মঙ্গলবার রাত ৩:০৮, ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ৬ই মে, ২০২৪ ইং

‘তৌহিদী জনতার’ সমাজতন্ত্রঘেষা ইসলাম

খান মুহাম্মদ মুরসালীন

লেলিন-স্টালিনরা সর্বহারার একচ্ছত্র ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার নামে অগণিত মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন করেছে। জনগণ সমাজতন্ত্রের খাতিরে তাদের জুলুম সহ্য করেছে৷ মুরসিও চেতনে অবচেতনে ক্ষেত্রবিশেষে জালিমই হয়ে উঠেছিলেন।

গত ৫০ বছরে যতগুলো ইসলামিক রেভুল্যুশনের চেষ্টা করা হয়েছে, সেগুলোকে একটু গভীরভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, সেখানে নবী মুহাম্মদ (স:) এবং খোলাফায়ে রাশেদার চেয়ে মার্ক্স এর উপস্থিতি অনেক বেশি। উনিশ শতকে এসে আমরা দেখতে পাই, নবীজী সম্পর্কে দাঁড় করোনো ন্যারেটিভের সাথে একজন কমিউনিস্ট নেতার খুব বেশি ফারাক নেই। বরং অনেকেই বলতে চান, কমিউনিজম আর ইসলাম হাত ধরাধরি করে চলে। কিন্তু আসলেই কি তাই?

এই ভূত যদি তথাকথিত বিপ্লবীদের মাথা থেকে না নামাতে পারে, তাহলে প্রত্যেকবার এদের পরিণতি মুহাম্মদ মুরসির মতো হবে। কারণ লেলিন-স্টালিনরা সর্বহারার একচ্ছত্র ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার নামে অগণিত মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন করেছে। জনগণ সমাজতন্ত্রের খাতিরে তাদের জুলুম সহ্য করেছে৷ মুরসিও চেতনে অবচেতনে ক্ষেত্রবিশেষে জালিমই হয়ে উঠেছিলেন। মিসরবাসী তার জুলুম সহ্য করেছে ইসলাম আর আল্লাহর ওয়াস্তে। সমাজতন্ত্রের নামেই হোক আর আল্লাহর ওয়াস্তেই হোক- জুলুমই যদি জনতাকে সহ্য করতে হয় তাহলে আর যাই হোক, ‘হক’ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।

আরো পড়ুন> অজয় রায়েরা কোন্ দর্শনের উম্মত?

মার্ক্স এর বিপ্লব আর মুহাম্মদ (সঃ) এর বিপ্লবের পার্থক্য যতদিন এইসব বিপ্লবীরা চিহ্নিত করতে না পারবে, ততোদিন তাদের কপাল থেকে দুর্গতি যাবে না। এত কথা বলার কারণ হলো, বাংলাদেশের তথাকথিত ‘তৌহিদী জনতার’ মধ্যেও সেই সমাজতন্ত্র ঘেষা ইসলামি ন্যারেটিভ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এদের বক্তব্যের ফলাফল আসলে- মার্ক্সের এজেন্ডা একটা ইসলামি আদলে কায়েমের চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই না।

লাভ হবে না বৎস। কপালে বহুত দুর্গতি আছে৷ কারণ মুহাম্মদের ইসলাম তার মতো করেই কায়েম করতে হবে। মার্ক্স এইখানে দুধভাত…

খান মুহাম্মদ মুরসালীন : সম্পাদক, পোস্টম্যান ডটওয়েবসাইট

ক্যাটাগরি: মিনি কলাম

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply