বৃহস্পতিবার রাত ১:১৪, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

আমার দিনরাত্রী পর্ব-৫

৭১১ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পরিবার ও রাষ্ট্রকে একই ক্যটাগরিতে ফেলা হয়েছে। পার্থক্য শুধু ছোট আর বড়। পরিবারের সদস্য সংখ্যা যেখানে সর্বোচ্চ ২৫/৩০ জন মানুষ। সেখানে রাষ্ট্রে নাগরিকের সংখ্যা কোটি কোটি মানুষ। পরিবার প্রধান অযোগ্য হলে পরিবারের কি উপায়? অনেকটা নাগরিকদের অযোগ্যতা ও অসার্ম্যথতাও বটে!

তাদের সকলের সামনে ঘটনা ঘটছে, নাগরিকেরা দেখেও না দেখার ভান করছে। অর্থাৎ অনিয়ম হচ্ছে, কেউ প্রতিবাদ করছে না। যদি কেউ প্রতিবাদ করার চেষ্টা করে, আর প্রতিবাদকারীর সংখ্যা অল্প হয়, তাহলে উল্টো প্রতিবাদকারীকে দোষারোপ করা হয়। এই যে ঘুষ, দুর্নীতি, এ ব্যাপারে কথায়, লেখায় সবর্ত্র সবাই সোচ্চার। কিন্তু বাস্তবে কমবেশি সবাই জড়িত। কিছু ব্যতিক্রম থাকার কথা ছিল, দরকার ছিল। সাধারণতঃ সৃষ্টিতে কিছু ব্যতিক্রম পাওয়া যায়। কিন্তু কি অদ্ভুত! এ ব্যাপারে ব্যতিক্রম পাওয়া গেল না। সবাই নিঃশ্চুপ সামান্য সংখ্যক মানুষও এ ব্যাপারে সোচ্চার হল না।

রাষ্ট্র ধীরে ধীরে উন্নত হচ্ছে, উন্নয়নের গতি আরও বেগবান হত যদি সুশাসন নিঃশ্চিত হত। এত দৃশ্যমান উন্নয়নের পরও ফকিরাপুলের ফকির অথবা বস্তির সংখ্যা কিন্তু কমছে না! শিক্ষাক্ষেত্রে অনিয়ম ও সময়ের অপচয়, অবৈধ অর্থের লেনদেন সবচেয়ে বেশি। অথচ এই অঙ্গনটাই সবচেয়ে বেশি পুতপবিত্র থাকার দরকার ছিল। আর শিক্ষাঙ্গনটা যদি পুতঃপবিত্র থাকত, তাহলে এই নশ্বর পৃথিবীতেও কিছুটা হলেও বেহেশতি পরিবেশ বিরাজ করত!

সরকারের অন্যান্য বিভাগেও ব্যাপক দুর্নীতি কোন বিভাগই দুর্নীতিমুক্ত নয়। সকল দুর্নীতির মূল উৎস শিক্ষা বিভাগ। কারণ সরকারের সকল কর্মকর্তা কর্মচারি শিক্ষা বিভাগ থেকে শিক্ষা নিয়েই কর্মে প্রবেশ করে। সমস্যা কি জানতে পারলাম! সমাধানও পেয়ে গেলাম। অর্থাৎ দুর্নীতি র্নিমুল করতে হবে, উচ্ছেদ করতে হবে । কিন্তু দুর্নীতি নির্মুল করবে কে? বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাধবে কে? বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাধার গল্পতো সবারই জানা তাই গল্পটা লিখলাম না।

দেশের প্রধান বিচারপতি নিজে বললেন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। তারই অধীনস্থ আইন মন্ত্রী বললেন, প্রধান বিচারপতি অসুস্থ। আইন মন্ত্রীকে প্রধান বিচারপতির অধীনস্থ বললাম কথাটা কেমন লাগে! শুধু আইনমন্ত্রি কেন? সারাদেশ প্রধান বিচারপতির আওতাধীন। কেমনে? সরাদেশ কার আওতায়? সারাদেশ সংবিধানের আওতায়। আর সংবিধানের অভিভাবক কে? সংবিধানের প্রকৃত অভিভাবক অর্খাৎ ব্যাখাকারী প্রধান বিচারপতি। ইতিমধ্যে জানলাম প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রের(৩) তিন নম্বর ক্ষমতাধর ব্যক্তি। আবার সংবিধান তৈরী করে কে? সংবিধান তৈরী করে জনপ্রতিনিধিরা (অবশ্য বর্তমানে অতি গোপনে দেশী বিদেশী স্বার্থ্বান্বেষী মহল এর রচনায় জড়িত থাকে)।

বর্তমান বাংলাদেশের প্রচলিত সংবিধানে ১৪০ নং ধারায় উল্লেখ আছে যে, মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ যে আদেশ দান করবেন সে আদেশ সরকার যথাযথভাবে প্রতিপালন করবে। আর এটাকেই সাংবিধানিক বাধ্যবাদকতা বলা হয়। এরকম সুস্পষ্ট আইন থাকার পরও হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। মানুষ পরিকল্পনা করে, কিন্তু মহাপরিকল্পনা করে কে? মানুষের পরিকল্পনা হয়ত কিছু বাস্তবায়ন হয়, অথবা হয় না। কিন্তু মহাপরিকল্পনাকারীর মহাপরিকল্পনা পরিপূর্ণভাবেই বাস্তবায়িত হয়। এই যে বিষয়গুলো আমার নিকট অন্যায়-ভুল-মিথ্যা বলে সুস্পষ্ট মনে হল, আমরা একসঙ্গে বসবাস করি অথচ সবার নিকট ব্যাপারটা এরকম মনে হল না।

চলবে…

Some text

ক্যাটাগরি: মতামত

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি