সোমবার সকাল ৬:০৪, ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

করোনা ভাইরাস ও মালয়েশিয়া পরিস্থিতি

৬১৭ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

মালয়েশিয়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫৩ জনে। সোমবার নতুন ১২৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগ সম্প্রতি একটি তাবলিগ কর্মসূচিতে ছিলেন। এছাড়া দেশটিতে করোনায় আক্রান্তদের দাফনের জন্য বিশেষ নির্দেশনা এবং আগামী দশ দিন জুমার নামাজসহ মসজিদে সবধরনের কর্মকাণ্ড স্থগিত করা হয়েছে। মালয়েশীয় সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার এখবর জানিয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, নতুন আক্রান্ত হওয়া ১২৫ জনের মধ্যে অন্তত ৯৫ জন সেরি পেটালিং জামে মসজিদে তাবলিগ এর জোড় কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। আক্রান্তরা সেলাঙ্গর, কুয়ালালামপুর, সাবাহ ও জহুরবারু এলাকায় অবস্থান করছেন।

মসজিদটি কুয়ালালামপুরের শ্রীপেতালিং এ অবস্থিত। এর আগে ব্রুনেইতে প্রথম শনাক্ত হওয়া একজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি যিনি এই মসজিদে তাবলিগ জামাতের জোড়ে অংশ নিয়েছিলেন।

মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মহাপরিচালক ড. নুর হিশাম আব্দুল্লাহ জানান, ব্রুনেইয়ের আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক আমাদের কে বিষয়টি অবগত করেছে। তিনি বলেন, ওই আক্রান্ত ব্যক্তি সেরি পেটালিং মসজিদে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত তাবলিগ জামাতের জোড়ে অংশ নিয়েছিলেন। প্রাথমিক পর্যায়ে পাওয়া তথ্য অনুসারে, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫হাজার মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। এদের মধ্যে মালয়েশিয়ার বাসিন্দাই ছিলেন বেশি।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. আধাম বাবা বলেন, আমরা বিলম্বিত সংক্রমণ পর্যায়ে পৌঁছে গেছি। এই পর্যায়ে দেশে করোনা ভাইরাস আরও ভয়াবহ হয়ে পড়ে। কারণ ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়লে ঠেকানো কঠিন হয়।

আক্রান্তদের মধ্যে ৪২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।ভাইরাসটির বিস্তার রোধে আগামী ১০ দিন শুক্রবারের জুমার নামাজসহ মসজিদে সবধরনের কর্মকাণ্ড স্থগিত করা হয়েছে। মালয়েশীয় রাজার ডিক্রি বলে এই স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ধর্মবিষয়ক বিভাগ।

এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত মসজিদে জুমাসহ নামাজ ও সবধরনের কর্মকাণ্ড স্থগিত করা হয়েছে। সব মসজিদ ও শুরা কমিটিকে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে দশদিনের জন্য এই স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর ধর্মবিষয়ক শাখার প্রধান ড. জুলকিফলি মোহাম্মদ আল-বাকরি বলেন, করোনা ভাইরাসে মৃতদের দাফনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হবে। ২০১৫ সালে ফতোয়া কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে মরদেহ তায়াম্মুম প্রক্রিয়ার পর পুরো শরীর ঢাকা যায় এমন বডিব্যাগে ভরতে হবে বা মোড়াতে হবে। এই সিদ্ধান্তে আওতায় সবগুলো রাজ্য থাকবে।

এদিকে, ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে বুধবার (১৮ মার্চ) থেকে দেশটিতে চলাচলে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে এবং ৩১ মার্চ পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে। সোমবার রাতে এই ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন। এই নির্দেশের আওতায় ধর্মীয়, খেলা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সহ সব ধরনের জনসমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সবগুলো ধর্মীয় উপাসনালয় ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। খোলা থাকবে শুধু সুপারমার্কেট, মার্কেট, খুচরা বাজার ও মুদির দোকান।

পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, টেলিযোগাযোগ, ডাক, পরিবহন, তেল ও গ্যাস, সম্প্রচার, ফিন্যান্স, ব্যাংক, স্বাস্থ্যসেবা, ফার্মেসি, দমকল, কারাগার, বন্দর, বিমানবন্দর, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, পরিচ্ছন্নতা ও খাবার সরবরাহের মতো জরুরি সেবা বাদে সবগুলো সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

এছাড়া দেশটির কোনও নাগরিক বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না। বিদেশ থেকে যারা ফিরবেন তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্বেচ্ছা-বিচ্ছিন্ন থাকতে হবে ১৪ দিন। বিদেশি পর্যটক ও ভ্রমণকারীদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সবগুলো স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে

Some text

ক্যাটাগরি: খবর

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি