সোমবার রাত ১:০০, ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ. ২৮শে মে, ২০২৩ ইং

শব্দদূষণ ও আমাদের দায়িত্ব

৪৯৭ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

শব্দ এক প্রকার শক্তি।যে কোনো পর্দাথের বা যে কোনো কিছুর মেকানিক্যাল কম্পনের মাধ্যমে শব্দ তৈরী হয়। যে কোনো ধরনের গাড়ী চালু করলে, গাড়ীর ভেপু বাজলে,মাইকে আওয়াজ করলে,খালি গলায় উচ্চ স্বরে কথা বললে, বজ্রপাত হলে ও কোনো ভারী জিনিস ভেঙ্গে গেলে শব্দ সৃষ্টি হয়। এই শব্দ শক্তি মানুষ বা প্রানীর শ্রুতি যন্ত্রের বহিঃকর্ণের ভিতরে যে ক্যানেল আছে তার মাধ্যমে কানের র্পদা পযর্ন্ত পরিবাহিত হয়।অতঃপর বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধমে কম্পনের সৃষ্টি হয় ও তা মস্তিস্কের শ্রুতি কেন্দ্রে পৌঁছে, তারপর উক্ত শব্দ মানুষ বা প্রানী শুনতে পায়।

প্রাকৃতিক নিয়ম অনুযায়ী,মানুষ যখন শুনতে পায় তখন সে কাউকে কিছু শোনতে আগ্রহী হয় এবং তা অন্যকে শোনাতেও আগ্রহী হয়। মূলত শব্দই হলো একজনের সঙ্গে অন্যজনের যোগাযোগের বা তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যম। সহনীয় শব্দ মানুষের উপর কোনো ধরনের খারাপ প্রভাব ফেলে না।তবে অসহনীয় তীব্র শব্দ শ্রবনশক্তির উপর  খারাপ প্রভাব ফেলে। যখন কোনো অসহনীয় তীব্র শব্দ শ্রবনশক্তিকে অস্থির করে তুলে, তখনই অনাকাংখিত তীব্র শব্দকে শব্দদূষণ বলা হয়।

শব্দদূষণের কারনে রক্তচাপ বৃদ্ধি পেতে পারে, হৃদস্পন্দনের পর্রিবতন হতে পারে,হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও শব্দদূষণের কারনে মানুষ আংশিক বা সর্ম্পূণ বধির হয়ে যেতে পারে। শব্দদূষনের জন্য মানুষ মানসিক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।মানুষ ক্লান্তিবোধ করতে পারে। অত্যন্ত নিভৃতমনে কোনো কাজ মনোযোগ দিয়ে করতে পারে না।মনোযোগের ব্যাঘাত ঘটতে পরে। পরির্পূণ ঘুম হবে না এবং কাজে পরির্পূণমনোযোগ দিতে পারবে না। এই অবস্থায় কাজের ফলাফল আশানুরূপ হবেনা। ফলে রাষ্ট্রীয় উন্নতির বিঘ্ন ঘটবে।সুতরাং শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিরও অন্যতম অন্তরায়।

বিগত ২০১৭ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদফতরের কেন্দ্রীয় অফিস থেকে  একটি পরিকল্পনা ঘোষনা করা হয়েছে যে,পর্যায়ক্রমে ৮টি বিভাগীয় শহরে গণসচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশে বিশেষ ‘ওয়েভ’ পদ্ধতি চালু করা হবে, এই পদ্ধতির মাধ্যমে বিভাগীয় শহরের কোনো পয়েন্টে  কতটুকু পরিমান শব্দদূষণ হচ্ছে তার সঠিক র্নিণয় করা যাবে। এর মাধ্যমে জানা যাবে শব্দদূষণ কোনটা দেহের জন্য ক্ষতিকর এবং কোনটা কানের জন্য ক্ষতিকর। এই পরিকল্পনাটি বাংলা দেশের সমগ্র জেলা ও উপজেলা র্পযায়ে চালু হওয়া একান্ত দরকার।

আমাদের অনেকেরই হয়তো জানা নেই যে,সাধারন কথাবার্তা হয় ৬৫ থেকে ৮৫ ডেসিবেলের(শব্দের একক) মধ্যে। আর শব্দের মাত্রা ৮৫ ডেসিবেলের উপরে হলে সেটি হবে জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুকিঁর্পূণ। আর সে ক্ষেত্রে জোরে গান বাজলে কিংবা কনসার্টে সেই শব্দের মাত্রা যদি হয় ১২০ ডেসিবেলের উপরে, তবে সেটি হবে যে কারও জন্য মৃত্যুঝুকিঁর্পূণ। এমন ধরনের মৃত্যুঝুকিঁর্পূণ কনর্সাট আবাসিক এলাকায় করা মারাত্বক অন্যায় ও ভয়াবহ কাজ। ২০১৭ সালের  এপ্রিল মাসের  প্রথম দিকে আখাউড়া উপজেলার মসজিদপাড়া মহল্লার আব্দুর কাদির আহমেদের ছেলে আব্দুল মজিদ আহমেদ ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে ওপেন র্হাট সার্জারী সমপন্ন করে নিজ বাড়ীতে ফেরেন। ডাক্তার রোগীকে প্রায় ৩মাস র্পূণ বিশ্রাম ও কোলাহল থেকে মুক্ত থাকতে বলেন। কিন্তু রোগীর র্দুভাগ্য অপারেশন সমপন্নন করে বাসায় ফেরার দু’দিন পর পার্শ্বের বাড়ীতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় এবং উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ কনসার্টের আয়োজন করা হয়।আব্দুল মজিদের হাজারো আপত্তি সত্বেও আয়োজকরা উক্ত অনুষ্ঠান বন্ধ করেনি।এমতাবস্থায় আব্দুল কাদির গুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়েন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে আনার পথে  হৃদযন্ত্রেরক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার করুন মৃত্যু হয়।আব্দুর কাদিরের এ ধরনের করুন মৃত্যুর জন্য দায়ী কারা?

বর্তমানে বেশীর ভাগ বাসাবাড়ীর  ছাদে ও কমিউনিটি সেন্টার গুলোতে বিয়ে, গায়েঁ হলুদ,খৎনা, বৌ-ভাত, জন্মদিন, ইত্যাদি সামাজিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠান শেষ হওযা সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব ব্যান্ড সংগীতের অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে খুবই উচ্চ স্বরে মাইক্রোফোনের ভলিয়ম ভাড়িয়ে দিয়ে হিন্দী, বাংলা ও উর্দু গান পরিবেশন করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে গানের কথার  পরির্বতে বাধ্যযন্ত্রের বেশী প্রাধান্য দেয়া হয়।ফলে গানের পরিবর্তে এখানের উচ্চ শব্দের ধ্বনী বেশী শুনা যায়। ইদানিং কালে সনাতন ধর্মের অনুসারীরাও অন্যদের দেখাদেখী তাদের বিভিন্ন পূজা-উৎসব পালন করার সময় হাইভলিয়মে ব্যান্ড সংগীত পরিবেশনের প্রথা শুরু করেছেন।এই অনাকাংখিত উচ্চ শব্দের কারনে কানের পর্দা ফেটেঁ যাওয়ার উপক্রম হয়।অনেকের প্রচন্ড মাথা ব্যাথা শুরু হয়।অনেক সময় এই অবস্থায় জটিল রোগী, বৃদ্ধ ও শিশুরা গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে।আবার অনেক সময় এই ধরনের পরিস্থিতির শিকার হয়ে অনেকে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরন করেন। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মধ্যপাড়া মহল্লার বিনয় পালের ছেলে বিজয় পাল  বাড়ীর পার্শ্বের অবস্থিত  কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত জন্ম দিনের উৎসবে পরিবেশীত ব্যান্ড সংগীতের হাইভলিয়মের গানের বাধ্যযন্ত্রের শব্দের দ্বারা হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পরে যান, এমতাবস্থায় তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।কিন্তু প্রাথমিক চিকিৎসা চলাকালেই মস্তিস্কে অতিরিক্ত রক্তক্ষরনের কারনে তার মৃত্যু হয়।এসব কমিউনিটি সেন্টার গুলোতে অতি উচ্চ স্বরে গান পরিবেশ চলে গভীর রাত পযর্ন্ত। না চাইলেও যেন সবাই শুনতে বাধ্য।আর এভাবেই দিনের পর দিন শহরের আনাচকানাচে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা সামাজিক কেন্দ্রগুলো(কমিউনিটি সেন্টার) রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শব্দদূষণের মাধ্যমে একজনের পারিবারিক অনুষ্ঠান পৌঁছে দিচ্ছে আশপাশের সবার কাছে, বিনা অনুমতিতে, বিনা নিমন্ত্রণে।

