শনিবার রাত ৪:১৪, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

মুক্ত দিবসে বিজয়ের হাসি, হাসছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া

৫৭০ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

গতকাল ৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ৮ই ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হানাদার মুক্ত হয় তাই দিনটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী উৎসব মুখর ভাবে পালন করে। আমরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে রঙিন হবে আমাদের স্কুল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সকাল শুরু হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে আমরাই ব্রহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি মোঃ ইমন এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এড. জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রাধান অতিথি ছিলেন ১৯৭১ সালে তারুণ্যের যুদ্ধা, যুদ্ধআহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীগ এর সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ, এ. এস. এম. শফিকুল্লাহ, সোপানুল ইসলাম সোপান, এড. লোকমান হোসেন, রিয়াজ উদ্দিন জামি, দীপক চৌধুরী বাপ্পী, ফরিদা নাজনীন, বাহারুল ইসলাম মোল্লা, শাহাদাত হোসেন, নারী নেত্রী নিশাত, নন্দিতা গুহ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ছিলেন মোঃ কামাল খান, ওয়াসের সিদ্দিকী, রতন কান্তি দত্ত, আবুল কালাম, সায়েরা বেগম সহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের সকল মুক্তি যুদ্ধের বরেণ্য ব্যাক্তিরা।

অনুষ্ঠানের প্রথমে বক্তারা দর্শন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের আমরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে শিশু নাট্যমের চিত্রশিল্পীদের হাতে আঁকা বাংলার এক টুকরো ইতিহাসে রঙিন হওয়া বিদ্যালয়ের দেয়াল। তার পর বক্তারা তাদের বক্তব্যে তুলে ধরেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কিভাবে স্বাধীন হয়েছিল। তারণ্যের উদ্দেশ্যে মুক্তিযোদ্ধারা এক এক করে বলে তাদের মুক্তির সংগ্রামের কথা, ত্যাগ তিতিক্ষার কথা। তার পর আনন্দ লোকের নৃত্য শিল্পী জুবায়েদ এর নৃত্য ও সংগীত শিল্পীদের গানের মাধ্যমে উক্ত অনুষ্ঠান শেষ করে সবাই চলে যায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের প্রান্তে শহীদদের সম্মান জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিক্রিতিতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে। শুভেচ্ছা পর্বে উপস্থিত ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের সকল সদস্য বৃন্দরা।

শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানের শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের সম্মানিত জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলার সার্বিক প্রচেষ্ঠায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে সন্ধা ৬ ঘটিকায় বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে আলোচনা সভা ও আবৃত্তি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে শেষ হয় উক্ত দিনের কার্যক্রম।

সানিউর রহমান 

Some text

ক্যাটাগরি: খবর, নাগরিক সাংবাদিকতা

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি