সোমবার দুপুর ১:৪৬, ১৩ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ. ২৭শে মার্চ, ২০২৩ ইং

মেহারী গ্রামের ভট্টাচার্য বাড়ি মহামূল্যবান রাষ্ট্রীয় প্রত্নসম্পদ!

৬৯২ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মেহারী গ্রামের ২৪৪ বছরের পুরনো ‘ভট্টাচার্য বাড়ি’ হতে পারে মহামূল্যবান রাষ্ট্রীয় প্রত্নসম্পদ! এটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিটঘরের দানবীর মহেশ চন্দ্র ভট্টাচার্যের বাড়ি নয়। বরং এটি একই জেলার কসবা উপজেলার মেহারী গ্রামের মহেশ ভট্টাচার্যের বাড়ি। লোকমুখে ‘ভট্টাচার্য বাড়ি’ নামে সমধিক পরিচিত।

গতকাল শনিবার (৩১ অক্টোবর ২০২০) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. আতাউর রহমানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম আচমকা বাড়িটি পরিদর্শন করেন। টিমের সদস্যগণ বাড়ির নির্মাণ শৈলী ও কাঠামোগত দিকগুলো পর্যবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় আলামত ও ছবি তোলে নিয়ে যান। বাড়িটি নিয়ে নতুন করে ভাবনা ও পরিদর্শন বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে ড. আতাউর রহমান বলেন, “প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত পেলে এটিও হতে পারে রাষ্ট্রীয় প্রত্নসম্পদ।”

মেহারী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মোঃ আলী আজ্জম বলেন, ১৯৬৮ সালে আনুমানিক ১০০ বছর বয়সে আমার চাচা হামিদুল্লাহ মুন্সি মারা যান। তাঁর পিতার নাম ছিল সবল্লা মুন্সি। হামিদুল্লাহ মুন্সি বলেন, আমার বয়স যখন ৭/৮ বছর তখনই শুনেছি ভট্টাচার্য বাড়ির এই সুন্দর বিল্ডিং গুলো আরো একশো বছর আগে তৈয়ার করা হয়।তখন গ্রামে আর কোনো বিল্ডিং ছিলনা। মহেশ ভট্টাচার্য অনেকগুলো তালুকের মালিক ছিলেন।

জানা যায়, শিমরাইলের ফাটা বিল, ঘানার চক সহ আরো অনেকগুলো তালুক ছিল তার। তালুকের মালিক হলেও ছিলেন ছোটখাট জমিদার। মহেশ ভট্টাচার্যের আরেক ভাইয়ের নাম ছিল বীরেন্দ্র ভট্টাচার্য। তিনি ক্যালকাটা শহরে মদের ব্যবসা করতেন। কুমিল্লা শহরে এবং ক্যালকাটায় তাদের বাড়ি ছিল। সে সময় কসবা থেকে রেলপথে সপরিবারে তারা ক্যালকাটা আসা-যাওয়া করতেন।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই তারা সপরিবারে মেহারী ছেড়ে ক্যালকাটা চলে যান। তাদের পরিত্যক্ত তালুক,ঘর-বাড়ি আস্তে আস্তে রাঘর বোয়ালদের দখলে চলে যায়।

আমি লেখক হিসেবে সেই নামগুলো উল্লেখ করছি না। তবে অনেকেই এসব সম্পত্তি দখল করে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন বলেও জানান ডাঃ মোঃ আলী আজ্জম। মরহুম হামিদুল্লাহ মুন্সির দেওয়া তথ্যমতে, এই ভট্টাচার্য বাড়ির নির্মাণকাল আনুমানিক ১৭৭৬ এর কিছুকাল আগে পরে। সেই হিসাবে এখন ২০২০ সালে বিল্ডিংটির বয়স প্রায় ২৪৪ বছর!

প্রতিবেদক: এস. এম. শাহনূর

কবি ও আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক

Some text

ক্যাটাগরি: বিবিধ

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

Flirt4free Review: Security, Prices, Models

The Best Chat Room Apps…

Videochat de sexo

Take part in the Finest…

The Fantasy About Ukraine Girls…

The Hidden Treasure Of Costa…

Se corre en su cara

On the web Pokies Modern…

5 Simple Techniques For Portuguese…

The Idiot’s Guide To Sexy…