সোমবার দুপুর ১২:৫৮, ১৩ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ. ২৭শে মার্চ, ২০২৩ ইং

সরাইল-ধরন্তী মিনি কক্সবাজারে পর্যটকদের পদচারণায় উপচেপড়া ভীড়

৮৩৮ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

ঈদকে ঘিরে হাওর আকাশীর বুঁকে পর্যটকদের উপচেপড়া ভীড়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের ধরন্তী থেকে নাসিরনগরের কুন্ডা পর্যন্ত এলাকাটি পরিণত হয়েছে বিনোদনের অন্যতম স্থান হিসেবে। ভ্রমন আর সৌন্দর্য পিপাসু শত শত মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন সেখানে। কার, মাইক্রো, আর সিএনজিতে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাইরে থেকেও আসছেন বহু মানুষ। শখ করে জায়গাটির নাম দেয়া হয়েছে মিনি কক্সবাজার। সরাইল নাসিরনগর সড়কের দু’পাশে বিস্তৃত বিশাল আকাশ। হাওর বর্ষায় দেখা দেয় অন্যরূপ। যেন এক সমুদ্র।

তীরের ন্যায় সড়কের গোড়ায় এসে আচড়ে পড়ছে বড় বড় ঢেউ, শো-শো বাতাস সব মিলিয়ে মন উতাল করার মত এক পরিবেশ। হাওরের জলে সাঁতার কেটে, নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়িয়ে প্রান জুড়ান সৌন্দর্য প্রেমী মানুষ। আষার থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত এখানে বেড়ানোর মৌসুম। ৬-৭ বছর আগে সরাইল-নাসিরনগর সড়কটি নির্মিত হওয়ার পর থেকেই বিনোদন প্রেমী মানুষের কাছে আস্তে আস্তে জায়গাটি প্রিয় হয়ে উঠে। বন্যার কড়াল গ্রাস থেকে রক্ষা ও স্থায়ীত্ব বৃদ্ধির লক্ষে দু’দিকে সিমেন্টের তৈরী ব্লক দিয়ে রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছে। ধরন্তী থেকে কুন্ডা পর্যন্ত রাস্তাটির দু’দিকে অত্যন্ত মজবুত করে ব্লক বসানো হয়েছে। মাঝ খানে নির্মিত হয়েছে ২টি ব্রীজ। দু’দিকে বহমান আকাশী হাওড়। বিল এর শোভা বর্ধন করেছে। ধরন্তী সড়কটির মনমুগ্ধকর দৃশ্য পর্যটকদের মন ও দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হয়েছে। বর্ষা মওসুমে স্থানটিকে প্রকৃতি যেন অপরুপ রুপে সঞ্জিত করে। শ্রাবণ  মাসের শুরুতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে স্থানটিতে মানুষের পচদারনা বাড়তে থাকে।

হাওড়ের স্বচ্ছ পানির ঢেওয়ের কল কাকলিতে পর্যটকদের মন ভরে উঠে। খোলা আকাশের নীচে সতেজ মুক্ত বাতাস বিনোদন পাগল  মানুষের মনে স্বস্থি দেয়। ভ্রমন পিপাসুদের কেউ কেউ লাফিয়ে পানিতে পড়ে সাঁতার কাটে। কেউ নৌকায় অনেক দূর পর্যন্ত ভ্রমন করে। দুপুরের পর থেকে এখানে বিভিন্ন বয়সের মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। এক সময় ২কিঃ মিঃ রাস্তাটিতে মানুষের ঢল নামে। বিশেষ করে শুক্র ও শনিবার সরকারী ছুটি থাকায় লোক সমাগম বেশী হয়। সব বয়সের মানুষ আসে এখানে। ব্লকের উপর জোড়ায় জোড়ায় আবার কোথাও দল বেঁধে ছেলে-মেয়েরা বসে গল্প করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, মাধবপুর চান্দুরা, ইসলামপুর, আশুগঞ্জসহ অনেক দুর দূরান্ত থেকে ভ্রমন পিপাসুরা ছুটে আসেন এখানে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ঢেউয়ের তুলনায় এখানের ঢেউ ছোট। বিকেল শেষে যখন গোধুলী আসে, পশ্চিম আকাশে সূর্য অস্তমিত হতে থাকে তখন সমস্ত আকাশ লাল হয়ে দৃশ্যপট পাল্টে যায়। বর্ষার মৌসুমে রাস্তার দু’পাশে থৈ থৈ পানি মাঝে পিচ ঢালা পথ। দেখে মনে হবে এ পথটি যেন পানিতে ভাসছে। দূরে দেখা যাচ্ছে ছোট ছোট গ্রাম যা দেখতে অনেকটা দ্বীপের মত আর বিকেলে বিশুদ্ধ বাতাস, দলায়িত ঢেউ,নৌকায় ঘোরাঘুরি আর শেষ বিকেলের সূর্যান্ত এ যেন এক অপরূপ দৃশ্য। ফলে দর্শকদের ভিড়ে আকাশী মুখরিত হয়ে উঠে। প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তায় মানুষের ঢল নামে। এজন্য অনেক পর্যটক স্থানটিকে বলেছেন মিনি কক্সবাজার।

এখানে কবি সাহিত্যিক, সাংবাদিক সহ অনেক বরন্য ব্যক্তিবর্গ আসেন। বর্ষার পানি চলে যাওয়ার সাথে সাথে ৩-৪ মাস স্থায়ী প্রকৃতির সৌন্দর্য্য ও বিদায় হয়ে যায়। প্রতিদিন হাজার হাজার ভ্রমণ পিপাসীর তৃষ্ণা মেটাচ্ছে এই হাওরে। ঈদ, পূজা-পাবণ বিভিন্ন উৎসব ঘিরে এখানে মানুষের উপচে পড়া ভীড় দেখা যায়। সুন্দর ও আকর্ষনীয় হয়ে উঠুক মিনি কক্সবাজার খ্যাত সরাইল-নাছিরনগর-লাখাই সড়ক। এই প্রত্যাশা পর্যটক ও এলাকাবাসী সকলের।

 শেখ মো.ইব্রাহীম, সহ-সম্পাদক, দেশ দর্শন

Some text

ক্যাটাগরি: খবর

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

Flirt4free Review: Security, Prices, Models

The Best Chat Room Apps…

Videochat de sexo

Take part in the Finest…

The Fantasy About Ukraine Girls…

The Hidden Treasure Of Costa…

Se corre en su cara

On the web Pokies Modern…

5 Simple Techniques For Portuguese…

The Idiot’s Guide To Sexy…