সোমবার বিকাল ৪:৩৯, ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাবুনগরী

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

হেফাজতে ইসলামের প্রয়াত আমির এবং চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক ও শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর দাফন নিয়ে নাটকের শেষ নেই। সকালে ফটিকছড়ির গ্রামের বাড়িতে দাফনের কথা বলে বিকেলে বলা হয় হাটহাজারী মাদ্রাসাতেই দাফন করা হবে। এই যখন প্রচার হয় তখন রাত ১০টার পর হেফাজতের ভারপ্রাপ্ত আমির মহিবুল্লাহ বাবুনগরী ঘোষণা দেন হাটহাজারীতে জানাজা হলেও ফটিকছড়ির বাড়িতেই দাফন করা হবে। তবে রাত সাড়ে ১১টার পর জানাজা শেষে তড়িগড়ি করে ১১টা ৫০ মিনিটে তাকে মাদ্রাসার কবরস্থানে দাফন করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদ্রিস। এর আগে রাত ১১টা ২০ মিনিটের পর লাখো মানুষের উপস্থিতিতে হাটহাজারীতে তাঁর নামাজে নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন বাবুনগরীর মামা আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। এতে দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।

জানাজার আগেই হেফাজতের নতুন ভারপ্রাপ্ত আমির ও জুনায়েদ বাবুনগরীর মামা মহিবুল্লাহ বাবুনগরী ঘোষণা দেন ফটিকছড়ির নিজ বাড়ির কবরস্থানেই আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে দাফন করা হবে। এর আগে বিকেলে মহিবুল্লাহ বাবুনগরী সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে জুনায়েদ বাবুনগরী তিনবার অসিয়ত করে গেছেন। তাকে যেন মা-বাবার কবরের পাশে শায়িত করা হয় এবং এটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। কোনো সরকারি খাস জমিতে তাকে দাফন করতে দেওয়া হবে না।

যদিও এর আগে প্রথমে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হাটহাজারী মাদ্রাসায় জানাজার কথা হয়। পরে আবার ঘোষণা আসে রাত ১১টায় হাটহাজারী মাদ্রাসায় জুনায়েদ বাবুনগরীর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে এবং জানাজা শেষে সেখানকার কবরস্থানে দাফন করা হবে। এছাড়া বিকেলে জুনায়েদ বাবুনগরীর লাশবাহী গাড়ি তার গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়ির বাবুনগরে নেওয়া হলে সেখানে গ্রামবাসীরা তার লাশবাহী গাড়ি অবরুদ্ধ করে রাখে। ফলে তার দাফন কোথায় হবে সেটি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়।

প্রসঙ্গত, হেফাজতের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের সিএসসিআর হাসপাতালে মারা যান। ৬৭ বছর বয়সী দেশের অন্যতম শীর্ষ এই আলেম দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, কিডনি ও ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।

২০২০ সালে হেফাজতের আমির হন জুনায়েদ বাবুনগরী। আমৃত্যু তিনি এই পদে ছিলেন। এর আগে তিনি এ সংগঠনের মহাসচিব পদে ছিলেন। তখন আমির ছিলেন প্রয়াত আল্লামা আহমদ শফী। বাবুনগরী হেফাজত আমিরের পাশাপাশি চট্টগ্রামের মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক পদেও ছিলেন।

তিনি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সহ-সভাপতি, চট্টগ্রাম নুরানি তালিমুল কুরআন বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং মাসিক মুঈনুল ইসলামের প্রধান সম্পাদক ছিলেন।

ক্যাটাগরি: প্রধান খবর,  শীর্ষ তিন

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply