আসন্ন ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে সারাদেশের মতো রাজধানী ঢাকায়ও জমে উঠেছে কুরবানির পশুর হাট। বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী পশুর হাট। প্রতি বছরের তুলনায় এ বছরের হাটগুলোর পরিস্থিতি ব্যতিক্রম। বৈশ্বিক মহামরী পরিস্থিতির কারণে দেশের নানা প্রান্ত থেকে কুরবানির গরু, ছাগল আনতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে বিক্রেতাদের।
তারা বলছেন, অতিরিক্ত পরিবহন খরচসহ নিজের খরচের হার এবার একটু বেশি পড়ছে। অন্যদিকে বর্তমান এ পরিস্থিতির কারণে ভারতীয় গরু তেমন একটা আসছে না। তাই তাদেরকে দেশী গরুর দিকে ঝুঁকতে হচ্ছে।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার গরুর দাম আকাশছোঁয়া। বাজারে গরুর আমদানি কম। তাই খামারীদের কাছ থেকে তুলনামূলক বেশি দামে গরু ক্রয় করতে হচ্ছে। অন্যদিকে ভারতীয় গরু থেকে দেশী গরুর পুষ্টিমান বেশি। তবে সাইজে ও মাংসের পরিমাণ ভারতীয় গরুতে বেশি। তাই বিক্রেতা বলছেন, দেশি গরু হওয়ায় এবার গরুর দাম বেশি। বিক্রেতা দাবি করছেন, বাজারে ক্রেতাদের চাহিদার তুলনায় গরুর পরিমাণ কম। বিক্রেতারা বলছেন, তাদের বাজেটের তুলনায় এবার গরুর দাম বেশি। তাই হয়তো কুরবানি দেওয়াটা তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়বে।
অনেকে এমনটাও ভাবেছেন যে শেষের দিকে হয়তো গরু বাজারে খুববেশি একটা নাও থাকতে পারে। তাই আজ বাজারের প্রথম দিনেই কুরবানির পশু ক্রয়ের জন্য বাজারে ছুটে এসেছেন। সরকারি ঘোষণা মোতাবেক সার্বিক বাজার পরিস্থিতিতে কোথাও তেমন একটা স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। অনেকের অভিযোগ, ক্রেতা-বিক্রেতার তুলনায় পশুর হাটের জায়গার পরিমাণ স্বল্প হওয়ায় কেউই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারছে না। বাজারে এবার প্রতি লাখে ১০,০০০ টাকা হাসিল নির্ধারণ করা হয়েছে।
ক্যাটাগরি: প্রধান খবর, শীর্ষ তিন
[sharethis-inline-buttons]