সোমবার রাত ৩:২০, ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জনপ্রতিনিধির অনুদানে সচ্ছল বৃদ্ধা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের জনপ্রতিনিধি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর দৃষ্টিগোচর হলে তিনি সম্পাদককে ডেকে তার ব্যক্তিগত ফান্ড থেকে সেই মহিলাকে মাসিক দুই হাজার টাকা প্রদানের ইচ্ছা ব্যক্ত করেন এবং চলতি মাসের টাকা নগদ দিয়ে দেন।

সঠিক জীবনবোধ ও জীবনদর্শনের অভাবে কথিত সমাজতান্ত্রিক ও পুঁজিবাদী শোষণের যাতাকলে পড়ে মানুষ আজ দিশেহারা। সামান্য খোরপোষের জন্য আজকাল বিশাল একটা শ্রেণির মানুষকে কতই না কষ্ট করতে হয়! দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় করতে ১২২ বছর বয়সেও অসহায় একজন বৃদ্ধা তার নাতনীকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিদিন মুড়ি বিক্র করতে হয়। এ মহিলার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের শিমরাইলকান্দির দাস পাড়ায়।

দেশ দর্শন পরিবার তার খোঁজ-খবর নিতে গিয়ে জানতে পারে, তাদের দেখভাল করার কেউ নেই। তাই বাধ্য হয়ে নাতনীকে নিয়ে মুড়ি বিক্রি করতে হয়। তার নাতনীর বয়স ষোলো। এখনো বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় পা পড়েনি। পড়বেইবা কীভাবে? যে বয়সে বিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা, সে বয়সে রাস্তায় রাস্তায় মুড়ি বিক্রি করতে হয়। তাদের জন্য সরকারি-বেরসরকারি কোনো উদ্যোগ নেই।

এমন মানুষের সংখ্যা খুব কম নয় সমাজে। তাদের খবর নেওয়ার মত লোকের সংখ্যা অতি নগণ্য। আবার যারা খোঁজ-খবর নেন তারা পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে তাদের সাথে সবসময় থাকতে পারেন না। তবুও দেশ দর্শন পরিবার তাদের নিজ উদ্যোগে এই অসহায় মহিলাকে তুলে নিয়ে আসেন একটি প্রতিবেদনে। যার মাধ্যমে তার মাসিক দুই হাজার টাকার ব্যবস্থা হয়। প্রায় দুই বছর যাবৎ দেশ দর্শন সম্পাদক নিজ হাতে এই টাকা তার নিকট পৌঁছে দেন। তবে আগের তুলনায় এখন তিনি কিছুটা স্বচ্ছল জীবনযাপন করছেন। আজ (২৫ আগস্ট, ২০১৮) দেশ দর্শন সম্পাদক এ মাসের টাকা মহিলার হাতে তুলে দেন।

উল্লেখ্য যে, পাক্ষিক দেশ দর্শনের ষষ্ঠ সংখ্যায় (২৮ ফেব্রুয়ারি-২০১৬) প্রধান প্রতিবেদক খায়রুল আকরাম খান “১২০ বছর বয়সের চরম অসহায় এক বৃদ্ধা : একবেলা খাবার জুটাতে এতিম নাতনীকে সঙ্গে নিয়ে লাঠি ভর করে সারাদিন হেঁটে হেঁটে মুড়ি বিক্রি” শিরোনামে একটি মানবিক প্রতিবেদন করেন।

এটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের জনপ্রতিনিধি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর দৃষ্টিগোচর হলে তিনি সম্পাদককে ডেকে তার ব্যক্তিগত ফান্ড থেকে সেই মহিলাকে মাসিক দুই হাজার টাকা প্রদানের ইচ্ছা ব্যক্ত করেন এবং চলতি মাসের টাকা নগদ দিয়ে দেন। পরবর্তীতে প্রতিমাসে তার কাছ থেকে টাকা আনার জন্য সম্পাদককে অনুরোধ করলে তিনি খুশিমনে রাজি হন এবং সেই জনপ্রতিনিধির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

 

 

ক্যাটাগরি: বিশেষ প্রতিবেদন,  ব্রাহ্মণবাড়িয়া,  সম্পাদকের বাছাই

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply