রবিবার রাত ১২:৪২, ২৮শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ. ১০ই জুন, ২০২৩ ইং

স্বীকৃতির দর্পন

৬০৭ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

যখন আমাদের স্বীকৃতি ছিলনা তখন কমতিটা কোথায় ছিল ? আর স্বীকতিৃতে আমরা এমন কী সোনার হরিণ পেলাম যে, যা ছাড়া আমাদের দিনাতিপাত হচ্ছিলনা। স্বীকৃতিটা কি আমাদের এতই প্রয়োজন ছিল ? যে এর জন্য একজন স্বীকৃত জালিমের পক্ষে লড়াইয়ে মাঠে নামতে হবে।

জালিমের দ্বারা উপকৃত হলে তাকে ধন্যবাদ দেয়া যেতে পারে। কিন্তু তার প্রশংসা করা যায়না। কারণ জালিম কখনো নিজের স্বার্থ বিকিয়ে বিপক্ষের উপকার করতে আসেনা।

এই স্বীকৃতির মুলা ঝুলিয়ে কী না করা হয়েছে ? এই মুলা ঝুলিয়ে একটি ঈমানী আন্দোলনের কবর রচনা করা হয়েছে। দলমত নির্বিশেষে সারাদেশের উলামায়ে কেরামদের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্মকে ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়া হয়েছে। ইসলামী দলগুলোর মাঝে ফাটল ধরিয়ে বহুধাবিভক্ত করা হয়েছে। রাজনৈতিক ভাবে দেওলিয়া হয়ে তারা এখন উদভ্রান্তের মত এদিক ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছে।

এই স্বীকৃতিতে আমরা হয়তো সামান্য কিছু পেয়েছি। কিন্তু তারা যা করেছে নিজেদের জন্যই করেছে। তারা যা চেয়েছে তাই পেয়েছে এবং পাচ্ছেও। এক স্বীকৃতির বিল পাশ করতে নয় বছর লাগেনা। লাগানো হয়েছে। বাঙ্গালী যে সহজেই অনেক কিছু ভুলে যায় এটা সরকার খুব ভালো করেই জানে।

স্বীকৃতিটা দুই বছর আগে দিলে ও এতদিনে বাঙ্গালীর মন থেকে তা মুছে যেতো। অন্তত সরকার যে তাদের জন্য কিছু একটা করেছে সেই কথা তারা ভুলেই যেতো । যেমন ভুলে গেছে শাপলার কথা। সেদিন প্রধানমন্ত্রি সংসদে দাড়িয়ে বক্তৃতায় উপহাস করে বলেছিলেন হুজুররা নাকি গায়ে রং মেখে রাস্তায় শুইয়ে ছিল। আর পুলিশ যখন তাদের ধরতে গেল অমনি উঠে দৌড় দিয়েছিল। কি মজার কথা। সত্যিইতো ! রক্তের দাগ তো এত তাড়াতারি শুকায় না। সেটা রং ছিল বলেই হয়তো অতি সহজে মন থেকে মুছে গেছে।

এই মুহুর্তে সরকারের জন্য তার পক্ষে লড়াই করার সৈনিকের প্রয়োজন ছিল । স্বীকৃতির বিনিময়ে সেটা পেয়ে গেছে। এখন একটা সংবর্ধনার দরকার সেটাও পেয়ে যাবে হয়তো। কিন্তু খেলাটা যে কি হচ্ছে সেটাতো আমরা বুঝি। এই নাটের গুরু কারা তাদের আমরা চিনি। কারা মুরুব্বীর কানে সর্বদা ফিস ফিস করে তা আমরা জানি। কান ঝালাপালা না করলে পুত্রের খুনিকে পিতা কোনদিন সংবর্ধনা দিতে পারেনা ।

সব মিলিয়ে এইমূহুর্তে মনে হচ্ছে স্বীকৃতি নামের এক কঠিন ফাঁদে আমরা হয়তো আটকে গেছি। বুঝতে পারছি যে স¦ীকৃতিটাকে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের সিঁড়ি বানানো হয়েছে। গনভবনে ডেকে এনে সেঁধে সেঁধে স্বীকৃতি দেওয়ার ফন্দিটা এবার পরিস্কার হয়েগেছে। সংবর্ধনা দিতে না চাইলেও যে জোর করে তা নেওয়া হচ্ছে স্বীকৃতির দর্পনে তাই দেখা যাচ্ছে।

Some text

ক্যাটাগরি: মতামত

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

Choosing Virtual Data Rooms

Work Search Strategies – How…

THAT World and Business

Program For Modern Business

Why Every one Is Speaing…

Using Your Hot Filipino Girls…

Hot Brazilian Girls Some ideas

What To Expect From Bark…

GRATUITO ROM: Download Oppo Stock…