শনিবার দুপুর ১২:২৩, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ ইং

সাড়ে তিন বিঘা জমির ধান ঘরে তুলা হলো না মণিপুরী পরিবারের

৪১৭ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

রাজু দত্ত, মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মাধবপুর ইউনিয়নের বাঘবাড়ি গ্রামে প্রয়াত বলানন্দ সিংহের ১৩৫ শত জমির পাকা আমন ধান কেটে মাড়াইয়ের জন্য বাড়ির উঠানে রাখা হয়েছিল। শুক্রবার গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দিল মণিপুরি পরিবারের ১৩৫ শতক জমির এই কাটা ধান।

খোঁজ নিয়ে গ্রাম সূত্রে জানা যায়, ১৩৫ শতক জমির পাকা আমন ধান ৪ দিনে কেটে পুরুষ শুণ্য প্রয়াত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা বলানন্দ সিংহের বাড়ির আঙিনায় রাখা হয়েছিল। শনিবার এ কাটা ধান মাড়াই দেওয়ার কথা ছিল। শুক্রবার গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়ে মাড়াইর জন্য জমিয়ে রাখা এ কাটা ধান পুড়িয়ে দিল। শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে কৃষি মজুররা ধান মাড়াই করতে মণিপুরি বাড়িতে ্এসে দেখেন জমাটবদ্ধ করে রাখা কাটা ধান ধাউ ধাউ করে জ্বলছে। আসা কৃষি মজুরদের আত্ম চিৎকারের এ বাড়িরসহ প্রতিবেশী মানুষজন ছুটে এসে পানি দিয়ে আগুন নেভান। তবে এর আগে অধিকাংশ ধান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশী অক্ষয় কুমার সিংহ ও জয়লক্ষী সিংহ বলেন, শনিবার ভোরে কৃষি মজুরদের চিৎকার শুনে জেগে দেখেন বলানন্দ সিংহের বাড়ির জমাটবদ্ধ ধান পুড়ছে। তখন এ আগুন নেভাতে তারও এগিয়ে আসেন। বলানন্দ সিংহের মেয়ে মিনতি সিনহা ও পুত্রবধূ ঝর্ণা সিনহা তাদের পরিবারের দুই পুরুষ সদস্য চাকুরির কারণে বাড়ির বাহিড়ে থাকেন। পুরুষ শূণ্য বাড়ি বলে বর্গা চাষী দিয়ে ধান চাষাবাদ করেন। জমির ধান কেটে মাড়াই করতে বাড়িতে এনে রাখা হয়েছিল। দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে সে ধান পুড়িয়ে দিয়েছে।

পরবর্তীতে যদি দুর্বৃত্তরা বাড়িতে আগুন দেয় এই ভেবে এখন আতংকিত রয়েছি। দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে প্রায় ৬০-৭০ মন পাকা ধান পুড়ে গেছে। স্থানীয় ইউ,পি সদস্য রঞ্জিত কুমার সিংহ বলেন সকালে খবর পেয়েই এলাবাসীকে নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে এনেছি, এর আগেই বেশির ভাগ ফসলই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তিনি বলেন পরে খবর পেয়ে মাধবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পুস্প কুমার কানু ও ইউ,পি সদস্য আব্দুল আহাদ শনিবার দুপুরে এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাদেরকে থানায় সাধারণ ডায়েরী করতে পরামর্শ দিয়েছেন। চেয়ারম্যান পুস্প কুমার কানু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এটা একটি নেক্ষার নজক ঘটনা, এ ধরনের ঘটনা আমার ইউনিয়নে পূর্বে আর ঘটে নি। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এবং দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।

কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ হলে তদন্তক্রমে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Some text

ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি