![](http://www.old.deshdorshon.com/wp-content/uploads/2020/09/Shoriful-06-750x420-1.jpg)
দেশে প্রথম ৮ মার্চ করোনা রোগী শনাক্ত হয়। যতটা নয় এই রোগের প্রকটতা, তার চেয়েও ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছিল ভীতি এবং গুজব। হয়তো করোনা পরিস্থিতি বা ভাইরাস পৃথিবী থেকে নির্মূল হবে না, কিন্তু আমাদের অনেক কিছু শিক্ষা দিয়ে গেছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসে আমরা দেখেছি কি অমানবিক আচরণ মানুষের সাথে মানুষ করেছে। পিতা তার পুত্রের লাশ দেখতে যায়নি, পুত্রকে কাপড় পেঁচিয়ে বাঁশঝাড়ে ফেলে চলে গেছে। পুত্র তার পিতার লাশ নিতে ভয় পেয়েছে এমনকি জানাজায় অংশগ্রহণ করেনি।
এমন পরিস্থিতিতে মানুষ যখন দিশেহারা, তখন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ষাটোর্ধ্ব দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ঢাকা শহরের অলিতে গলিতে ঘুরে বেড়িয়েছেন। অসহায় কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের পাশে তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।অর্থ-বিত্তশালী মানুষদেরকে অসহায় কর্মহীন মানুষদের সাহায্য করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। ঠিক একই সময় আমরা দেখেছি অনেক নেতৃত্ব, যারা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী এবং সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সেই সব কর্মকাণ্ডে বিস্মিত হয়ে নিজেকে আড়াল করে রেখেছে। তারা উপলক্ষ খুঁজে বলেছে এবং দোহাই দিয়েছে- তাদের বউ বাসা থেকে বের হতে দেয় না, তাদের সন্তানেরা বাসা থেকে বের হতে দেয় না, আত্মীয়স্বজন বাসা থেকে বের হতে নিষেধ করে। তাই নেতৃত্বদ্বয়ের সমালোচনা করে বেড়ায়!
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির যেভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে দুজনে একমত হয়ে একটি কমিটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দিয়েছেন, আমি আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি।
অবশ্য তারাই শুধু নয়, কমিটি গঠন করার সময় অনেক সুচারু ব্যক্তি তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য অতীত কর্মকাণ্ডকে পিছনে রেখে নিজেকে জাহির করার একটি অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে। তারা ভাল কাজের সমালোচনা করে ভালো ব্যক্তিদের কর্মকাণ্ডকে নিয়ে। তারা ভীত হয়ে নিজেকে গুটিয়ে রেখে কর্মঠ ব্যক্তিদের সমালোচনায় উৎসুক হয়ে থাকে। আমি এইসব ব্যক্তিদের সম্মানের সহিত প্রত্যাখ্যান করি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির যেভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে দুজনে একমত হয়ে একটি কমিটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দিয়েছেন, আমি আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি। তাদের এই তাৎক্ষণিক এবং সার্বিক কর্মকাণ্ড অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এক নাম্বার গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট। এখানে অনেক নেতারা নেতৃত্ব পাওয়ার আশা করে, কিন্তু পদ সংখ্যা সংরক্ষিত হওয়ায় অনেকের হয়ত জায়গা পাওয়া সম্ভব নয়।
তাই বলি, সমালোচনা নয়, আসুন ভালোকে ভালো বলি; ভালো কর্মকাণ্ডকে সম্মান জানাই। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে যার যার অবস্থান থেকে আমরা দেশ গড়ার কাজে এগিয়ে যাই। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঘোষিত সকল কর্মসূচীকে শতভাগ সফল করার লক্ষ্যে নিজেদের নিয়োজিত রেখে, বিশ্ব শান্তির অগ্রদুত জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশনকে বাস্তবায়নে নিজেকে মেলে ধরি।
আপনি ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক’ দাবী করেন, আপনি বাসা থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছেন, তাহলে কেমন আপনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক? বঙ্গবন্ধু যেভাবে ঝুঁকি নিতেন, মানুষের পাশে দাঁড়াতেন, তার আদর্শ ধারণ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ঝুঁকি নিতে হবে। তাহলেই আপনি প্রকৃত অর্থে বঙ্গবন্ধু আদর্শের সৈনিক।
লেখক: এফ এম শরিফুল ইসলাম
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]