মঙ্গলবার সকাল ১০:৫৯, ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ. ৩রা অক্টোবর, ২০২৩ ইং

চাপুইরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য!

২৬৭৭ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ২ টি
চাপুইর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা গ্রাম। গ্রামের উত্তর পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে বিখ্যাত তিতাস নদী। জেলা শহর থেকে আনুমানিক ১৫ কিলোমিটার দূরে এই গ্রামের অবস্থান। রেল, সড়ক ও নৌপথে যাতায়তের সহজ ব্যবস্থা রয়েছে। বিশেষ করে কাউতলী থেকে সিএনজি যোগে মাত্র ৪০ টাকা ভাড়ায় চিনাইর হয়ে সহজেই অতি অল্প সময়ে যাওয়া যায়।

রেলযোগে ভাতশালা অথবা আখাউড়া থেকে যথাক্রমে ১০ এবং ২০ মিনিটে যাওয়া যায়। তাছাড়া নৌকা যোগে সাড়া বছরই তিতাস নদীর উপর দিয়ে চলা নদীপথ দিয়ে যাওয়া যায়। তবে বর্ষাকালে নৌকায় যাতায়াত সহজ ও চমৎকার হয়ে থাকে। খাল, বিল, পুকুর, নদী, নালা, আঁকাবাকা রাস্তা ও শতশত একর ফসলী মাঠে সমৃদ্ধ আমাদের চাপুইর। এদেশের বিভিন্ন ঋতুতে চাপুইরের প্রকৃতি বিভিন্ন সাজে সজ্জিত হয়। গাছে ফুল-ফল, নদী ভড়া জল, পাখির কন্ঠে গান, কবির এই কথার বাস্তব দৃষ্টান্ত এই গ্রামে প্রবেশের পর উপলব্ধি করা যায়।

শতাইন্না ঘাট, শিয়াইল্লা বিল, কাইজলা বিল, পার্শ্ববর্তী শাপলা বিল বিশেষ করে তিতাস নদী এবং হলুদ সরিষা ফুল কিংবা পাকা ধানে আবৃত করে রাখে গামটাকে। “মাছে-ভাতে বাংগালী” এই প্রবাদের বাস্তব দর্শন চাপুইরে পাওয়া যায়। মাছ ও ভাতের সমাহার রয়েছে এই গ্রামে। মাছ ধরে/চাষ করে ও ফসল উৎপাদ করে গ্রামের চাহিদা পরিপূর্ণ করেও অন্যত্র সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

গ্রামের ভেতর থেকে আসা পাকা রাস্তার সমাপ্তি ঘটেছে বিখ্যাত তিতাস নদীতে। ববর্ষাকালীন সময়ে যেন দর্শনীয় স্থানে পরিনত হয় এই রাস্তাটি। রাস্তার দুপাশে শুধু পানি আর পানি, যেন সমুদ্রের জল।

তাছাড়াও শিক্ষা সমৃদ্ধে আদর্শ গুণীজনে আধিক্য এই গ্রামে কৃষক ও সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের বসবাস। স্কুল, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, বাজার, ঈদগাহ ও সামাজিক সংগঠনসহ আধুনিক পরিবেশও দৃশ্যমান এই গ্রামে।

Some text

ক্যাটাগরি: ছবি ব্লগ, নাগরিক সাংবাদিকতা

[sharethis-inline-buttons]

২ কমেন্ট “চাপুইরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য!

Leave a Reply

লঞ্চে যৌন হয়রানি