বুধবার দুপুর ১২:৪৩, ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ১৫ই মে, ২০২৪ ইং

ঠাকুরগাঁওয়ে অসহায় ও কর্মহীন মানুষের পাশে ইনসাফ ট্রেডার্স

৩৬৮ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে আতঙ্কিত গোটা বিশ্ব। এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে আড়াই লাখ। বাংলাদেশে ইতিমধ্যে এর প্রাদূর্ভাব দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩৮৬ জন, যেখানে আক্রান্ত প্রায় ২৭ হাজার। মহামারী করোনাভাইরাস থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায়ের খোঁজ যেন মিলছেই না। দিনদিন ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে ভাইরাসটি।

এদিকে লকডাউনের ফাঁদে পুরো দেশ। ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে চলেছে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন। এদেশের প্রায় প্রতিটি জনপদে আজ অসহায় মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত, গরীব মানুষেরা কাজের অভাবে, মজুরির অভাবে ঘরে বসে না খেয়ে আছে। লকডাউনে যখন একমুঠো খাবারের জন্য হাহাকার চলছে ঠিক তখন শুরু হয়েছে সিয়াম সাধনার মাস মাহে রমজান। এমস্থাবস্থায় নিম্নশ্রেণীর খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য এ যেন আকাশ ভেঙে পড়ার অবস্থা।

একই অবস্থা ঠাকুরগাঁওয়ে। ১২ এপ্রিল বিকেলে জেলায় প্রথম করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্তের তথ্য আইইডিসিআরের বরাত দিয়ে নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহফুজার রহমান। ওইদিন সন্ধ্যায় সংক্রমণ ঝুঁকি মোকাবিলা ও জরুরি সুরক্ষার প্রয়োজনে ঠাকুরগাঁও জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করে এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন জেলা প্রশাসক কেএম কামরুজ্জামান সেলিম।

উত্তরের এই ছোট্ট জনপদের খেটে খাওয়া মানুষদের পাশে এগিয়ে এসেছে স্থানীয় অনেক সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। সরকারি চেষ্টার সাথে ঠাকুরগাঁও এর মতো ছোট্ট জনপদে এই মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে, এসব মানুষদের মুখে সামান্য হাসি ফোটাতে মাঠে ব্যক্তিগত উদ্যোগে এগিয়ে এসেছে পণ্য পরিবেশক প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইনসাফ ট্রেডার্স।

সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানের অসহায়, কর্মহীন মানুষের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার প্রত্যয়ে ঈদ উপহার সামগ্রী (সেমাই, চিনি, দুধ, মসলা) নিয়ে ছুটছেন তারা।

পণ্য পরিবেশক প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইনসাফ ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী তরুণ ব্যবসায়ী মোঃ আবু জর্নেল রনি। তিনি একাধারে প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার, পণ্য পরিবেশক প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইনসাফ ট্রেডার্স ও জনবল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জর্নেল সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেড এবং ইসলামী ব্যাংক বড় খোঁচাবাড়ি হাট এজেন্ট আউটলেটের সত্ত্বাধিকারী। তিনি বলেন, মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাক্কালে দুস্থ ও অসহায় মানুষ যারা করোনার কর্ম হারিয়েছে খুঁজে খুঁজে এমন ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের মাঝে খাদ্য বিতরণ করে চলেছি আমরা। মহামারী করোনাভাইরাস সম্পূর্ণ নির্মূল না হওয়া অব্দি এসব কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য,করোনা সংকট শুরুর প্রাক্কালে মেসার্স ইনসাফ ট্রেডার্স ১৬০ পরিবারের মাঝে পৌঁছে দিয়েছিল কয়েক দিনের খাবার।তাদের উপহার সামগ্রীতে ছিল চাল, ডাল,আলু, তেল, সাবান, হুইল ও ডিম। এছাড়া জেলা পরিবেশক সমিতির পক্ষ থেকে বেশ কিছু পরিবারের মাঝে পৌঁছে দিয়েছিল উপহার সামগ্রী।

Some text

ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি