রবিবার সকাল ৮:২২, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ১৯শে মে, ২০২৪ ইং

কবি এস এম শাহনূর এর কবিতা (পর্ব-১)

৫০৪ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

★কবর (কবিতা)
| ০৪ আগস্ট ২০১৯ | ১:২৭ পূর্বাহ্ন
তোমার আমার শেষ ঠিকানা;
চিঠি যায় না,ফোনও আসেনা।

বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে দাদা দাদীর কবর
মা বাবাও ঘুমিয়ে,কেউ নেয়না খোকার খবর!

নানা নানী গেছেন চলে আরো কত আপনজন,
ভাবছি তবে আসবে কবে আমার নিমন্ত্রণ!!

আল্লাহুম্মা বিইসমিকা আমুতু পড়ছি প্রতি রাতে
পরান পাখী উড়ে যাবে কোন এক প্রভাতে।

শরীর থেকে খুলে নিবে দামী জামা কাপড়,
সোহাগ বাতি জ্বালিয়ে দেবে,ছিটিয়ে দেবে আতর।

পাড়ার লোকে আসবে ছুটে শোক সংবাদ শুনে
গোসল শেষে জড়াবে আমায় সাদা কাফনে।

কফিনেতে উঠায়ে আমায় কাঁধে নিবে চার জন
মিছামিছি কাঁদবে যারা আসবে আপনজন!!

আমার জন্য খোঁড়া হবে সাড়ে তিন হাত কবর
পাকা বাড়ীর মোহে কিরে ভুলেছি নিজের ঘর?

রচনা কালঃ
১০অাগস্ট ২০১৬ ইংরেজি।
বনানী সামরিক কবর স্থান।

★মহা কাব্যিক তুরস্ক (কবিতা)
| ৩০ জুলাই ২০১৯ | ৫:১৯ অপরাহ্ণ

এশিয়ার তিলোওমা নগরী ইস্তাম্বুল আজও গৌরবিণী,
একদা পৃথিবী শাসনকারী বাইজ্যানটাইন অতপরঃঅটোম্যান সাম্রাজ্যের রাজধানী।

ইস্তাম্বুলের বুক চিরে বয়ে চলা ইউরেশিয়ার মহাসংগম স্রোতম্বিনী বসফরাস প্রনালী ;
তাইতো দুটো মহাদেশের একটি শহর উর্বশী ইস্তাম্বুলকে বলি।

নিত্যদিনের সূর্যের আলোকে ঝিকমিক করা শহর
এ যেন শিল্পীর তুলিতে অংকিত কোন চিত্র শিল্প;
শোভিত বৃক্ষরাজি,সাজানো-গোছানো পরিকল্পিত দালান-কোঠা-বাড়িঘর।

দেখিবে ইসলামী সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের মনকাড়া ছবি,
এখানে ঘুমিয়ে অাছে অাবু আইয়ূব আনসারী(রাঃ)আরো বহু সাহাবী।

পৌরাণিক ও আধুনিক রুচির বিচিত্র সব পন্যের সমাহার,
এশিয়ার সুপ্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী “গ্রান্ড বাজার”।

কী নেই এখানে?পরিশীলিত পোষাক,হাতের চুড়ি, খোপার কাটা,লাল গালিচা ;
পরোপকার, বিনয়,সৌজন্যবোধ, ভদ্রতা, ফুল বাগিচা।

হাজিয়া সোফিয়া,সুলতান আহমদ স্কয়ার বা হিপোড্রাম,
অপরূপ স্থাপত্য শৈলী, সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের নিদর্শন নয়নাভিরাম।

বিশ্ব মানচিত্রে চতুর্ভুজাকৃতি,রাজধানী অাংকারা;
জাতির জনক মোস্তফা কামাল পাশা,মুদ্রার নাম লিরা।

কামাল আতারতুর্ক আধুনিক তুরস্কের জনক
তুর্কীদের মনে বিরাজিত এক মহা নায়ক।

জাতীয় ঐতিহ্যের অংশ হুক্কা-শর্মা-কাবাব;
আধুনিকতার নামে বাদ পড়েছে নারীর বোরকা-হিজাব-নেকাব।

কোথা সেই অপবাদ?ইউরোপের রুগ্ন মানব!
শিল্প সাহিত্য সামরিক বিচারে সে আজ উন্নত দানব।

ইজমির(প্রদেশ)ইফেসাসে দেখবে প্রাচীন বিস্ময়ের অার্টেমিসের মন্দির,
নীল মসজিদে নামাজ,আসহাবে কাহাফের গুহা কতই না শান্তির।

টাইগ্রিসের’দশ চোখা সেতু’তে দাড়িয়ে দেখুন দিয়ারবাকির দূর্গ;
পাখী-ফুল-ফল-ফসলের রাজ্য ‘হেভসেল গার্ডেন’আহা! কি অপূর্ব।

মন ভরে হেরিনু পাহাড়,ফসলের মাঠ,মসজিদের নান্দনিক শিল্পকর্ম;
পনের আনা লোক মুসলিম, ইসলামই প্রধান ধর্ম।

রমজানে ড্রাম-সংগীতের সুরে ডাকে(ঘুম থেকে জেগে উঠো)ইউয়ানসানা,ইউয়ানাসানা;
সাহরী খাওয়ার সময় হয়েছে শুরু কর এবার খানা।

বছর জুড়ে ফুটবল তুর্কীদের সবচে জনপ্রিয় খেলা,
ইফতারীর সময় হলে সশব্দে ফাটানো হয় কামানের গোলা।

ইফতারীতে থাকে নানা স্বাদের কর্ন ক্যান্ডি রোষ্ট চেসনাট চা মিষ্টি,
বাহারী ফলাদি, বিখ্যাত ‘রমজান পাইড রুটি’।

মাকামে দানিয়েল (অাঃ),’হাডসন রিভার ফল’চোখে করে খেলা;
বন্দর নগরী মার্সিনের অলি-গলিতে কেটেছে কত বেলা।

জীবন খাতায় ভরে নিয়েছি আজ স্মৃতি রাশি রাশি
মনে পড়ে অাঙুর বাগিচায় হিজাব পরিহিত কৃষাণি মেয়ের হাসি।

★তৃতীয় বারের মত তুরস্কের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান ভ্রমন শেষে একটি কবিতা লিখার তাগিদ অনুভব করি।তাই তুরস্কের সুলতান আহমদ স্কয়ারের মনোরম এককোনে বসে লিখে ফেললাম-আমার কবি মনের সকল অনুভুতির বহিঃপ্রকাশ “মহা কাব্যিক তুরস্ক”।

★রচনাকালঃ৷১০ মার্চ ২০১৬ ইংরেজী।
সুলতান আহমদ স্কয়ার,ইস্তাম্বুল,তুরস্ক।

★কযহস-প্রাণের বিদ্যালয়(কবিতা)
| ২৮ জুলাই ২০১৯ | ৮:৪৭ অপরাহ্ণ

উৎসর্গঃ কাইতলা যঁজ্ঞেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষক/শিক্ষিকা গণের উদ্দেশ্যে।

ও বন্ধু!তোঁরা কী আমার রাখিস খবর?
জলে স্থলে শান্তির ফেরী করে নাম দিয়েছি যাযাবর।
কতনা দেশের অট্রালিকা দেখেছি দুচোঁখ ভরে;
কৈশোরের ঐ শ্যাওলা পরা স্কুল ঘরটা শুধুই মনে পড়ে।

অফিস ঘরের দক্ষিণ দিকের ফুল বাগানটি কই?
কৃষ্ণচূড়া গাছটিও নেই,ফোটে কী আজ জুই?
স্বাধীনতা কিংবা বিজয় দিবসে মঞ্চ সাজাতে আজ আনে কি মায়ের শাড়ী?
শহীদ মিনারে মাল্য দিতে করে কি ফুল চুরি,হয় কি প্রভাত ফেরী?

স্কুল মাঠের পূর্ব দিকে চারগাছ থেকে উদয় হন কি সফিক স্যার?
সফেদ ধূতি-পাঞ্জাবি পরে মহেশ রোডে হেটে আসেন কি বাবু সূর্যকান্ত সরকার?
মুখ ভরা সাদা দাঁড়ি-আব্দুস ছালাম স্যার ছাড়া আর কাহারো ছিল?
জনাব,জসীমউদ্দিন,ইউনুছ স্যার কোথায় আছে বলো?

বাইসাইকেলে চড়ে আসতেন জনাব,আবু ইউছুফ হেড মৌলানা;
জনাব,শামীম,চন্দন কুমার,সুরন স্যার কারোর নয় অজানা।
প্রধান শিক্ষক শামসুজ্জামান যদি জন্ম নিতেন আবার
সেই স্কুলে আদু ভাই হয়ে শাহনূর থাকতো বারংবার।

ক্লাশ রুমের প্রথম সারির প্রথম সিটখানা কী রেখেছে আমায় মনে?
ফি বছর মেধানুসারে প্রথম হতাম শুধু তাহারই টানে।
যদিও সামান্ন সর্দি-জ্বর কিংবা মেঘ-বৃষ্টি-রোদে
ছুটে যেতাম স্কুল ঘরে কি যে এক অমৃত স্বাদে!

আমার জীবনের ঊষালগ্নের জ্ঞানসমুদ্র এ বিদ্যানিকেতন,
এখান থেকে নুড়ি কুড়িয়ে কতজনা হয়েছে মহাজন।
অাহা!কী মিষ্টি রোদে এসেম্বলি দিয়ে শুরু হতো দিন;
কেমন করে শোধিব আমি এ বিদ্যাতয়নের ঋণ?

কত দিন হলো আর দেখিনা কয়েকশো চেনাজানা মুখ,
সেই বিরহে ক্ষণেক্ষণে কাঁদে আমার বুক।
আল-আমীন মালয়েশিয়ায়,তারেক লন্ডন;
আমি থাকি পৃথিবীর অবাক শহর রৈরূত-লেবানন।

সঞ্জীব-মৃনাল ঢাকায়,জহির গাজীপুর,রুবেল ইতালীর রোমে;
নাজমুন্নাহার, হ্যাপী, নাছিমা স্বামীর সংসারে আছে আরামে।
ব্যবসা-অফিস-চাকুরী ফেলে একটি দিন আয়না ভাই;
আর কি কভু হবে দেখা স্কুলের ঔ আঙিনায়!

হয় কী এখন শিক্ষা সফর,বয় স্কাউটিং,সাধারন জ্ঞান প্রতিযোগিতা?
প্রাণের বিদ্যালয়,তোমায় নিয়ে কেন আজ বলছি এত কথা!
দেশ বিদেশের মানব মনে অাঁকি তোমার আল্পনা;
কেউ কি আমায় করবে স্মরন যখন আমি থাকবো না?

★রচনাকাল ও স্থানঃ
৩রা এপ্রিল ২০১৬ইংরেজী।
কসমো সিটি, বৈরূত,লেবানন।

★বিশ্ববাঙালী(কবিতা)
| ২২ জুলাই ২০১৯ | ৫:৩২ অপরাহ্ণ

কত নগর বন্দর সাগর মরুভূমি উপত্যকা পদতলে শেষ,
জুড়ি মেলা ভার এমন ঠিকানা নাম বাংলাদেশ।
অাহা!এমন মধুর ভাষা,রীতি-নীতি কোথায় গেলে পাই?
সুখে-দুঃখে বিপদে অাপদে বাঙালী একে অপরের ভাই।

দুনিয়া জুড়িয়া কত বর্ণের কত জাতি অাছে,
শক্তি সাহস মেধা সততায় সবই বাঙালীর পিছে।
“অলস জাতি,কাঁচা লংকায় একথাঁলা ভাত”
অামরা এখন কর্মঠ মানুষ নেই সেই অপবাদ।

বাঙালী অাজ ঘরে বসে নেই শুধু লাঙল জোয়ালে চষে;
যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে সুনাম অাজ প্রবাসে।
দেশ বিদেশে জ্যামিতিকহারে বেড়েছে বাঙালীর দাম;
বহু সভ্য জাতির কাছে তাই বুক ফুলিয়ে বলি বাংলাদেশের নাম।

একটি সুন্দর পৃথিবী গড়তে থাকবে বাঙালীর অবদান,
নিজ যোগ্যতায় ছিনিয়ে অানবো অামাদের সম্মান।
শক্ত করে ধরতে হবে প্রগতির চাকা খানি,
কোন্ কাজেতে মানহানিকর অামরা সবাই জানি।

হও মুসলিম,হিন্দু,বৌদ্ধ কিংবা খ্রিষ্টান;
হাতে হাত রাখ যদি কোথা হয় বাঙালীর অপমান।
সবার কন্ঠে বাজুক ‘অামার সোনার বাংলা অামি তোমায় ভালবাসি,’
সারাক্ষণ মুখে লেগে থাকুক স্বর্গীয় সুখের হাসি।

পাখী ডাকা,ফুল ফোটা,রূপের রাণীর অাবেশ;
ভালোবাসার সাগর ব-দ্বীপ সোনার বাংলাদেশ।

★রচনাকাল ও স্থান:
৩রা অাগষ্ট ২০১৫ ইংরেজি।
ভূ-মধ্যসাগরের ইসরাইল ও লেবানন সীমান্তের ‘সেইফ জোন’ এ অবকাশকালীন সময়ে রচিত।

★শতবর্ষের প্রতিধ্বনি (কবিতা)
| ১৭ জুলাই ২০১৯ | ৮:৩১ পূর্বাহ্ণ

একদিন শতবর্ষ আগে এক বিদ্যোৎসাহী মহৎ প্রাণ
যঁজ্ঞেশ্বর রায়ের পোষ্যপুত্র জমিদারের নাতি,
প্রজা হিতে আধার নাশিতে দিলেন প্রতিদান;
সেই থেকে প্রফুল্ল চঁন্দ্র রায় দেবী সরস্বতী সম বিদ্যাপতি।

একদিন শতবর্ষ আগে বেজেছিল হ্যামিলনের বাঁশি,
বাঁশির মোহে বই হাতে ছুটিল লুঙ্গি-পাঞ্জাবী পরা কত সুবোধ বালক:
স্বপ্ন ভরা চোঁখ,মুখে শিশির বিন্দুর হাসি,
খাতার ভাজে থাকত ঝর্ণা কলম,পেন্সিল কিংবা চক।

একদিন নব আলোকের বিচ্ছুরণে জেগেছিল পড়শি
মাঠের পরে মাঠ পেরিয়ে ভীরু পায়ে এখানে এসেছিল যে রমণী
স্বপ্নভরা চোঁখ,মুখে শিশির বিন্দুর হাসি,
পান্ডিত্যের অবগাহনে বিদূষীনি আজ সাহসী জননী।

শতবর্ষ পরে আজও সেই স্কুল ঘরে বাজে জাগরণের বাঁশি
ছুটে আসে আধুনিক প্যান্ট শার্ট পরিহিত কত সুবোধ বালক;
স্বপ্নভরা চোঁখ,মুখে শিশির বিন্দুর হাসি
কাঁধে ব্যাগ,বুক পকেটে কলম লভিতে জ্ঞানের সবক।

আজি হতে শতবর্ষ পরে তনু মন প্রাণের সুষম বিকাশে
সভ্যতার পাষাণ প্রাচীর ভেদিয়া ফোটিবে ফুল রাশি রাশি,
বসিবে মেলা যেমনি করে বসেছিল ঊনবিংশ শতাব্দীর অষ্টাদশে,
রবে স্বপ্নভরা চোঁখ,মুখে শিশির বিন্দুর হাসি।

আজিকার এ মাহেন্দ্রক্ষণে কবি পাঠালেম অনুজ তোমার জন্যে
মাঠের সবুজ ঘাসে সোনা রোদের খেলা,ছুটির ঘন্টার উল্লসিত ছুটে চলা;
বয়ঃসন্ধি কালের না বলা প্রেমাবেগ,স্নেহ-ভক্তি রীতি গুরুজনে;
টিফিনের ফাকে খোশ মেজাজি মধুর কথামালা।

প্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাবে তুমি
একদিন বিশ্বটাকে করবে জয়,মিলবে অন্য এক পরিচয়;
শেষের পদ চিহ্ন টুকু বলে দিবে কোথা হতে এসেছিলেম আমি;
তোমার গৌরবে গরবিনী হবে কাইতলা যঁজ্ঞেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়।

★অদের খাল (কবিতা)
| ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ

মুগ্ধতায় ভরা শৈশবের স্নান পাত্র অদের খাল;
কৈশোরে বিছায়েছ এ কী ভাবনার অন্তর্জাল!
সরোবরের স্ফটিক জলের সাথে ছিল আড়ি
মোহাবিষ্ট ঘোলা জলের প্রেমে খাল পাড়ের বাড়ি।।
এ পথে নাইওরী কন্যা-নব বধূর কান্নার সুর লহরী
কত পারাপার,সওদা ভরি যায় মহাজনের তরী।।
বেদেনী বায় নাও,বেদে পিছনে বসে হাল ধরে থাকে
মৎস্য শিকারে কৈবর্ত-জেলে খালের বাঁকে বাঁকে।।

সম্প্রীতির বন্ধনে তব জলে চলে কত নাও
বিনি সুতায় বাঁধিয়াছ দুই পাড়ের কত গাঁও!!
বর্ষা জুড়িয়া থাকে ঝাঁকে মিঠা পানির মাছ
শীত বসন্তে কৃষক কুল করে থাকে ধান চাষ।।
তব কাদাজলে খেলব বলে সখা সখিরা মিলে
মায়ের শাসন-বকুনি ফেলে ছুটে গেছি কত ছলে।।
অর্ধেক পৃথিবীর লোনাজল,কাকচক্ষু জল,নীল পানি;
স্বচোঁখে দেখেছি,অন্তরে তোমার ঘোলাজলের হাতছানি।।

কত হাবুডুবু খেয়েছি জলে,কেড়ে না নিলে শেষ নিঃশ্বাস;
পাড়ে দিলে ঠেলে,তাই তব জলে আমার এত বিশ্বাস।।
শহুরে জীবনে যখন ফর্সা আকাশ ডেকে বৃষ্টি নামে,
আমি ভাবি তোমার বুকে চিপাখাল,পাবদা বিলের পানি নামে।।
ভেসে যায় খেরপাড়া,ডুবে যায় কচুক্ষেত,ভাসছে পাতিহাঁস,
পেশাগত জীবনেও কী তাই,জলের কাছাকাছি করি বসবাস?”

রচনাকাল ও স্থানঃ
২৭ মে ২০১৯ ইংরেজী।
চাঁদপুর থেকে ঢাকা সদরঘাট যাওয়ার পথে,
মেঘনা নদীর বুকে।এম ভি ঈগল-৩।

বল্লভপুর মিনি পর্যটন নিয়ে লিখা কবিতা
★আনন্দ ভুবন (কবিতা)
| ৩১ আগস্ট ২০১৯ | ১০:২৩ অপরাহ্ণ

ও ভাই! ব্যস্ততম জীবনে যদি এতটুকু সুখ চাও,
কসবা থানার সূর্যদীঘল গ্রাম বল্লভপুরে যাও।
গ্রামতো নয় লোকের মেলা সারা বছর জুড়ে
বড় ভাঙ্গার সেই বাঁশের সাঁকো মনে কিরে পড়ে?

সেই গাঁয়েতে জন্ম আমার মানুষ বড়ই ভালো,
নেইকো মনে হিংসা-বিভেদ,নেই সাদাকালো।
বড় ভাঙ্গার ব্রীজ দেখতে ‘রাজার খালের’ উপর
হাজার মানুষ আসছে ছুটে ছেড়ে আপন ঘর।

কৃষক-শহুরে আসে,আসে ছেলে মেয়ের দল;
দুচোঁখ ভরে দেখছে সবাই ঝিকিমিকি জল।
এ যৌবনা বর্ষায় রাস্তার দুধারে পানি করে থৈথৈ
এমন সুন্দর বিকেল ফেলে কেমনে ঘরে রই?

ব্রীজের পূর্বতীরে বল্লভপুর,প্রিয় নগর আভিধানিক নাম;
পশ্চিমেতে শিমরাইল-দক্ষিণে বিস্তৃত বিশাল এক গ্রাম।
প্রাণ জুড়ানো এই পরিবেশ হেসেই কাটে বেলা;
মন মাতানো বল্লভপুরে বসেছে রূপের মেলা।

প্রতিদিনই আসছে হেথা দশ গ্রামের লোকজন,
তাইতো কবি তার নাম দিয়েছি আনন্দ ভুবন।

উৎসর্গঃ যাঁরা “আনন্দ ভূবন” এ ইতোমধ্যে এসেছেন এবং ভবিষ্যতে আসবেন সেই সব সৌন্দর্য পিপাসুদের উদ্দেশ্যে।

রচনাকালঃ ৮ জুলাই ২০১৬ইং।
হাজী মঞ্জিল,বল্লভপুর।

★তিলোত্তমা সেন্টমার্টিন (কবিতা)
| ২৭ আগস্ট ২০১৯ | ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে নাফ নদীর মোহনায়
একদল আরব্য বণিক একচিলতে ভূমি খুঁজে পায়।
নারিকেলের আধিক্যে তার নাম দিলো জিঞ্জিরা
তার দক্ষিণে আছে দ্বীপ নাম হলো তার ছেঁড়া।
১৯০০ খ্রিষ্টাব্দে হেথায় আসলো ব্রিটিশ ভূ জরিপ দল
ব্রিটিশ ভারতের অংশ হিসেবে করলো জরিপ সাগর-সমতল।
প্রকৃতি অতি সুন্দর,দেখলো সাগরের পানি অমলিন
তাই খ্রিষ্টান সাধুর নামানুসারে নাম দিলো সেন্টমার্টিন।
আরাকানের তিন পরিবার বঙ্গ দেশের দশ প্রথম বসতি
জীবিকার তরে মাছ শিকার ভিন্ন ছিলো সামান্য রায়তি।
এক দিন দুূদিন করে আজ বয়স হলো দুশো বছর
নিজের গুণে লোকের কাছে বেড়েছে তার কদর।
৮বর্গ কিঃমিঃ আয়তনে ৮হাজার লোকের বসবাস
সংখ্যাধিক্যের পেশা মৎস্য শিকার আর ধান চাষ।
ঝাউ বন নারিকেল পাম গাছে কত পাখি ডাকে,
জোছনা রাতে চাঁদ হাসে কেয়া পাতার ফাকে।
সৈকতে অযুত নিযুত কাছিম ছানা,সবুজ শৈবাল
দেখবে তুমি দুচোঁখ ভরে হরেক রকম প্রবাল।
মানুষের মন মাছের মত,আপ্যায়নের নেইকো অভাব;
পরম সোহাগে নিজ হাতে পেড়ে দেবে গাছের কচি ডাব।
প্রবাল প্রাচীর,নীলাকাশ, নীল সাগরের ঢেউ
বালিয়াড়ির সেন্টমার্টিন ভুলিবেনা কেউ।
সৌন্দর্য দ্বীপ সেন্টমার্টিন দেখা হলো বেশ,
রূপের যে তার নেইকো শেষ
এ যেন আরেক তিলোত্তমা বাংলাদেশ।

★রচনাকালঃ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ইং
পশ্চিম পাড়া,সেন্টমার্টিন।

★সুন্দরবনে সুন্দরী নেই (কবিতা)
| ২৪ আগস্ট ২০১৯ | ৮:১৮ অপরাহ্ণ

আজ দেখেছ নীলকমল কাল পাবে দুবলার চর;
খানিক বাদে কোকিলমনি কিংবা নলিয়ান,
যেথায় পরম শ্রান্তি দিবে গোলপাতার ঘর।
উৎসুক পর্যটকের ভিড়ে পেতেও পার করমজলে
দু’চোঁখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে ভাসি অথৈ সাগর জলে।
মাঝরাতে কর্ণ কুহরে বাজে জলদস্যুর কোকিল শিস
মজা করে খেলায় মাতে মাথার উপর ফ্লায়িং ফিশ।
চোঁখের পরে চোঁখ তুলে চায় অবুঝ মনের হরিণ পাল
কুমির দেখ আসছে নিয়ে গরীব জেলের সুতোর জাল।
বাঘ মামার সাথে হয়না দেখা এটাই বড় ভাগ্য
বন্য বাঘের আহার হতে আরও হওয়া চাই যোগ্য!
সুন্দরবনে সুন্দরী নেই,আছে গোলপাতা আর ঝাউবন
তবু বিচিত্র সব পাখপাখালি ভরিয়ে দিবে শূন্য মন।
এত বেশী ঘুরাঘুরি আছে নিশ্চিত তার কারণ
সব কারণের খবর বলতে আছে কঠোর বারণ।

*হিরণ পয়েন্ট,
সুন্দরবন।
২৬ জানুয়ারী ২০১৯ইং।

★স্বদেশের ডাক(কবিতা)
| ২২ আগস্ট ২০১৯ | ১১:৩১ অপরাহ্ণ

আমি এক চোঁখে দেখি পুরো পৃথিবী
অন্য চোঁখে প্রিয় বাংলাদেশের ছবি।
দাঁড়িপাল্লার এক পাশে দুনিয়াটা রাখি
অন্য পাশে স্বদেশ আর পরাণের পাখি।
সূর্যোদয়ের দেশ বলে তোমরা যাকে জানো,
হেটেছি অবনীর শেষ বলে তোমরা যাকে মানো।

হোয়াংহুর সাথে দেখা হয়েছে,
পদ্মা-যমুনার সাথে নেই জুড়ি;
দেখেছি ভূতের রাজ্য-ট্রায়াংগেল রহস্যপুরী।
নীল জলরাশির স্বচ্ছতা-কান্না দেখেছি নিরবধি,
ভূ-মধ্যসাগরে স্বাপ্নিক মানুষের সলিল সমাধি।
বিষাক্ত জেলিফিশ-হাঙর-কুমির-ডলফিনের দাড়ি
চেনা হয়েছে মৎস্য কত!নীল তিমির ঘর-বাড়ি।
নীল নদ,ব্যস্ততম সুয়েজ খাল,মৃত সাগরের রূপ
পাড়ি দিয়েছি জিব্রাল্টার,দেখেছি বসফরাসের অপরূপ।

সাত সাগরের জলের সাথে হলো চেনাজানা,
সত্য সুন্দরের সাথে সতত মিশে মেলেছি ডানা।
বাম পকেটে জাতিসংঘ শান্তি পদক,
বুক পকেটে প্রিয়ার ছবি;
অনেক হলো এক জীবনে আর কত চাই পদবী?
ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে যাই,দেশের ছেলে দেশে;
মোহ ছাড়া কী আছে বল এ দূর প্রবাসে?
সুখ হলো কষ্টের ছায়া আমি বুঝি তাই
তবু কেন সুখের পিছু জীবনটা কাটাই?
স্বদেশ আমায় ডাকছে,”আয়রে খোকা আয়”
এমন সুখের রাজ্য ছেড়ে আর নয় ভিন দেশেতে ভাই।

★রচনাকালঃ ৬ই জুন ২০১৬ ইংরেজি।
The mission to seafarers WiFi zone.
Limasool, Cyprus.
★PC-Selfi at Mediterranean sea in Cyprus.

★সাগর কন্যা সাইপ্রাস (কবিতা)
| ১৯ আগস্ট ২০১৯ | ৪:২৯ অপরাহ্ণ

বিহারী সাগর কন্যা সাইপ্রাস অপরূপ ;
হেরী স্বপ্নীল ইউরোপ।
চৌঁদিকে নীল জলরাশি বিধৌত ভারী মজার দেশ,
শিক্ষা সংস্কৃতির চাষাবাদ নজর কাড়ে বেশ।
অর্ধেক পাহাড় তার অর্ধেক সমতল ভূমি
পর্যটন সমৃদ্ধ, গ্রীষ্ম আর শীত মৌসুমি।
সূর্যস্নানে বিবসন-বসনাদের ভীড় সাগর সৈকতে;
কর্মে মুখরিত মানুষের ঢল রাজপথে।
প্রতিটি বিপণীতে, রাস্তায় হাসি মুখের ফোয়ারা;
হাসি মুখে প্রাণবিমোহন আনন্দধারা।
ছবির মত ভিন্ন পারিবারিক মতাদর্শে গড়া বাড়ী,
ফুল-ফলের বাগানে শোভিত আঙ্গিনা,সবারই গাড়ী।
বহু উন্নত তাদের নাগরিক জীবন মান,
মন মননে জাগ্রত তাদের আত্মসম্মান।
পরিচয় পর্বে আপনাকে জানাবে মোবারকবাদ,
বিদায় কালে ভুল হবে না দিতে ধন্যবাদ।

*At Hazar,Limasool in Cyprus.

★ভেজাল (কবিতা)
| ০৯ আগস্ট ২০১৯ | ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ

তুমি আর আমি ছাড়া সবাই মিথ্যাবাদী
তুমিও মিথ্যুক ছিলে যখন হয়নি বিয়ে শাদী।
তুমি ভেজাল হলে আমিও পুরো ভেজাল
নির্ভেজালের হিসেব নিকেশ করবে মহাকাল।
এখন অবিশ্বাসী সময় অতিক্রম করছে মহাকাল
সম্পর্ক,দয়া-দাক্ষিণ্যতা,জনসেবার নামে ভেজাল।
প্রেম,ভালোবাসা,স্নেহে অবিশ্বাসের গন্ধ
প্রতিশ্রুতি,বিশ্বাসের সকল দুয়ার বন্ধ।
সারা বেলা ঘুরেফিরে দিন শেষে সব পাখী ঘরে ফিরে
আমিও এতটুকু সুখের আশায় ফিরি তোমার নীড়ে।
সাইবেরিয়ার শীতলতায় নিথর দেহ আমার সবার আড়ালে
উষ্ণতা খোঁজে তোমার ঠোঁটে,কপোল আর বক্ষযুগলে।

★রচনাকালঃ
২৩ জুলাই ২০১৯ইংরেজী।
রূপসা নদীর তীরে।খুলনা।

★অবাক শহর-সবাক দেশ (কবিতা)
| ০৫ আগস্ট ২০১৯ | ৮:১৯ অপরাহ্ণ

(Beirut is called the paris of Lebanon.)
বর্তমান পৃথিবীর সুন্দরতম সেরা যৌবনা শহর,
এখানে চির উদাসী বসন্ত বিরাজিত সারাটি বছর।
হাজারো পর্যটকের ভীড়ে মুখরিত অবাক নগরী;
চোঁখ ধাঁধানো রেস্তোরাঁ শপিংমল অপ্সরী নারী।
আমিতো পড়েছি লেবাননের রাজধানী বৈরূতের প্রেমে,
সময় পেলেই চষে বেড়াই অলিগলি,এমনকি নিশীথে ঘুমে।

রাস্তায় পিপীলিকার মত ছুটে চলে গাড়ি মেনে ট্রাফিক সিগন্যাল,
যদি জ্বলে উঠে লাল বাতি প্রয়োজনে থেমে থাকবে চিরকাল।
ডিভাইডারে ফোটে থাকা নানান রঙের ফুল দুচোঁখ ভরে দেখবে
মোজাইক করা প্রশস্ত পরিচ্ছন্ন ফুটপাত পথিকের নজর কাড়বে।
পৌরুষ্যত্বে মোড়ানো নগরী,শিল্পী মননে বুনা;
সোনায় সোহাগা গড়েছে নারীর আনাগোনা।

ফিনিশিয়দের অাদি আবাস ভূমি আজকের আধুনিক লেবানন,
আসিরীয় পারসিয়ান গ্রিক রোমান
কখনও আরব ক্রুসেডার উসমানী ফ্রান্স বৃটেন করেছে শাসন।
এশিয়ার বাস্কেটবলের রাজাদের বাস,খেলে ফুটবল-রাগবী;
আট বছরের শিক্ষা বাধ্যতামূলক, রাষ্ট্রীয় ভাষা আরবী।
এখানে প্রচলিত পৃথিবীর আশ্চর্যতম সংসদীয় গণতন্ত্র, অহিংস সংবিধান;
প্রেসিডেন্ট একজন ম্যারোনেইট খ্রিষ্টান,প্রধান মন্ত্রী সুন্নি, স্পীকার শিয়া মুসলমান।

বরফের রাজ্য ফারাইয়া,দুনিয়ার স্বর্গ জয়তাগ্রত,বেরক;
দেখবে জয়তুনে বে,লেডী অব লেবান হাজারো পর্যটক।
দ্বাদশ শতাব্দীর বিবলুস ক্যাসেল,বেকা ভেলী-বেলবেক;
সিডন,প্রাকৃতিক জলধারা তানারোয়া সুদর্শন আরেক।
পাহাড়ময় লেবানন-আরব বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর যে দেশ,
পূর্ব ও উওরে সিরিয়া,দক্ষিণে ইসরাইল,পশ্চিমে ভূমধ্যসাগরের খোলাকেশ।
যদি পৃথিবী ভ্রমন করতে হয় মরনের অাগে
স্বপ্নপুরী লেবানন যেন থাকে তব তার ভাগে।

★রচনাকালঃ
কবিতাটির প্রথম ৬ চরণ ১৮মার্চ ১৬ইং রাজধানীর Beirut Souks এর COSMO CITYএর সামনে বসে লেখা। এবং বাকি চরণ গুলো ৬ মে ১৬ইং Down Town এর ZAITUNAY BAY এর চমৎকার পরিবেশে বসে লেখা।
★Location: Fairy Square.Capital Beirut,Lebanon.

★প্রজাপতি প্রেম (কবিতা)
| ০৩ আগস্ট ২০১৯ | ৮:২৪ পূর্বাহ্ণ

(অপ্রকাশিত কবিতার পান্ডুলিপি থেকে)
মুঠো ফোনে তার ছিল এক বলিষ্ঠ আবদার,
তোমাকে আমার বাসায় আসতেই হবে বলেছি স্বামীকে।
আমি এক অখ্যাত কবি,বসি আছি রেলস্টেশনে যাব চাটগাঁ পাহাড়িকা ট্রেনে।
সে এবং আমি যখন কৈশোরে ঠিক সেইক্ষণ থেকে সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখেছি আমি তাকে।
তার জন্য জীবনের অনেক মূল্যবান সময়,বিশেষ মুহূর্ত করেছি বিলীন,
যেমনি করে সেদিন গন্তব্যে পৌঁছার ট্রেন হারাতে হয়েছে আমাকে।
আমি কী তাকে ভালবেসেছি
নাকি সে আমাকে ?
তার উত্তর ভুল করেও খুঁজিনি কোনো দিন।

ষোল বছর আগে কোন এক শীতের সকালে স্কুলে গিয়ে
দেখি ক্লাসে নতুন একটি পরী,
নীল কামিজ,সাদা স্যালোয়ার-উড়না,পরিপাটি আঁচড়ানো চুল।
বুকের বাম পাশে নেইম প্লেটে লেখা নাম-”প্রজাপতি”
আর সেই নেইম প্লেটের সেফটি পিন আমার কঁচি হৃদপিন্ডে বিধেঁছিল।
তাকে ঘিরে অভিধানের সেরা শব্দ ছন্দ মালায় বন্দি হতে করে কানাকানি,
বসন্ত না আসিলেও জীবনে আসে যৌবনের হাতছানি ।
যেদিন শুনলাম ঠিক হয়েছে তার বিয়ের চূড়ান্ত দিনক্ষণ,
এতটুকু আনন্দ দিতে পারেনি তার বিয়ের নিমন্ত্রণ।
যতন করে রেখেছি তার দেওয়া গায়ে হলুদের ছবি খানি,
যেথায় আছে একগুচ্ছ রজনী গন্ধা, প্রীতি উপহার বই খানি।

ষোল বছর পর কবির কল্পনার চোঁখে আজও মোনালিসা’র চেয়েও রহস্যভরা হাসি,
ভেনাসের চেয়েও উন্নত তার বক্ষযুগল।
নায়াগ্রা জলপ্রপাতের ছন্দ তার চরণ তলে,
কালো মেঘ তার চুলের সৌন্দর্যে লজ্জায় মুখ ঢাকে।
এখন তার প্রাসাদ সম এক স্বপ্নীল সুখী সংসার,
যেখানে রয়েছে শিল্পপতি স্বামী,তিন রাজকন্যা এক রাজকুমার।
কল্যাণের দেবতার কাছে আমি আজও খুঁজি তার সুখ,
চির সুন্দর থাকে যেন কবিতার রানীর সেই মুখ।

Some text

ক্যাটাগরি: মতামত

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি