শুক্রবার বিকাল ৫:৫৭, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

দেশসেরা অ্যাওয়ার্ড পেল ডেইলি অবজার্ভারের আখাউড়া প্রতিনিধি সাংবাদিক মিশু

৫৮৮ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

মাদকের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে একাধিক আলোচিত অনুসন্ধানী প্রকাশিত প্রতিবেদনের সরাসরি পরিশ্রমের স্বীকৃতি। যা শুধু ব্যক্তি মহিউদ্দিন মিশুকে উন্নীত করেনি। উন্নীত করেছে গোটা দেশের মফস্বল সাংবাদিকতাকে। সাহসী, সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার জন্য ২০১৯ সালের ‘মৃত্তিকা পদক’ পেলেন দৈনিক যুগান্তর ও

ডেইলি অবজারভার আখাউড়া প্রতিনিধি এবং আখাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মহিউদ্দিন মিশু।

শনিবার সন্ধ্যায় (১৯অক্টোবর) বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে (ঢাকা) এক জাঁকজমক পূর্ণ ও অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মহিউদ্দিন মিশুর হাতে এ সম্মাননা পদক তুলে দেওয়া হয়। দীর্ঘ দুই দশক ধরে সাংবাদিকতার জগতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে জায়গা করেছেন মহিউদ্দিন মিশু।

মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় মাদক চোরাকারবারিসহ দূর্নীতিবাজ অপরাধীরা একাধিবার হত্যা চেষ্টা করলেও প্রাণে রক্ষা পান তিনি। অসৎ ব্যক্তিদের রক্তচোক্ষু আর অপরাধীদের দায়ের করা মামলা কিংবা হামলায় সর্বশান্ত করার ব্যর্থ অপচেষ্টায় তারা লিপ্ত থাকলেও মিশুর পেশাগত কাজকে সততার সঙ্গে আরও এগিয়ে দিয়েছে। আর তাই মফস্বল সাংবাদিকতার পথিকৃৎ। দেশসেরা সাংবাদিকের স্বীকৃতি হিসেবে ‘মৃত্তিকা পদক’ পুরস্কারে ভূষিত হলেন মহিউদ্দিন মিশু। তার এ অসামান্য অবদানে আপ্লুত সাংবাদিক সমাজ।

আখাউড়া টেলিভিশন জার্নালিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, অপরাধিদের বিরুদ্ধে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ লিখনীর মধ্য দিয়ে সমাজের অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরছেন মহিউদ্দিন মিশু। তৈরি হয়েছে জনমত। সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা হয়ে উঠেছেন তিনি। আর এখানেই তাঁর সাফল্য। তাই তাঁকে এই সম্মান দেওয়া হয়েছে।

বাঞ্চারামপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সুবীর আহম্মেদ বলেন, নিরপেক্ষ এবং নির্ভীক সাংবাদিকতা কাকে বলে, তা দেখিয়ে দিয়েছেন এই মফস্বলের সাংবাদিকতার পথিকৃৎ মহিউদ্দিন মিশু।
মহিউদ্দিন মিশু ছাড়াও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আরও তেরোজন ব্যক্তিকে এ জাতীয় সম্মাননা দিয়েছেন মৃত্তিকা একাডেমি। তাঁরা হলেন, ড. ইঞ্জিনিয়ার এম শাহ আলম (বীর মুক্তিযোদ্ধা) মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ডিএ তায়েব, মাহবুবা শাহরীন, চিত্রনায়িকা ববি, আনহা তামান্না, সেরা শিশু শিল্পী মিতুয়া হেনা, অধ্যাপক একেএম আব্দুল আওয়াল, মইনুল হাসান স্বাধীন, সালাহ উদ্দিন আহম্মদ মিল্টন, খান শাহীন, আবির ইবনে করিম, মমতা ব্যার্নাজী, অলোকা রাহা।

সাহসী, বস্তুনিষ্ঠ ও নির্ভীক সাংবাদিকতার পাশাপাশি ভারত-বাংলাদেশ সৌহার্দ্য ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়ন তুলে ধরে বিশেষ অবদান রাখায় পূর্বোত্তর ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম রাজ্য থেকে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে মহিউদ্দিন মিশু সম্মাননা স্মরক পেয়েছেন। এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন মহিউদ্দিন মিশুকে বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার সম্মাননায় ভূষিত করে পদক তুলে দেন।

মহিউদ্দিন মিশু বলেন, নিজের ভালো কাজের স্বীকৃতি যদি সামাজিক সংগঠন দেয় তা হলো পরম পাওয়া। এ রকম স্বীকৃতি কাজের স্পৃহাকে আরও বাড়িয়ে দেয়, আরও এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা তৈরি করে।

Some text

ক্যাটাগরি: খবর, নাগরিক সাংবাদিকতা

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি