![](http://www.old.deshdorshon.com/wp-content/uploads/2020/12/121008128_794277378028887_7415575112924331981_n-750x420.jpg)
এক ‘জননেতা’ জোরপূর্বক ধর্ষণযজ্ঞ করতে গিয়ে ‘বিচি’ হারিয়ে হসপিটালে ভর্তি হয়েছেন। অনুসারীরা বিচির খোঁজে দিগ্বিদিক ছুটে বেড়াচ্ছে, ডাক্তার আর নার্সদের মধ্যে প্রবল উৎকন্ঠা। ডাক্তার-নার্স আছেন, তারা সবার আড়ালে গিয়ে মুখ টিপে হেসে আসছে।
কিছুক্ষণ পর মলিন চেহারায় অনুসারীরা ফেরত আসলেন, বিচি পাওয়া যায় নাই। ডাক্তার’রা একে একে সটকে পড়ছেন।
তারা ভয় পাচ্ছেন নেতার অনুসারীরা আবার তাদের কাউকেই না বিচি ডোনেট করতে বাধ্য করেন! ভয় পাওয়াটা যুক্তিসঙ্গত। নেতার বিচি হারানোর ঘটনায় অনুসারীরা সব খেপে আগুন হয়ে আছে।
সদ্য পাশ করা এক ডাক্তার নেতার শয্যার পাশে দাঁড়িয়ে ঠকঠক করে কাঁপছেন, বেচারা সময়মতো সটকে পড়ার সূযোগ পাননি। নেতার এক অনুসারী থমথমে গলায় উনাকে প্রশ্ন ছুড়লেন, ‘এখন উপায়?’ তারপর লোভাতুর দৃষ্টিতে চ্যাংড়া ডাক্তারের দুই পায়ের চিপার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলেন।
আতংকিত ডাক্তার কাঁপা কাঁপা গলায় বললেন, বিচি কেউ ডোনেট করবে বলে মনে হয়না, তাছাড়া বিচি ম্যাচ করারও একটা ব্যাপার আছে। এর জন্য সময় দরকার। কিন্তু উনাকে তো সময় দেওয়া যাবে না, যা করার তাড়াতাড়ি করতে হবে। দেরী হলে ‘মেশিন’ কার্যকারিতা হারাবে।
হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় সাকিল এতক্ষণ দাঁড়িয়ে সবার কথাবার্তা শুনছিলেন। নেতার বিচি সংকটে সে ত্রাণকর্তা হয়ে এগিয়ে এল। ডাক্তারকে এক পাশে ডেকে নিল সে। তারপর কানে কানে পরামর্শ দেওয়ার সুরে বললো, ‘স্যার, কুকুরের বিচি দিয়া ট্রাই করলে কেমন হয়? এরা যেহেতু কাছাকাছি প্রজাতির, বিচি ম্যাচ করতেও পারে!’
সাকিলের পরামর্শ শুনে ডাক্তার এতক্ষণে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেলেন, হ্যাঁ এটাই সবচেয়ে ভাল আইডিয়া। ট্রাই করে দেখা যেতে পারে। তিনি হাসিমুখে নেতার অনুসারীদের বললেন, বিচির ব্যবস্থা হয়েছে, আমাদের ওয়ার্ড বয় সাকিল নেতাকে বিচিদান করে নিজে বিচিহীন থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপনারা উনাকে দ্রুত ওটিতে নিয়ে আসুন। তারপর তিনি সাকিলকে লক্ষ্য করে চোখ টিপি দিলেন।
অপারেশন সাক্সেসফুল! নেতা সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়লেন। তারপর এক ফাইন মর্নিং তিনি একগাদা উপঢৌকনসহ ডাক্তার এবং সাকিলের সাথে দেখা করতে এলেন। ডাক্তার সাহেব নেতাকে দেখেই সন্ত্রস্ত হয়ে উঠলেন। ‘স্যার, কোন সমস্যা?’
নেতা দরাজ গলায় বললেন, ‘আরে নাহ, কোনো সমস্যা নাই। সবকিছু ঠিকঠাক আছে। সব মাশাল্লাহ ঠিকঠাক চলতেছে, শুধু প্রস্রাব করতে গেলেই কেন যেন আপনাতেই এক পা উঠে যায়!’
Some text
[sharethis-inline-buttons]