দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে থাকা চীনের নানথোং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এ অধ্যায়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান সরকার তার বৃত্তির জমানো টাকা থেকে করোনাভাইরাস টেস্টের ১০০টি কিট পাঠাচ্ছেন জয়পুরহাটে। কিটগুলো চীন থেকে ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসে বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে।
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর সরকারপাড়া গ্রামের আবু জাফর সরকারের ছেলে মিজানুর রহমান সরকার । গত ২০ মার্চ সে তার ফেসবুক ওয়ালে একটি লেখা পোষ্ট করেন। যাতে তিনি লেখেন, ‘জয়পুরহাটে যাঁরা দায়িত্বশীল আছেন, তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি মিডিয়া মারফত জানতে পারলাম, জয়পুরহাটে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস পরীক্ষার কোনো কিট পৌছায় নি। তাই আমি চায়না থেকে করোনাভাইরাস টেস্ট করার জন্য কিছু কিট ডোনেট করতে চাই। এ বিষয়ে করণীয় প্রক্রিয়া জানার জন্য জয়পুরহাটে যাঁরা স্বাস্থ্য বিভাগে জড়িত আছেন, তাঁদের সাহায্য কামনা করছি।’
পোষ্টটি নজরে আসে জাতীয় সংসদের হুইপ ও জয়পুরহাট-২ (আক্কেলপুর-কালাই ও ক্ষেতলাল) আসনের সাংসদ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের। পরে তিনি মিজানুরের মুঠোফোন এ নিয়ে কথা বলে বিমান প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের সহযোগিতায় ইউএস বাংলা এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষকে রাজি করিয়ে কীটগুলো দেশে আনার উদ্যোগ নেন এবং করনীয় সম্পর্ক মিজানুরকে অবহিত করার পাশাপাশি চায়নার গোয়াংজুতে ইউএস বাংলার জিএসএ অফিসে কীটগুলো পৌছানোর জন্য বলেন। সেই সাথে ওই তরুণকে অভিবাদন জানিয়ে বুধবার বিকেলে ফেসবুকে একটি পোস্টও দেন তিনি।
পোস্টে তিনি লেখেন, ‘একটি ছেলে চায়না থেকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে যে সে জয়পুরহাটে কিছু করোনা টেস্টিং কিট পাঠাতে চায়। জয়পুরহাটের দায়িত্বশীল কেউ যেন যোগাযোগ করে। বিষয়টি আমার চোখে পড়ায় তাঁকে তাঁর ফোন নম্বর দিতে বলি। সে নম্বর দিলে আমি ফোন করি। সে চায়নার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সেখানে সে প্রায় গৃহবন্দী। বাইরে বেরোতে পারে না। কিন্তু দেশের জন্য, এলাকার জন্য তাঁর হৃদয়ের আকুতি অনুভব করে আমি অভিভূত।’
ইউএস বাংলার একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, চীন থেকে পাঠানো কিটগুলো বৃহস্পতিবার ভোরে দেশে পৌঁছাবে। এরপর তা হুইপের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ বিষয়ে হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, মিজানুর রহমানের পাঠানো কিটগুলো বৃহস্পতিবার পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শফিউল বারী রাসেল, জয়পুরহাট থেকে।
Some text
ক্যাটাগরি: খবর, নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]