সোমবার সকাল ৬:১৩, ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

দারুল আরকাম শিক্ষকদের আহাজারি: দেড়লক্ষ শিক্ষার্থীর পড়ালেখা অনিশ্চিত

১১৯৭ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

আলাদা প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করছে ইফা। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইফা মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্প থেকে দারুল আরকাম মাদ্রাসা বাদ দেয়া হয়েছে। ফলে সারা দেশের প্রায় দেড় লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিপ্রায় অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত এ মাদ্রাসার শিক্ষকরা দীর্ঘ ৫ মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। ফলে করোনা মহামারীর এ কঠিন সময়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহার-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন শিক্ষকরা। ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানায়, দারুল আরকাম মাদ্রাসাকে স্থায়ী রূপ দিতে সব ধরনের নিয়ম মেনে আলাদা প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি মিললেই সব সমস্যার সমাধান হবে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

ইফার মহাপরিচালক ডিজি ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব আনিস মাহমুদ বুধবার যুগান্তরকে বলেন, দারুল আরকাম মাদ্রাসা এখন আলাদা প্রকল্পের মাধ্যমে করতে যাচ্ছে সরকার। এ নিয়ে কাজ চলছে। গত ডিসেম্বরে প্রকল্প শেষ হওয়ার কারণে ৪-৫ মাস ধরে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেয়া যাচ্ছে না। মাদ্রসাটি চালু করার সময় যেসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার প্রয়োজন ছিল তার কিছুই মানা হয়নি। এখন সরকারের নিয়মনীতি মেনেই এটির প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, ১১ মে পরিকল্পনা কমিশন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রস্তাবিত পাঁচ বছর মেয়াদি মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পে ৩ হাজার ১২৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এ প্রকল্প থেকে দারুল আরকাম মাদ্রাসাকে বাদ রাখা হয়। মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্প থেকে দারুল আরকাম মাদ্রাসাকে বাদ দেয়ায় উদ্বিগ্ন মাদ্রাসা শিক্ষকরা। এ প্রসঙ্গে দারুল আরকাম শিক্ষক সমিতির মহাসচিব আনাস মাহমুদ যুগান্তরকে বলেন, ৫ মাস ধরে আমরা বেতন-ভাতা পাচ্ছি না। প্রকল্প থেকে মাদ্রাসা বাদ দেয়ায় মাদ্রাসার দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎও অনিশ্চয়তায় পড়েছে। ইতোমধ্যেই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রতিকার চেয়েছি। এ বিষয়ে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই।

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার মাদারেরচর দারুল আরকাম মাদ্রাসার সভাপতি ও অভিভাবক শাহজামাল যুগান্তরকে বলেন, জমি দেয়াসহ সব ধরনের সহযোগিতা করে দারুল আরকাম মাদ্রাসা করেছি। শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময় অভিভাবকদের নানা কথা বলেছি। অথচ এখন দেখছি শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বন্ধ কয়েক মাস ধরে। আমরা এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই।

সূত্র: দৈনিক যুগান্তর

Some text

ক্যাটাগরি: মতামত

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি