রবিবার রাত ১২:৩৫, ২৮শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ. ১০ই জুন, ২০২৩ ইং

নাসিনগরে দুলাভাইয়ের হাতে শ্যালক খুন

৬৪০ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের বাঘী গ্রামে টাকা ধার না দেওয়ায় শ্যালককে হত্যা করেছে দুলাভাই
নাসিরনগর উপজেলা ভলাকুট ইউনিয়নের বাঘী গ্রামের স্টেশনারী দোকানদার রাহুল সরকার এর দুলাভাই প্রহল্লাদ সরকারকে ২ হাজার টাকা ধার না দেওয়ায় গত ১৪ এপ্রিল রাহুল সরকারকে তার দুলাভাই হত্যা করেছে বলে মামলার রহস্য উন্মোচনে জানিয়েছেন পুলিশ। এই ঘটনায় গত ২৭ এপ্রিল মধ্যরাতে নিহত রাহুল সরকারের দুলাভাই প্রহল্লাদ সরকারকে (৪৫) গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারের পর হত্যার রহস্য উন্মোচিত করেছেন পুলিশ । প্রহল্লাদ সরকার নাসিরনগর উপজেলা চাতলপাড়ের মৃত রাজ গোবিন্দের ছেলে ও বাঘী গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে ঘরজামাই থাকতেন দীর্ঘ দিন ধরে । শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় , গত ১৩ এপ্রিল রাতে দোকান বন্ধ করে ফেরার পথে নিখোঁজ হন রাহুল সরকার। নিখোঁজের পর তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরই এক পর্যায়ে রাহুলের দোকানের কাছাকাছি একটি ডোবার পাড়ে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

রাহুলের মরদেহ উদ্ধারের পর তার মামা দ্বীজেন্দ্র বিশ্বাস বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলার পর বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরে গত ২৭ এপ্রিল মধ্যরাতে সন্দেহভাজন রাহুলের আপন দুলাভাই প্রহল্লাদ সরকারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সে এই হত্যাকাণ্ডে আরো দুইজন জড়িত থাকার কথা জানায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, প্রহল্লাদ সরকার কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সজিব ব্ ইটভাটায় কাজ করেন। ঘটনার আনুমানিক ১৫/২০ দিন পূর্বে ব্রিক ফিল্ড হতে বাড়িতে আসেনপ্রহল্লাদ সরকারক ।

আর ঘটনার চার দিন আগে প্রহল্লাদ সরকার শ্যালক রাহুলের কাছে দুই হাজার টাকা ধার চান। তখন রাহুল সরকার টাকা না দিয়ে প্রহল্লাদ সরকারের মাকে নিয়ে গালি-গালাজ করে। এতে প্রহল্লাদ খুব ক্ষুব্ধ হন। কিছু দিন পর স্থানীয় আরো দুইজন তারাও রাহুলের কাছে টাকা ধার চাইলে,টাকা না দিয়ে গালাগালি করেন রাহুল ।ক্ষুব্ধ হয়েূ তারা তিনজন মিলে রাহুলকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়।

ঘটনার দুই দিন আগে রাহুলের দোকানের একটু দূরে রাস্তার পাশে প্রহল্লাদসহ বাকী দুইজন একত্রিত হয়ে পরামর্শ করে। ১৩ এপ্রিল রাত ১১টায় রাহুল দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যাওয়ার সময় তিনজন মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তিনজন রাহুলের লাশ যোগেন্দ্র সরকারের পুকুরের পাড়ে ফেলে রেখে যায়। হত্যার পর লাশের পাশে ইদুর মারার বিষ ছিটিয়ে রাখে তারা। পরে তারা যে যার মতো বাড়িতে চলে যায়। নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)সাজিদুররহমান জানান, শনিবার আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিয়েছেন প্রহল্লাদ সরকার। বাকী আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

সায়মন ওবায়েদ শাকিল : বিশেষ প্রতিনিধি

Some text

ক্যাটাগরি: খবর, নাগরিক সাংবাদিকতা

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

Choosing Virtual Data Rooms

Work Search Strategies – How…

THAT World and Business

Program For Modern Business

Why Every one Is Speaing…

Using Your Hot Filipino Girls…

Hot Brazilian Girls Some ideas

What To Expect From Bark…

GRATUITO ROM: Download Oppo Stock…