শনিবার সন্ধ্যা ৬:৩৩, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ৪ঠা মে, ২০২৪ ইং

নূরনগর পরগনার নামকরনের ইতিহাস

৮৫০ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার স্বনামধন্য ও ঐতিহাসিক এক জনপদ ও পরগনার নাম”নূরনগর”পরগনা।
হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহাসিক   নূরনগরের জনপদ। প্রাগৈতিহাসিক যুগে আমাদের এলাকাটি ছিল কালীদহ সায়র,কালের বিবর্তনে কালীদহ সায়র থেকে আজকের নূরনগর সৃষ্টি,কথিত আছে চাঁদ সওদাগর সপ্তডিঙ্গা নিয়ে কালীদাহ সায়র দিয়ে বাণিজ্য করতে যেত,বেহুলা-লক্ষ্মীনধরের প্রেম কাহিনী মূলত কালীদহ সায়র’কে ঘিরেই রচিত হয়েছিল,বৌদ্ধ যুগে আমাদের এলাকাটি ছিল সমতট রাজ্যের অন্তরভূক্ত,তখন বৌদ্ধ শাসকরা আমাদের এলাকাটি শাসন করত,ইতিমধ্যে বাঘাউড়া গ্রাম থেকে বৌদ্ধ শীলালিপি আবিস্কৃত হয়েছে,বৌদ্ধ শাসনের পর মধ্যযুগে এলাকাটি শাসন করতো হিন্দু রাজা শ্রী মহীপাল,যা ১৯১০ সালে শিবপুর থেকে বিষ্ঞমূতির নামফলক আবিস্কৃত হয়,পাল শাসনের অবসান হলে মূলত সুলতানী আমলে আমাদের জনপদের নামকরন করা হয়,জানা যায় পাঠান সুলতান শেরশাহ রাজস্ব আদায় ও শাসন কাজ পরিচালনা করতে সরাইল•বরদাখাত•নূরনগর পরগনা নামকরন করেন,পরবর্তিতে বাংলার বার ভূইয়া ঈশা খাঁ সরাইলকে বাংলার প্রথম অস্হায়ী রাজধানী স্হাপন করেন,আজও ধনাশী গ্রামে বার ভূইয়াদের বংশধর রয়েছে,১৭৫৭ সালে নবান সিরাজদৌলার পতন হলে বৃটিশ শাসনের অধিভূক্ত হয় নূরনগর এলাকাটি,ভারতবর্ষের প্রথম রোনাল্ড রে কর্তৃক রচিত মানচিত্রেও গুরুত্ব সহকারে নূরনগর জনপদের নাম উল্লেখ রয়েছে,পরবর্তিতে নূরনগর জনপদটি ত্রিপুরা রাজ্যের অন্ত:ভূক্ত হয়,বৃটিশ আমলে জমিদার প্রথা চালু হলে তখন ত্রিপুরার রাজা মানিক্যের সময়ে কাইতলা•শিবপুর•বিটঘর•বিদ্যাকুট•নাটঘরে জমিদার বাড়ী নির্মাণ এবং জমিদার প্রথার প্রভাব বিস্তার করে,১৯৪৭ সালে পাকিস্তান অত:পর ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা,এই হল নূরনগর জনপদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।

গোলাম কিবরিয়া, অধ্যায়ণরত অনার্স এবং লেখক ও প্রাবন্ধিক।

.উৎস গ্রন্থ:রাজমালা

.

 

Some text

ক্যাটাগরি: বিবিধ

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি