![](http://www.old.deshdorshon.com/wp-content/themes/deshdorshon/images/featured_image_large.jpg)
ইলমে দ্বীন অর্জন করার তাওফিক না হলে আলেমদের পরামর্শ মেনে চলাতেই কল্যাণ নিহিত রয়েছে। আলেমদের সাথে উঠা বসা করলে দ্বীনি খোরাক পাওয়া যায়।ধর্মীয় পাথেয় পাওয়া যায়। জীবন সফরের চলাচলের দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়। সঠিক পরামর্শ পাওয়া যায়। আলেমদের সাথে পরামর্শ না করে আমল করলে ভাল পরিণতি বয়ে আনবে না।
কারণ একটি প্রবাদ আছে, العمل بلا علم وبال অর্থাৎ ইলম (জ্ঞান) ছাড়া আমল অশুভ পরিণতি বয়ে আনে। সাধারণ মানুষের চিকিৎসা হচ্ছে জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস করা। হাদিসে পাকে এরশাদ হয়েছে, أَلاَّ سَأَلُوا إِذْ لَمْ يَعْلَمُوا فَإِنَّمَا شِفَاءُ الْعِيِّ السُّؤَالُ যখন তারা অবগত ছিল না-তখন জিজ্ঞাসা করল না কেন? কেননা অজ্ঞতার ঔষধ হল জিজ্ঞাসা করা। সুনানে আবু দাউদ হাদিস নং ৩৩৭। সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস নং ৫৭২।
ইমাম গাযালী রহিমাহুল্লাহ বলেন, “সাধারণ মানুষের দায়িত্ব হচ্ছে ঈমান ও ইসলামের সাথে ইবাদত এবং দৈনন্দিন কাজে ব্যস্ত থাকা। ইলমি বিষয়ে তাদের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। এটা যেন তারা আলেমদের হাতে অর্পণ করে দেয়। সাধারণ মানুষ ইলমি বিষয়ে বাড়াবাড়ি করা যিনা ও চুরি করার চেও ক্ষতিকর ও ভয়ংকর।
কেননা যেসব মানুষ দ্বীনি ইলমে গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও জ্ঞান রাখেনা, সে যদি আল্লাহ তায়ালা ও দ্বীনের বিষয়ে বহস করে, তাহলে তার দ্বারা এমন উক্তির আশংকা রয়েছে যা সরাসরি কুফুরি। আর সেটা সে জানতেও পারবেনা তার এই কথা বা কাজ কুফুরির অন্তর্ভুক্ত। এটার দৃষ্টান্ত ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে সাতার জানে না,অথচ সাগরে ঝাপ দেয়।” ইহইয়াউল উলুম ৩.৩৫। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সঠিক বুঝ ও সমঝ দান করুন।
আব্দুল্লাহ ইদরীস: লেখক, সংবাদকর্মী
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]