শুক্রবার সকাল ৯:০৭, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ৩রা মে, ২০২৪ ইং

স্কুল ভবন নির্মাণের দশ বছরেই পরিত্যক্ত ঘোষণা: এখন গোয়াল ঘর

৭০৩ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

বিদ্যালয় মাঠের পশ্চিম দিকে পরিত্যক্ত ভবনটিতে ৩টি গরু বেঁধে রাখা হয়েছে। ভবনের একপাশে রাখা হয়েছে গো-খাদ্য। এছাড়াও বিভিন্ন মালামাল ভর্তি বেশকিছু বস্তা সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার গুনারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ভবন নির্মাণ হওয়ার মাত্র দশ বছর পরই এটিকে পরিত্যক্ত ভবন হিসেবে ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে দু’কক্ষের এই ভবনটি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির জনৈক ব্যক্তির গোয়াল ঘর হিসেবে ব্যবহার করছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয় মাঠের পশ্চিম দিকে পরিত্যক্ত ভবনটিতে ৩টি গরু বেঁধে রাখা হয়েছে। ভবনের একপাশে রাখা হয়েছে গো-খাদ্য। এছাড়াও বিভিন্ন মালামাল ভর্তি বেশকিছু বস্তা সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে। ভবনটির বিভিন্ন অংশের দেয়াল খসে খসে পড়ছে। এই ভবনের দরজা-জানালা বহু আগেই খুলে ফেলা হয়েছে। সরকারি বরাদ্দে ভবনটি বিগত ১৯৯৬ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেওয়ান রওশন আরা  বলেন, এ ভবন অন্তত এগার বছর আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. এলেম মিয়া  বলেন, এই ভবন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম হয়। নির্মাণের ছয় মাস পরই এ ভবনে ত্রুটি দেখা দেয়। কয়েক বছরের মধ্যে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। নির্মাণের মাত্র দশ বছর পরেই এই ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা দেওয়া হয়। আর ভবনের দরজা-জানালা বহু আগেই ভেঙে পড়ে নষ্ট  হয়ে গেছে। সরাইল উপজেলার উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল বাকি বলেন,  একটি পাকা ভবন নির্মাণে কমপক্ষে ৫০ বছর এর স্থায়িত্ব অবশ্যই থাকার কথা। কোন কোন ভবন ৭০ থেকে ১০০ বছরও টিকে থাকে। নির্মাণের ১২-১৫ বছরে  ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরিত্যক্ত ঘোষিত হয়, এটি আসলে কাম্য নয়। এমনটি হয়ে থাকলে নিশ্চয়ই নির্মাণ কাজে বড় ধরণের ক্রটি হয়েছে।

                                                                                                                                                   শেখ মো. ইব্রাহীম : সহ-সম্পাদক, দেশ দর্শন

Some text

ক্যাটাগরি: খবর, নাগরিক সাংবাদিকতা

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি