বৃহস্পতিবার সকাল ৬:২৩, ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ১৬ই মে, ২০২৪ ইং

নারায়ণগঞ্জে তিতাসগ্যাস বিস্ফোরণে নিহত ১২, দায়ী কে?

৪৯২ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

দায়িত্বে অবহেলা করে হত্যা করেছেন তিতাস কর্মকর্তারা। তিতাসের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হওয়া উচিৎ

মসজিদের নিচে দিয়ে তিতাস গ্যাসের অনেকগুলো লাইন গেছে। লাইনের পাইপগুলোর প্রতিটিতে একাধিক লিক রয়েছে। সেই লিকেজের গ্যাস সমসময় মসজিদে উঠত। স্থানীয় একজন জানান, নামাজের আগে থেকেই মসজিদ বন্ধ করে এসিগুলো চালু করার ফলে পুরো রুমেই এসি ও গ্যাস মিশে যায়।

আর গ্যাসমাত্রই হল বিস্ফোরক। অবস্থা বিস্ফোর‌ণের প‌ক্ষে তৈরি হলে বা কোনো আগুনের সংশ্লিষ্টতা পেলে বিস্ফোরিত হয়। সে সূত্রেই এটি ঘটে। সেই সঙ্গে এসিগুলোও বিস্ফোরিত হয়। কারণ এসিতেও গ্যাস রয়েছে। একজন ফায়ার সার্ভিস কর্মক’র্তা বলেন, আমরা ধারণা করে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তারা দ্রুত এখানে এসে আমাদের ধারণাকে নিশ্চিত করে। তারা জানান, গ্যাসের লাইন থেকেই এই ব’স্ফোরণ ঘটেছে।

তিতাসকে মসজিদ কর্তৃপক্ষ অনেক আগেই জানিয়েছিলো, ফ্লোরের নিচে তিতাসের মেইন লাইন লিক হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই অভ্যাসবশত তিতাসের কর্মকর্তারা পাছা নাড়াতে দেরি করেছেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময়  ছাড়া স্বাভাবিকভাবেই দরজা জানালা বন্ধ থাকে। ফলে মসজিদ গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছিল। এদিকে আরো জানা গেছে, উক্ত লিক সারাতে নাকি পঞ্চাশ হাজার টাকাও চেয়েছিল সেখানকার তিতাস কর্তৃপক্ষ।

সম্ভবত কোনো সুইচ অন করার সময় ইলেক্ট্রিক স্পার্ক তৈরি করে বিস্ফোরণ ঘটে। অন্য কোনো কারণে কোনোদিনই ৬ টা এসি একসঙ্গে বিস্ফোরিত হবে না। তাই এসির উপর দোষ চাপিয়ে লাভ নেই। কারণ এটা কোনো দুর্ঘটনা না। দায়িত্বে অবহেলা করে হত্যা করেছেন তিতাস কর্মকর্তারা। তিতাসের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হওয়া উচিৎ।

Some text

ক্যাটাগরি: মতামত

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি