বুধবার রাত ৯:২৭, ৮ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ. ২২শে মার্চ, ২০২৩ ইং

আমাদের সমাজ ও নারী

৫৬৮ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

মানব সমাজ গড়ে ওঠার মৌলিক উপাদান মানুষ। মানুষ বলতে আমরা বুঝব নারী ও পুরুষ। নারী-পুরুষ ছাড়া মানব সমাজ কল্পনা করা যায়না। অথচ আমাদের বর্তমান তথাকথিত সমাজ নারীকে কতটা অবমূল্যায়নের চোখে দেখে, শিক্ষিত সচেতন মানুষমাত্রই তা জানেন। অন্যদিকে ধর্ম নারীদের যে বিশেষ সম্মান ও মর্যাদা  দিয়েছে, ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিগণ সার্বিক সমস্যার মোকাবেলায় তার সঠিক ব্যাখ্যা করতে পারছে না। তারা ধর্মের যতটুকু বুলি আওড়ান, এর বাস্তবতা তাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে খুঁজে পাওয়া যায় না। বিষয়গুলো একটু চোখ-কান খোলা রেখে সেসব ধর্মীয় পরিবাবের ভিতরে ঢুকে খোঁজ-খবর নিলেই সুস্পষ্ট হয়ে যায়।

অবশ্য ধর্মীয় পরিবারের মহিলাগণ বুঝতে পারেন না এই পরিস্থিতি। একজন নারী পরিবার, সমাজ, অর্থনীতি ও সামগ্রিক বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলা এবং কাজ করা কতটা কঠিন এবং ঝুঁকিপূর্ণ, তা বলার অপেক্ষা  রাখেনা। আমাদের সমাজে যুগ যুগ ধরে নারী নির্যাতন হয়ে আসছে। পত্র-পত্রিকা, টিভি চ্যানেল খুললে দেখা যায়, প্রত্যহ ধর্ষণ-হত্যা-নির্যাতনের খবর। এই জুলুম-নির্যাতন অন্ধকার যুগে ছিল। এখরনা আছে, তবে কৌশল পরিবর্তন হয়েছে মাত্র।

২৯-0৭-২০১৮ তারিখে অনলাইনে একটা খবর প্রকাশ হয়, যার শিরোনাম, নগ্নছবি ছড়ানোর কথা বলে ধর্ষণ করলো মাদ্রাসা সুপার। একজন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, যিনি হাজার মানুষকে কোরআন ও হাদিস শিক্ষা দেন। তিনি এমন হলে আমরা কী আশা করতে পারি তার কাছ থেকে? কিছুদিন আগে একটি লোকাল পত্রিকায় দেখলাম, একজন মাদ্রাসার শিক্ষক  মাত্র  আট বছরের শিশুকে হত্যার হুমকি দেয়,  দশ-বারো বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে। আজকের সমাজ আধুনিক ও সভ্য না হয়ে যেন দিন দিন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে।

 

ছোটবেলায় স্কুল বা প্রাইভেট থেকে একা বাসায় আসার সময় সন্ধ্যা হলে একজন বাবার বয়েসী লোকের সঙ্গে বা পিছেনে হেঁটে বাসায় আসতাম। আজ কি তা সম্ভব? না। কারণ আজকাল এই বয়েসী লোকেরা তাদের মেয়ের বয়েসী মেয়েদের অশ্লীল ভাষায় উক্তি করে। কোথায় আমাদের নিরাপত্তা? বাবার কাছ থেকে মেয়ের, শিক্ষক থেকে ছাত্রীর রক্ষা নেই।

হুজুর-মাওলানারা ওয়াজ-তাফসিরে নারীদের নিয়ে অনেক অশ্লীল ও অযৌক্তিক কথা বলেন। এসবের শেষ হবে কবে? এ থেকে কি নারী সমাজ রক্ষা পাবে? আমার জানা নেই। আমি গত ৫-১০ বছর যাবত পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যাগুলো নিয়ে গভীরভাবে ভাবছি। পড়াশোনা করছি। লেখালেখি ও সাংবাদিকতার মধ্যেমে কিছু কাজ করার চেষ্টা করছি । এ ক্ষেত্রে আমার আগ্রহটা অদম্য। পরিবার-পরিজন, প্রতিবেশী, বোন-বান্ধবীরা এ ক্ষেত্রে আমাকে তেমন  সহযোগীতা করতে পারছে না। বরং তারা মনে করছেন, আমি এ ক্ষেত্রে বেশিদিন টিকতে পারব না । কারণ কি? জানতে চাইলে তারা তেমন কোনো উত্তর দেয় না।

আয়েশা আহমেদ লিজা :

সাংবাদিক, ডেইলি অবজারভার

Some text

ক্যাটাগরি: আত্মজীবনী, ধর্ম, মতামত

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

Flirt4free Review: Security, Prices, Models

The Best Chat Room Apps…

Take part in the Finest…

The Fantasy About Ukraine Girls…

The Hidden Treasure Of Costa…

Se corre en su cara

On the web Pokies Modern…

5 Simple Techniques For Portuguese…

The Idiot’s Guide To Sexy…

The Fundamentals Of Turkish Girls…