বৃহস্পতিবার রাত ১১:৩৯, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ. ২৮শে মার্চ, ২০২৪ ইং

শিয়া‌লের কা‌ছে মুর‌গি বর্গা: চেয়ারম‌্যান-‌মেম্বার‌দের কা‌ছে ত্রা‌ণ

১৩০৮ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

একদা এক বনে প্রতিদিন মুরগির সংখ্যা ক্রমাগত কমতে লাগলো। তাই বনের রাজা “সিংহ” মুরগিগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দিলেন শিয়ালের কাছে। শিয়াল মুরগিগুলোর দায়িত্ব পেয়ে নিজেকে মুরগির রাজা হিসেবে মনে করল। দিনশেষে শিয়াল বনের রাজা সিংহকে মুরগির হিসাব দেওয়ার সময় হিমশিম খাচ্ছিল। তখন বনের রাজা সিংহ শিয়ালকে জিজ্ঞাসা করল, মুরগি কয়টা আছে হিসাব দাও। তখন শিয়াল সিংহকে মুরগির হিসাব দিতে ভয়ে কাঁপছিল, সিংহ তখন শিয়ালের উপর প্রচন্ড রেগে গেল এবং বললো মুরগিগুলোর পাই পাই হিসাব আমাকে দাও। তখন শিয়াল হিসাব দিতে থাকলো এইভাবে, “মহারাজ, বনে মোট ৩০০ টি মুরগি ছিল। আমিখেয়েছি ০৫ টি আমার স্ত্রী খেয়েছে ০৫টি আমার তিন ছেলেমেয়ে খেয়েছে ৩০ টি, আমার আত্মীয় স্বজন সবাই মিলে খেয়েছে ১৫০ টি। এ নিয়ে মোট ১৯০ টি মুরগি খাওয়া হয়ে গেছে। এখন অবশিষ্ট ১১০ টি মুরগি আছে তাই আপনাকে হিসাব দিতে ভয় পাচ্ছিলাম” মহারাজ। ব‌নের রাজা তখন অব‌শিষ্ট মুর‌গিগু‌লো‌কে রক্ষার্থে ঐ মুর‌গির রাজা শিয়াল‌কে সকল শিয়া‌লের সম্মু‌খে খে‌য়ে নি‌লো। তার প‌রে বা‌কি শিয়ালগু‌লো চরম শিক্ষা নি‌য়ে ভা‌লো হ‌য়ে গেল।‌

তেম‌নি বাংলা‌দেশ সরকার ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জেলেদের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত ১ মণ/৪০ কে‌জি করে চাল না দিয়ে ১৪-১৫ কেজি করে চাল দিয়ে অাসছিলেন। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরে স্থানীয় সাংবাদিক সাগর চৌধুরি বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বড় মানিকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসিমউদ্দিন হায়দারের কাছে কম চাল দেওয়ার কারণ জানতে চান। চেয়ারম্যান কোন সদুত্তর দিতে না পারায় সাংবাদিক সাগর চৌধুরী বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বসির গাজি এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চান। যেকারণে চেয়ারম্যান জসিমউদ্দিন হায়দারের ছেলে ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা নাবিল হায়দার সাংবাদিক সাগর চৌধুরিকে কথা বলার জন্য ডেকে নিয়ে ছিনতাইকারী অপবাদ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এমন বর্বর ঘটনা ঘটার প‌রে স্থানিীয় সাধারন জনগন বাংলা‌দেশ সরকা‌রের প্রতি সুষ্ঠ বিচা‌রের নি‌মি‌ত্তে অপেক্ষায় আছে।

জনগণের ভালো-মন্দ দেখাশোনা করার জন্য এবং এলাকার উন্নয়নের জন্য জনগণ দেশের চেয়ারম্যান এবং মেম্বারদেরকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে দেশের কল্যাণের জন্য। তাই দেশের চেয়ারম্যান এবং মেম্বারগন কল্যাণ এর নামে দেশে যে সকল অকল্যাণকর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন সরকার যদি এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা না নেন তাহলে সাধারণ জনগণ মনে করবে যে, যে সকল স্থান বা অঞ্চলের চেয়ারম্যান-মেম্বারগণ ত্রা‌নের পণ্য সামগ্রী কম/মে‌রে দেওয়া হয়, চাউলের কিছুটা অংশ ওই সকল অঞ্চলের এমপি মন্ত্রীরা ভাগ পেয়ে থাকেন তাদের কাছ থেকে। তাইতো তাদের কে কোন কিছু বলা হয় না..

Some text

ক্যাটাগরি: মতামত

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি