শুক্রবার বিকাল ৪:২১, ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ১৭ই মে, ২০২৪ ইং

শুরুতেই বিতর্কের মুখে কথিত যুক্তফ্রন্ট-জাতীয় ঐক্য

বাংলাদেশের প্রথম সারির পর্নো মিডিয়াগুলোও তাদের সমর্থনে-প্রচারে তাদের প্রতিটি বক্তব্য, ঘোষণা, আন্দোলন ও বিবৃতি ফলাও প্রচার করে। ‘আন্দোলনের’ সময় তাদের কাত হওয়া, চিৎ হওয়া, খাড়া হওয়া ও বিশেষ অঙ্গগুলোর নড়াচড়ার প্রতিটি ছবি মিডিয়ায় স্থান পায়।

রাজনৈতিক প্রতিবেদক : শুরু থেকেই চরম হাস্যকর পরিস্থিতি ও বিতর্কের সৃষ্টি করছে ড. কামাল-বদরুদ্দোজা-মান্না-রবদের কথিত যুক্তফ্রন্ট-জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া। দুই ডজন খ্যাতিমান, প্রভাবশালী ও বিত্তশালী নেতার সাথে সর্বসাকুল্যে দুডজন কর্মী-সমর্থকও নেই। জনগণ মরে গেলেও এই ‘ত্রাতাদের’ প্রতি কেউ বিশ্বাস আনছে না। বসন্তের কোকিলের মতো নির্বাচন এগিয়ে এলেই তারা নিজ নিজ গর্ত ছেড়ে মিডিয়ার সামনে চলে আসেন। অবশ্য তখনো এক অজানা কারণে জনগণের মুখোমুখি হন না বা হতে পারেন না। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে ৫ দফা দাবি ও ৯টি লক্ষ্য ঘোষণা করে ড. কামাল হোসেন ও ডা. বদরুদ্দোজার নেতৃত্বাধীন কথিত ‘যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য-প্রক্রিয়া’।

এদিকে বাংলাদেশের প্রথম সারির পর্নো মিডিয়াগুলোও তাদের সমর্থনে-প্রচারে তাদের প্রতিটি বক্তব্য, ঘোষণা, আন্দোলন ও বিবৃতি ফলাও প্রচার করে। ‘আন্দোলনের’ সময় তাদের কাত হওয়া, চিৎ হওয়া, খাড়া হওয়া ও বিশেষ অঙ্গগুলোর নড়াচড়ার প্রতিটি ছবি মিডিয়ায় স্থান পায়।

 

অন্যদিকে গতকাল শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের এক  সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলমের ১নং পচা সাবান দিয়ে এসব নেতাদের বাংলাওয়াশ করেছেন।  সেখানে তিনি বলেন, ‘ডিএমপিকে বলে দেব, তাদের যেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান দেওয়া হয়। প্রয়োজনে স্থায়ী একটা মঞ্চ করে দেওয়া হবে, যেন তারা ৬০-৭০ জন মিলে গলা ফাটিয়ে বক্তৃতা করতে পারেন। প্রয়োজনে লোকও দেবো।

অবশ্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ শেখ হাসিনার এ ধরনের উপহাস ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যকে ভালো চোখে দেখছেন না। তারা মনে করছেন, তিনি স্বভাবজাত হাস্যরসাত্মক ব্যক্তি হলেও সরকারের এমন একটি জায়গায় থেকে দেশের কোনো নাগরিককেই ন্যূনতম অসম্মান ও উপহাস মানায় না। এতে করে তার দলীয় নেতাকর্মীরা হাস্যরসের প্রচুর উপাদান পেলেও জনগণের ক্ষোভ দিন দিন বাড়বে আওয়ামী লীগের প্রতি। এবং কোনোদিন কোনো কারণে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হলে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে শুধু তাদের নয়, তাদের বংশধরদেরও।

তারা আরো মনে করছেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীর বাম্পার ফলন হলেও জনসমর্থন তলানিতে। তাই তাদের সতর্ক থাকতে হবে। এ ধরনের বক্তব্য ও আচরণ ব্যক্তি-হাসিনার পক্ষে মানায়, কিন্তু একজন সরকার-প্রধানের পক্ষে মানায় না। যাকে-তাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এমন ধারাহিক হাসি-মশকরা দেশের সার্বিক পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটাবে বলে তারা মনে করছেন।

 

ক্যাটাগরি: প্রতিনিউজ,  প্রধান খবর

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

২ responses to “শুরুতেই বিতর্কের মুখে কথিত যুক্তফ্রন্ট-জাতীয় ঐক্য”

  1. Amin Ahmad Chaudhury says:

    কেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভুল বলেছেন কি? এই লোকগুলো দেশের মানুষের কাছে মুখ দেখায় কোন লজ্জায়? কেউ চায় না, বেশরমের মত দৌড়ে চলে আসে।

Leave a Reply