![](https://www.old.deshdorshon.com/wp-content/uploads/2020/04/unnamed.jpg)
জয়পুরহাট জেলায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এখনো পর্যন্ত নিয়ন্ত্রনে রয়েছে এমটাই নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসন। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর টহল জোড়দার করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে করোনা সংক্রমিতদের জন্য নির্ধারিত চিকিৎসাকেন্দ্র। প্রস্তুত রয়েছেন চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎকসক ও নার্স।
জেলা প্রশাসনের প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে জানা যায়, জয়পুরহাটে করোনা সন্দেহে ৮২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে ৩৬ জনের রেজাল্ট পাওয়া গেছে যাদের সবারই নেগেটিভ। মোট ৪৬৭ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে। এরমধ্যে ৩শ জনকে অবমুক্ত করা হয়। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছে ২৭ জন এরমধ্যে ২২জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আইসোলেশনে থাকা ১২ জনের মধ্যে ৫জনকে অবমুক্ত করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন মোট ৩শ ২৭জন। ১মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বিদেশ প্রত্যাগতের সংখ্যা মোট ৭৪৯জন।
এদিকে কোভিড ১৯ চিকিৎসার প্রস্তুতি হিসেবে ২৪০ শয্যার ৪টি সরকারী চিকিৎসাকেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রস্তুতকৃত শয্যার সংখ্যা ২১৪টি। সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে ১৪জন চিকিৎসক ও ১৪জন নার্স। আক্রান্তদের জরুরী চিকিৎসায় স্থানান্তরের জন্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে ২টি এ্যাম্বুলেন্স। চিকিৎসক ও নার্সদের চলাচলের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২টি গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমনে মৃত মুসলমান ব্যক্তির দাফন, কাফন ও জানাযা সম্পন্ন করার জন্য জেলায় ১টি ও ৫ উপজেলায় ৫টি টিম গঠন করা হয়েছে।
সামাজিক দুরত্ব কার্যক্রম নিশ্চিত করতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহীনির টহল টিম কাজ করছে। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৩৯৮টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে মোট ৩৮৬ জনকে দন্ডিত করা হয়েছে।
শফিউল বারী রাসেল, জয়পুরহাট থেকে।
Some text
ক্যাটাগরি: খবর, নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]