![](http://www.old.deshdorshon.com/wp-content/themes/deshdorshon/images/featured_image_large.jpg)
মিথ্যা বলা হারাম। সত্য হচ্ছে প্রত্যেকটা ধর্মশাস্ত্রের একটি মৌলিক শক্তি৷ পবিত্র ধর্মশাস্ত্রগুলো একসুরে বলছে, সৃষ্টিকর্তা একমাত্র সত্য৷ যিনি সত্য কথা বলেন বা লিখেন, সমাজে তিনি সত্যবাদী নামে পরিচিতি পান। অভিবাবকগণ শৈশবকাল থেকেই ‘সদা সত্য কথা বলবে’ বলে উৎসাহিত করে থাকেন। বাচ্চাদের সঙ্গে খেলাধুলাতেও মিথ্যা থেকে বিরত থাকা জরুরি। কারণ এটা বাচ্চাদের অন্তরে গেঁথে যায়।
সকল ধর্মেই মিথ্যার প্রতি নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়েছে । পৃথিবীতে প্রায় আশিভাগ মানুষ মিথ্যার আশ্রয় নেয় অন্যকে খুশি করার জন্য। আবার কিছু মানুষ স্বভাবগত কারণে অনর্গল মিথ্যে বলে। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে যে, মিথ্যা বলা সত্য বলার চেয়ে অনেকগুণ কঠিন কাজ। আবার অনেক সময় কেউ আত্মরক্ষার্থেও মিথ্যে বলে।
প্রতারণা করতেও মিথ্যে বলে অনেকেই!
মানুষ মিথ্যা বলেও চোখ কখনো মিথ্যে বলতে পারে না । কেউ যখন মিথ্যে বলবে তার চোখগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখবেন, তার চোখের ভাষার সাথে মুখের ভাষার মিল নেই । চোখগুলো তার থেকে একটু আড়াল করছেন। মেয়েদের মিথ্যা বলার ধরনটা একটু আলাদা। মেয়েদের ব্যপারে লক্ষ্য করবেন, অল্প কিছুতেই চোখ থেকে টপ টপ করে পানি ঝরতে শুরু করেছে । ছেলেরাও মিথ্যা বলে, তবে খুব সহজে কাঁদতে পারে না।
অনেক সময় অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিপদে পড়ে বলতে বাধ্য ৷ বিদেশীরা দেশের স্বার্থে মিথ্যা বলেন, আমরা নিজের স্বার্থে ইনিয়ে-বিনিয়ে সত্যকে মিথ্যার খোলসে মুড়তে স্বাচ্ছন্দবোধ করি৷
জাহাঙ্গীর আলম বিপ্লব : অনলাইন এক্টিভিস্ট ও সমাজকর্মী
সাংবাদিক : দেশ দর্শন ডটকম
Some text
[sharethis-inline-buttons]