মঙ্গলবার সকাল ৮:১৫, ১৪ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ. ২৮শে মার্চ, ২০২৩ ইং

৭২ ঘণ্টার মধ্যে রায়হান হত্যাকারীদের গ্রেফতার না করলে হরতাল-অবরোধের হুঁশিয়ারি

৩৮৬ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

রায়হান উদ্দিনের হত্যাকারী পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবরসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে নগরের আখালিয়াবাসী। এর মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করা হলে এলাকাবাসীর উদ্যোগে হরতাল, সড়ক অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

আজ রবিবার দুপুরে নিহত রায়হানের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে এই হুশিয়ারি দেওয়া হয়। এসময় নিহত রায়হানের মা সালমা বেগমের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রায়হানের নিকট আত্মীয় শওকত হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, রায়হান একটি ডাক্তারের চেম্বারে কাজ করতো। কে বা কারা তাকে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে নির্যাতন করা হয়। ভোরে তৌহিদ নামের এক পুলিশ সদস্যের মোবাইল থেকে রায়হান ফোন করে বলে তাকে বাঁচাতে, ১০ হাজার টাকা নিয়ে থানায় যেতে। ভোরে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে গেলে রায়হানের চাচাকে দেখা করতে না দিয়ে সকালে আসতে বলেন। সকালে গেলে রায়হানের শরীর খারাপ করেছে বলে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানায়। হাসপাতালে সকাল ৭টা ৫০মিনিটে তার মৃত্যু হয় বলে জরুরী বিভাগ থেকে জানানো হয়। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করে। পরে উপ কমিশনারের নির্দেশে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) গেলে আমরা আশাবাদী হলেও এখন মামলার ভবিষ্যত অন্ধকার দেখতে পাচ্ছি। তাই তাদের আইনের আওতায় না আনলে কঠোর আন্দোলনে নামবো আমরা।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে রায়হানের মা সালমা বেগম বলেন, ১০ হাজার টাকা জন্য আমার ছেলেকে হত্যা করা হবে, এটা আমি বিশ্বাস করি না। নিশ্চয়ই এর পেছনে আরও কিছু জড়িত রয়েছে। ১০ হাজার কেন ৫০ হাজার টাকা চাইলেও আমি দিয়ে দিতাম।

এদিকে পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে, রায়হান হত্যাকাণ্ডে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি, রায়হান হত্যায় জড়িত পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) আকবর ভূঁইয়াসহ দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার, পলাতক এসআই আকবর ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তারে আইজিপির নির্দেশ, পুলিশ কমিশনারের পক্ষ থেকে পুর্ণাঙ্গ বক্তব্য ও নিহতের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন ।

ক্ষতি পূরণের বিষয়ে জানতে চাইলে সালমা বেগম বলেন, ক্ষতিপূরণ বলতে আমি একটাই চাচ্ছি আমার ছেলের হত্যাকারীদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হোক। কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিলেও আমার ছেলেকে ফিরে পাবো না। ক্ষতিপূরণ একটাই আমার ছেলে হত্যার ফাঁসি চাই।

এসময় তিনি বলেন, পুলিশ যাদের প্রত্যাহার করেছেন তাঁদেরকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না কেন? এখানে পুলিশের জায়গায় অন্য কোনো সাধারণ মানুষ হলে তো এতক্ষণে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যেত। পুলিশ বলে কি তাদেরকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া ন্যায়সঙ্গত হলো!

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, স্থানীয় কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ, ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইলিয়াসুর রহমান, কাউন্সিলর তৌফিক বক্স লিপন, নারী কাউন্সিলর রেবেকা বেগম, সাবেক কমিশনার জগদীশ দাশ ও রায়হানের চাচা হাবিবুল্লাহসহ এলাকার মুরব্বিয়ানরা।

Some text

ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

Flirt4free Review: Security, Prices, Models

The Best Chat Room Apps…

Videochat de sexo

Take part in the Finest…

The Fantasy About Ukraine Girls…

The Hidden Treasure Of Costa…

Se corre en su cara

On the web Pokies Modern…

5 Simple Techniques For Portuguese…

The Idiot’s Guide To Sexy…