শনিবার রাত ৩:১০, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

ভারতীয় বিএসএফ ও পুলিশের দুই সদস্য বিজিবির হাতে আটক

৭০২ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক জন ও আগরতলা ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কনস্টেবলকে আজ সোমবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টার দিকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আটক দুই জনই সাদা পোশাকে আখাউড়া চেকপোষ্টের বাংলাদেশ অংশের প্রায় ২৫০ গজ অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছিল বলে অভিযোগ বিজিবির। আটককৃতরা হলেন, বিএসএফ ৬৯ কোম্পানীর হেড কনস্টেবল কিশান লাল ও আগরতলা ইমিগ্রেশন পুলিশের কনস্টেবল বিশ্বজিৎ সরকার।

বিজিবি আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের বসার ঘরে আটক দুইজনকে নিজেদের হেফাজতে রাখে। প্রায় তিন ঘন্টা পর বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হয়। আখাউড়া চেকপোষ্টের জিরো পয়েন্টে বসে এই বৈঠক। বৈঠক শেষে আটক দুই ভারতীয়কে ছেড়ে দেয় বিজিবি।

আখাউড়া ইমিগ্রেশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তা দেওয়ান মোর্শেদুল হক জানান, আটককৃতরা প্রায় ২৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চলে আসে। এদের মধ্যে বিএসএফ জওয়ান কিশান লাল আখাউড়া ইমিগ্রেশনের নতুন ভবন নির্মানের ভিতের কাজের ছবি তুলছিলেন।

বিজিবির সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়। এক পর্যায়ে তাকে এবং পাশে থাকা আগরতলা ইমিগ্রেশনের কনস্টেবলকে আটক করে বসিয়ে রাখা হয় ইমিগ্রেশনের বসার ঘরে। বেলা তিনটার দিকে বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে ২৫ বিজিবির আখাউড়া কোম্পানী সদর দপ্তরের কমান্ডার বদর উদ্দিন ও আগরতলা ১২০ বিএসএফ লংকামোড়া কোম্পানী কমান্ডার ত্রিবেনী কুমার সিং নেতৃত্ব দেন।

বৈঠক শেষে বিজিবি আখাউড়া কোম্পানী সদর দপ্তরের কমান্ডার বদর উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, বিএসএফের এক জওয়ান ও আগরতলা ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কনস্টেবল ভুল করে বাংলাদেশে চলে আসে। আমাদের মধ্যে সৌহার্দ বিরাজমান। আছে ভাতৃত্ববোধও। নিয়মমাফিক আলোচনা শেষে আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট আছে।

অমিত হাসান অপু : আখাউড়া থেকে

Some text

ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা, মতামত

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি