বুধবার সকাল ৬:৪৭, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : কী শিখছে আজকের ছাত্রসমাজ?

৭৪৭ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই মহাবিদ্যালয়টি নিছক কোনো প্রতিষ্ঠানই নয়। এই প্রতিষ্ঠানটি একটি দেশের জন্ম দিয়েছে। তার সন্তানরা আজকে যেন তার মূল লক্ষ্য-উদ্দেশ্য থেকে অনেক দূরে সরে যাচ্ছে।

এই মহাবিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য তো ছিল একটি উন্নত জাতি গঠন করা। বড়দের সম্মান আর ছোটদের স্নেহ করা যে একটি মানবিক গুণ, এটা যেন ঢাবির সোনার ছেলেরা যেন ভুলেই যাচ্ছে। নিজের বাবা সমান ব্যক্তিদেরকে কিনা বলে চোখ নিচু করে কথা বলেন। শিষ্টাচার যেন আজকের ছেলেপেলেরা ভুলেই যাচ্ছে।

আমাদের এক সম্মানিত শিক্ষক আছেন। যিনি ঢাবিরই একজন প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন। নাম তাঁর আব্দুল মতিন। বয়সের ভারে যিনি এখন ক্লান্ত। যিনি তৎকালিন আল্লামা ইকবাল হল, অর্থাৎ বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে থাকতেন। স্যার বলেন, “আগে একটা ছাগল ঢাবিতে ভর্তি হয়ে মানুষ হয়ে বের হত। এখন আর তা হয় না।এখনো ঢাবিতে ভালো মানুষ তৈরি হয় না তা নয়।তবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সোনার মানুষ তৈরি হচ্ছে না। আর এটা হচ্ছে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রভাবে। আজকের ছাত্র রাজনীতিবিদরা মানুষের সাথে রূঢ় আচরণ করাকেই রাজনীতির অংশ মনে করেন। মানুষের সাথে সুন্দর আচরণ করার মধ্যে যে রাজনৈতিক সৌন্দর্য লুকায়িত তা তারা কখনো ভেবে দেখেন না।

২৩ জানুয়ারি রোজ বুধবার সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ক্যান্টিনে রাতে খাবার খাওয়ার সময় দেখলাম এক ছাত্রনেতার ম্যানেজারের সাথে কথাকাটাকাটি হচ্ছে। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে বাবা সমান ম্যানেজারকে বলে চোখ নামিয়ে কথা বলতে। পরে জানতে পারলাম আগের দিনের টাকা চাওয়ায় ঐ ছাত্রনেতা হঠাৎ রেগে যান। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে বকিয়া অস্বীকার করে বসেন।নিরাপত্তার জন্য ঐ ম্যানেজার ও ছাত্রনেতার নাম উল্লেখ করতে পারলাম না। এভাবেই চলছে ঢাবির প্রতিটি হল।

অপরদিকে ক্যান্টিন ম্যানেজাররা বাজারের সবচেয়ে পচা মালটা সরবরাহ করছে খাবারের জন্য। একদিন শাহবাগ দিয়ে আসার সময় দেখলাম এসএম হল ক্যান্টিনের দুই কর্মচারী কাওরান বাজার থেকে নষ্ট তরিতরকারি ভ্যানে করে নিয়ে যাচ্ছে। এভাবেই নিম্ন শ্রেণীর কর্মচারীরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে।

আর প্রভোস্ট এবং হাউজটিউটরদের কথা আর কি বলব? উনারা তো সবকিছু দেখেও না দেখার ভান করেন। আর ক্যান্টিনে খাবারের ভালো আইটেমগুলো বাদ দিয়ে নিম্ন মানের আইটেমগুলো রেখেছেন শুধুমাত্র খরচ বেশি হবে বলে। আর ছাত্রনেতারা টাকা পরিশোধ না করে দিনের পর দিন খেয়ে যাচ্ছে।

এভাবেই প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাবার প্লাস পড়ালেখার মান কালের আবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে।

সূত্র : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী

Some text

ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা, মতামত

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি