শুক্রবার দুপুর ১:৫১, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ৩রা মে, ২০২৪ ইং

বিয়ে ও সন্তান জন্মদানে বাংলাদেশ শীর্ষে

দেশ দর্শন প্রতিবেদক

বিশ্বের অন্যান্য দেশে যে জন্মনিয়ন্ত্রণ-ব্যবস্থা স্বীকৃত ও গৃহীত, তা মূলত জন্মনিয়ন্ত্রণ নয় বরং পরিষ্কারভাবে জন্মহত্যা। এটা সম্পূর্ণই অমানবিক, অবৈজ্ঞানিক এবং ব্যাপক অর্থের অপচয়কারী। এতে বিবাহবহির্ভূত মিলন, সমকামিতা, এ্যবরশন, ডাস্টবিনে শিশু, প্রচুর অর্থের অপচয় ইত্যাদি দিন দিন বাড়ছে এবং বাড়বে। তাই বাংলাদেশে এ ধরনের পরিকল্পনা ও পদ্ধতি কার্যকরি নয়, বরং বহু আগেই তা ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে।

মায়ানমারের নির্যাতিত নিপীড়িত ও শেষ পর্যন্ত বিতাড়িত এক জনগোষ্ঠীর নাম রোহিঙ্গা। এদের নিজস্ব কোনো সরকার, রাষ্ট্র ও জাতিসত্তা এই আধুনিক বিশ্বে স্বীকৃত নয়। ওদের মধ্যে বিয়ের হার ও সন্তান জন্মদান অনেক বেশি। কিন্তু স্বীকৃত জাতিসত্তা, সরকার ও রাষ্ট্রের মধ্যে সন্তান জন্মদান ও বিয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশই সবার শীর্ষে। দেশ দর্শনের এক বিশেষ গবেষণা ও পর্যালোচনায় এটাই দেখা যায়। নিম্নমানের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, অজ্ঞতা, জীবনমানের অনিশ্চয়তাসহ হাজারো সমস্যার ভেতর দিয়ে বাঙালি জাতির মধ্যে অল্প বয়সেই বিয়ে ও ব্যাপকহারে সন্তান জন্মদান থেমে নেই। এ খাতে বিগত প্রতিটি সরকার প্রতি টার্মে বিশাল বাজেট ব্যয় করা সত্ত্বেও সরকারগুলোর পরিকল্পনা ও পদ্ধতিতে মৌলিক ত্রুটি থাকায় নূন্যতম সফলতা নেই।

সরকারগুলোর পরিকল্পনা ও পদ্ধতির মৌলিক ত্রুটিগুলো নির্দেশ করতে গিয়ে একজন সমাজগবেষক দেশ দর্শনকে বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে যে জন্মনিয়ন্ত্রণ-ব্যবস্থা স্বীকৃত ও গৃহীত, তা মূলত জন্মনিয়ন্ত্রণ নয় বরং পরিষ্কারভাবে জন্মহত্যা। এটা সম্পূর্ণই অমানবিক, অবৈজ্ঞানিক এবং ব্যাপক অর্থের অপচয়কারী। এতে বিবাহবহির্ভূত মিলন, সমকামিতা, এ্যবরশন, ডাস্টবিনে শিশু, প্রচুর অর্থের অপচয় ইত্যাদি দিন দিন বাড়ছে এবং বাড়বে। তাই বাংলাদেশে এ ধরনের পরিকল্পনা ও পদ্ধতি কার্যকরি নয়, বরং বহু আগেই তা ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে।

তিনি আরো বলছেন, প্রকৃত অর্থে জনসংখ্যা কোনো সমস্যা নয়। তবে শর্ত হচ্ছে, সন্তানজন্মদানের অনেক আগেই পিতা-মাতাকে মানবিক উচ্চগুণে গুণান্বিত হতে হবে। এমনকি বিয়েরও অনেক আগে থেকেই ছেলে-মেয়েদের মানবিক ও মানসিক উচ্চতর গুণগুলো বিকশিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এর জন্য শিক্ষাব্যবস্থার আমূল সংশোধন অপরিহার্য। কেননা প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা সমস্যা না কমিয়ে বরং দিন সমস্যা বাড়াচ্ছে। এখন অশিক্ষিতদের চেয়ে শিক্ষিতরাই সবচেয়ে বেশি সমস্যাগ্রস্ত এবং শিক্ষিতরা ইদানিং সমাজেরও বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এ কথিত ‘শিক্ষার’ ফলে তাদের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়, জীবন-যাপনে যুক্ত হয় অতিরিক্ত বিলাসিতা। আর এটা তারা পূরণ করে সমাজকে ব্যাপকভাবে শোষণ করে। এ শোষণ অনেকে সরাসরি করে, আবার অনেকে সরকারের কথিত উন্নয়ন এবং বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মাধ্যম হয়ে করে।

জনসংখ্যা সমস্যা বিষয়ক দেশ দর্শনের এ অনুসন্ধানে একদল সমাজগবেষকের কাছ থেকে আরো জানতে পারা যায়, মানুষের আচরণ হচ্ছে সৃষ্টিজগতের সবচেয়ে জটিল বিষয়। সুতরাং এ আচরণ সঠিকভাবে বুঝতে, উপলব্ধি ও নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সমাজ আর মানুষের সমাজ থাকে না। আর মানুষের মানসিক ও আচরণিক বৈশিষ্ট্য এবং গতি-প্রকৃতিগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে না পারলে জনসংখ্যা অবশ্যই প্রধান সমস্যা হয়ে দেখা দেবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

ক্যাটাগরি: প্রধান খবর,  শীর্ষ তিন

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Comments are closed.