একদিকে যেমন শহরের রাস্তাঘাট কিংবা নাগরিক সুবিধার কথা চিন্তা না করে যেখানে-সেখানে স্কুল-কলেজ-হাসপাতাল ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, তেমনি নিয়ম না মেনেই গড়ে উঠছে কমিউনিটি সেন্টারগুলো শহরের গলির এদিক-সেদিক। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, একতলা, দোতলা কিংবা তিনতলা একটিস্থাপনার চারপাশে থাকছে সাধারন মানের ইটের দেয়াল-জানালা অথবা কাচ দিয়ে ঘেরা পার্টিশন। ছাদে দেখা যায় টিন-জাতীয় ছাউনির ব্যবহার, যা সাধারণভাবে ঢালাইকৃত। নেই কোনো শব্দনিরোধক উপকরণের ব্যবহার বা ইনসুলেশন। এভাবেই গড়ে উঠেছে কেন্দ্রগুলো।

একটি কমিউনিটি সেন্টারের সামনে যে পরিমান জায়গা অতিথিদের গাড়ি রাখার জন্য প্রয়োজন, তা ঠিকঠাক মানা হচ্ছে না। এত করে যেকোনো অনুষ্ঠানের সময় অতিথিদের গাড়ি রাস্তায় র্পাকিং করা হচ্ছে আর সাধারণ নাগরিকদের চরম দুর্ভোগে রাস্তায় চলাফেরা করতে হচ্ছে। তা ছাড়া প্রয়োজনীয় জায়গা না থাকার দরুন অতি জনসমাগমের জন্য অতিরিক্ত অসহনীয় আওয়াজ ও গাড়ীর ভেপুর শব্দ আশপাশ এলাকার শব্দদূষণের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে যা একজন সুস্থ্য লোকের পক্ষে সহ্য করা খুবই কঠিন। অতিরিক্ত মুনাফা  জন্যে ভূমির মালিকরা নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে  যেকোনো জায়গায় গড়ে তুলছে সুউচ্চ ঘরবাড়ী, বিশাল বড় বড় র্মাকেট ও দৃষ্টি নন্দন কমিউনিটি সেন্টার।কিন্তু উক্ত স্থাপনা গুলির সামনে নেই কোনো প্রশস্ত রাস্তা-গাড়ী র্পাকিংয়ের জন্যে এবং ভেতরের উৎপন্ন শব্দ যেন বাইরে আসতে না পারে, সে জন্যে নেই কোনো বিশেষ ধরনের ব্যবস্থা। এ ছাড়াও নেই অগ্নিনিরোধক ব্যবস্থা ও বর্হিগমনের রাস্তা।

অন্যদিকে অনেক সুউচ্চ আবাসিক ভবনে নিচের তলার দিকে সামাজিক অনুষ্ঠান পালন করার জন্য বিধি মোতাবেক নিদির্ষ্ট জায়গা রাখা হলেও শব্দনিয়ন্ত্রণের বিষয় বিবেচনায় আনা হচ্ছে না। যেহেতু এ ধরনের স্থাপনার অতি উচ্চমাত্রার শব্দ তৈরী হয়, সেহেতু এ ধরনর স্থাপনার কক্ষের উচ্চতার ক্ষেত্রেও বিশেষ বিবেচনা প্রয়োজন বৈকি! এমন পরিস্থিতিতে নিদির্ষ্ট জায়গায় অনুষ্ঠান হলেও রাতের বেলায় শব্দদূষণের কারনে আশপাশের সবাইকে অসীম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

আমাদের দেশে যুগ যুগ ধরে আলেম সমাজ নভেম্বর থেকে র্মাচ মাস পযর্ন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে ওয়াজ মাহফিলে গুরুত্বর্পূন ধর্মীয় বয়ান প্রদান করে আসছেন।এ সব ধর্মীয় সম্মেলন বা সভা চলে একনাগার ৩ থেকে ৫ দিন পযর্ন্ত।উক্ত সম্মেলনে বক্তার মূল্যবান ধর্মীয়  বয়ান শোনার জন্যে দর্শক ও শ্রোতারা হুমরী খেয়ে পড়েন। এসব মূল্যবান ধর্মীয় আলোচনা চলে গভীর রাত পযর্ন্ত। নিরিবিলি জায়গায় কারোরই কোনো ধরনের অসুবিধা না করে সমধুর কন্ঠে সহনীয় পর্যায়ে শব্দের ধ্বণী নিয়ন্ত্রনে রেখে বক্ততারা তাদের মূল্যবান বক্তব্য দিয়ে থাকেন। এত দর্শক ও শ্রোতারা বেশ অনুপ্রিানিত হন।কিন্তু পরিতাপের বিষয় ইদানিং কালে এসব ধর্মীয় সম্মেল বা আলোচনা সভা হিতের বিপরীত হয়ে দাড়িঁয়েছে। যেখানে মাইক্রোফোনের একটি হরন হলেই চলে সেখানে ১০/১২টি হরন অযথা ব্যবহার করা হচ্ছে।মাইক্রোফোনের বিকট আওয়াজর কারনে বিরক্ত হয়ে দর্শক ও শ্রোতারা ওয়াজ মাহফিল শোনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। এছাড়াও মাইকের উচ্চ আওয়াজের কারনে আশপাশ এলাকার অসুস্থ্য রোগী, বৃদ্ধ ব্যক্তি ও শিশুরা অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন। প্রতিবাদ করার কেউ নেই।এ যেন জবরদস্তিমুলক ধর্ম প্রচার। ইসলাম র্ধমে কিন্তু জবরদস্তিমুলক ধর্ম প্রচার সর্ম্পূনরূপে নিষেধ। এছাড়াও বতর্মানে বেশী ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, র্ধমীয়প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনীক প্রতিষ্ঠানের ছোট ছোট কক্ষে অযথা মাইক ব্যবহার করে শব্দদূষনের মাত্রা বড়িয়ে দিচ্ছে। বিনা প্রয়োজনে মাইক ব্যবহার এখন ফ্যাশনে পরিনত হয়েছে।

কল-কারখানা, বাস স্ট্যান্ড,রেলওয়ে স্টেশন, বিমান বন্দর,লঞ্চঘাট, হাটবাজার ইত্যাদি এলাকায় শ্রমিক ও চালকরা বিনা প্রয়োজনে উচ্চ শব্দে কাজ করে থাকেন,যা শব্দদূষণের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে। আর্ন্তজাতিক নিয়ম অনুযায়ী, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, আবাসিক ও প্রশাসনীক এলাকা গুরি হলো শব্দদূষণ মুক্ত এলাকা। কিন্তু আমাদের দেশে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রনে সরকারের প্রচলিত আইন তেমন শক্তিশালী নয় বলে সমাজের সর্বস্তরের লোক উক্ত পরিবেশ আইনের প্রতি নূণ্যতম শ্রদ্ধাবোধ না রেখে নিয়মিত ভাবে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রন আইন ভঙ্গ করে চলছে।

অতি মাত্রার শব্দ পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ।যদি সমগ্র দেশে শব্দদূষণের মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকে  তা হলে এক পর্যায়ে মানুষের  শ্রবনশক্তি নেমে আসবে শূন্যের কোঠায়; যা সভ্য সমাজের জন্য মোটেই মঙ্গলজনক নয়। এমতাবস্থায় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রনে আনার জন্যে সরকারের উচিৎ দ্রুত কঠোরতর  আইন প্রনয়ণ করে তা বাস্তব করা। তা হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশ নিশ্চিত হবে এবং শব্দদূষণ জনিত সামাজিক অস্থিরতা দূর হবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন সরকারী প্রশাসন, বেসরকারী সামাজিক সংগঠন এবং প্রচার মাধ্যম গুলির সমন্মিত প্রচেষ্টা।

পরিশেষে বলতে চাই,সভ্য ও আধুনিক সমাজ বির্নিমাণ, বুদ্ধিদীপ্ত ভদ্র ও বিকশিত ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরির স্বার্থে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ আজ অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে সবারই বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন।পাশাপাশি পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী-বায়ুদূষণ ও পানিদূষণ নিয়ন্ত্রণের প্রতিও সমান গুরুত্ব দিতে হবে; তা হলেই আমরা সভ্য ও আধুনিক সমাজ বির্নিমাণ সার্থক ও সফল হবো।

খায়রুল আকরাম খান: ব্যুরো চিফ, দেশ দর্শন।

Some text

ক্যাটাগরি: বিজ্ঞাপন, মতামত

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

The Disadvantages of totally free…

Why I Bought TWO Persian…

Syrian Girl for Dummies

The Simple Truth About Russian…

New Report Shows The Reduced…

Azerbaijan Girls – Five Popular…

5 Closely-Guarded Bangladesh Women Strategies…

The New Fuss About Panamanian…

Simply How Much You Should…

The Thing You Need To…