শুক্রবার সকাল ১০:১৫, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

মা-কে হারানোর গল্প

৪৮৮ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

-মা- শফিকুল ইসলাম

মাগো, সপ্তম রোজা অতিক্রম করতেছি তুমি কি আর আমার সাথে ইফতার করবানা?

কলদিয়ে ছোট ছেলেটি (আমার)সেহরি-ইফত
আর খেয়েছি কিনা খোঁজ নিবানা?

তুমি যে এত তাড়াতাড়ি(৫ফেব্রুয়ারি’১৯ইং) আমাদের রেখে চলে যাবে তা আজও বিশ্বাস করতে পারছিনা…..!

সহপাঠিদের মোবাইলে রিংটোন বাজলে অনিচ্ছা সত্ত্বেও স্কিনে চোখ পড়লে “মা” কথাটি দেখে নিরবে-নির্বৃতে অশ্রুঝরে..!!
পরম শ্রদ্ধেয় আব্বাজান, যিনি শিশুকাল থেকে হাটিহাটি-পা করে মসজিদ, মক্তব ও স্কুলে নিয়ে যেত,নিজের মুখের খাবারটি আমাকে দিয়ে নিজে উপাস থাকতেন! সেই বাবাকে হারালাম প্রায় ১৫ বৎসর আগে! তবে তুমি কখনওই পিতৃবিয়োগের বেদনা বুঝতে দেওনি! জীবনে কোনোদিন ভাইদের কাছে চাইতে হয়নি,তোমাকে বললেই যথেষ্ট ছিল!!! প্রায়শই নিজের বেচে থাকার শেষসম্বল তথা ওষুধ ক্রয়ের টাকা পর্যন্ত দিয়ে দিতে আমায়….!!
তোমার অসুস্থতার খবর শুনে ঢাকা থেকে বাড়ি গেলে তুমি নিজেকে পূর্ণ সুস্থ দেখিয়ে নিজ হাতে ভাত খেতে দিতে।আর যেদিন ফিরে আসব, আমাকে যতক্ষণ দেখা যেত ততক্ষণ তাকিয়ে থাকতে আর লুকিয়ে লুকিয়ে শাড়ির আছল দিয়ে চোখ মুছতে….!!

আমি যে তোমার কত আদরের ছিলাম তার কিঞ্চিৎ প্রকাশ পেয়েছিল তোমার মৃত্যুর কয়েকমাস পূর্বে,গভীর রাতে হঠাৎ তুমি প্রচণ্ড শ্বাস কষ্টে ভোগছিলে এবং এটাই হয়তু তুমার শেষ সময় ভেবে তুমি উপস্থিত সবার থেকে বিদায় নিচ্ছিলে আর আমি পাশে দাঁড়িয়ে ভাবছিলাম হয়তু এই কঠিন মুহূর্তে আমার কথা ভুলেই গেছো! কিন্তু না,জীবন-মরণ সন্ধিক্ষণে তুমি যা করলে এতে তখন আকাশ-বাতাস বারি হয়ে ওঠেছিল!

তুমি আমাকে ছোট বাচ্চার মতো বুকে নিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে উপস্থিত সকলকে উদ্দেশ্য করে বলতেছিলে-
” আমি মরে গেলে আমার ছেরার (ছেলের)কি হবে? ও কার কাছে আসবো? কে খেতে দিব তারে ? তোমরা সবাই দেখিও ওরে!”
যে হারিয়েছে সেই বুঝে মা-বাবা কি….!

[ ﺭَّﺏِّ ﺍﺭْﺣَﻤْﻬُﻤَﺎ ﻛَﻤَﺎ ﺭَﺑَّﻴَﺎﻧِﻲ ﺻَﻐِﻴﺮًﺍ ]
রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বাইয়ানী সগীরা
ইয়া আল্লাহ, আমার আম্মু-আব্বুসহ সকলের পিতা-মাতাকে জান্নাত নসীব করুন।

Some text

ক্যাটাগরি: গল্প, সাহিত্য

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি