সড়ক বাজার, শাহবাজপুর সড়ক, অরুয়াইল বাজার, পাকশিমুল বাজার, সরাইল বিশ্বরোড মোড়সহ অলিতে-গলিতে গরমের কাপড়ের দোকান সাজিয়ে বসেছেন মৌসুমি ব্যবসায়িরা। এসব দোকানে গার্মেন্টেসের তৈরী বিভিন্ন বয়সী মানুষের পোষাক ও বিদেশ থেকে আনা পুরাতন কাপড় বিক্রি করা হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকজন এসে তাদের পছন্দসই কাপড়-চোপড় এসব দোকান থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে বিদেশ থেকে আনা পুরাতন কাপড়ের চাহিদাই বেশী।

বিদেশী পুরাতন কাপড়ের মধ্যে উলের তৈরী জাম্পার, সোয়েটার, টুপি, মাফলার, লেদারের জ্যাকেট,বেøজার, মোটা কাপড়ের তৈরী জ্যাকেটসহ মহিলাদের বিভিন্ন ডিজাইনের পোষাক, বিদেশী কম্বল বিক্রি করা হচ্ছে। তবে শীত পড়ার পর এসব পুরাতন কাপড়ও বেশী মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।

পুরাতন কাপড়ের দোকানে কাপড় কিনতে আসা গৃহিনী শ্যামলী বেগম জানান, তাদের পাঁচ সদস্যের পরিবার। ছেলে ও মেয়ের জন্য অভিজাত দোকান থেকে গরম কাপড় কেনা সম্ভব না। তাই তিনি তার মেয়ের জন্য ২’শত’ টাকায় একটি উলের সোয়েটার ও ৩’শ টাকা দিয়ে একটি জ্যাকেট কিনেছেন। ফুটপাতের দোকানদার শাহআলম মিয়া বলেন, সব শ্রেণি পেশার মানুষ আমাদের কাছে গরম কাপড় কিনতে আসে। ১৫ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত শীতের কাপড় বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে স্যুয়েটার, ট্রাউজার, জ্যাকেট, মাফলার, প্যান্ট, সার্ট ও মোজাসহ হরেক রকমের শীতের কাপড় বিক্রি হচ্ছে। তিনি জানান, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতারই বেশি। সেই সঙ্গে ভ্যান চালক, রিকশা চালক, দিন মজুরসহ হতদরিদ্র ও শীতার্ত মানুষ শীতবস্ত্র কিনছেন।

ফুটপাতের কাপড় বিক্রেতা আজাহার মিয়া জানান, শীত পড়ার পর তাদের ব্যবসা ভালো। তিনি বলেন, স্বল্প আয়ের মানুষগুলোই তাদের মূল ক্রেতা। শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে শীতার্ত মানুষের মাঝে এখন পর্যন্ত শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়নি।

শেখ মোঃ ইব্রাহীম: সহ-সম্পাদক

Some text

ক্যাটাগরি: মতামত

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি