শুক্রবার রাত ১০:০৩, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

বিষাক্ত পদার্থ দিয়ে পাঁকানো হচ্ছে বিভিন্ন জাতের কলা ও ফল

৯৯৫ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

রমজান উপলক্ষে কলার ব্যাপক চাহিদা হওয়ায় সরাইল উপজেলাতে বিষাক্ত পদার্থ দিয়ে পাঁকানো হচ্ছে বিভিন্ন জাতের ‘কলা’। শনিবার বিকেলে বাজারে  এক কলা ব্যবসায়ীর দোকানে গিয়ে দেখা যায় এ দৃশ্য। এসব খেয়ে অসহায় মানুষ পেটের পীড়াসহ নানা কঠিন ও জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। রাতে যে ফল কাঁচা দেখা যায়,তা সকালেই পাকা। বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি হচ্ছে হরহামেশা। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বিষাক্ত কার্বাইড ব্যবহার ছাড়াও কৃত্রিমভাবে পাঁকানো কলা ও বিভিন্ন জাতের ফল। দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই যে, এসব ফলই সর্বনাশ করে চলছে মানবদেহের।

সরাইল বাজারে ট্রাকে করে প্রতিদিন কলা আসছে। জনৈক একজন শ্রমিক জানান, ট্রাকে আমি কাজ করে খাই, আমরা কি এত কিছু জানি কি খাইলে কি হইব, ট্রাক বোঝই করে আসে কাঁচা কলা। পরের দিন সকালে দোকানে দেখি সব কলা পাকাঁ। রমজান উপলক্ষে কলার ব্যাপক চাহিদা হওয়ায় সরাইল উপজেলাতে বিষাক্ত পদার্থ দিয়ে পাঁকানো হচ্ছে বিভিন্ন জাতের ‘কলা’। শনিবার বিকেলে বাজারে ঢুকে এক কলা ব্যবসায়ীর দোকানের সামনে অনেক কলা সাঁজানো। তার মধ্যে বিভিন্ন রঙের কলা রয়েছে। দাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাই রোজার মাসে কলা অনেক চড়া। এটার মধ্যে  ঔষধ দেওয়া। এটা নেন এগুলো খুপের পাঁকা। এ গুলো হল রাতে কাঁচা, সকালে পাঁকা। ভাই ফল ভাল পাওয়া বড়ই কঠিন।

জানা যায়, এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী অতি লাভের আশায় মানুষের জীবন বিনষ্ঠ  কাজে লিপ্ত হলেও এদের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে না আইনগত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা। ব্যবসায়ীরা কম দামে কাঁচা কলা কিনে রাতারাতি কার্বাইড নামক বিষাক্ত পদার্থ দিয়ে পাঁকিয়ে বাজারজাত করে আসছে। রাতে যে কলাসহ বিভিন্ন ফল কাঁচা, সকালেই তা ম্যাজিকের ন্যায় পাঁকা হয়ে বের হয়ে আসছে। আর এ কাজটি অহরহ চলছে।  চিকিৎসকরা জানান, কার্বাইড দিয়ে ফল পাঁকালে ফলের ভেতর বিষ ঢুকে। যা খেলে মানুষের শরীরে প্রবেশের মাধ্যমে পেঁট খারাপ, স্মৃতিভ্রম, মাথা ব্যাথা, খিঁচুনী ও বমি বমি ভাব সহ নানা কঠিন ও জটিল রোগের উৎপত্তি হতে পারে।

শেখ মো. ইব্রাহীম : সরাইল থেকে

 

Some text

ক্যাটাগরি: খবর, নাগরিক সাংবাদিকতা

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি