![](https://www.old.deshdorshon.com/wp-content/uploads/2020/02/84178752_840879649712205_421390000303636480_n.jpg)
ঢাকাগামী দ্রুতগতির আন্তনগর ট্রেন পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের প্রচণ্ড ধাক্কায় আহত যুবক সাকিউল মোস্তফা বিজলি ঢাকা মেডিকেল কলেজে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তার অবস্থা আশংকাজনক। মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিজলির স্বজন জিল্লুর রহমান।
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার হারুঞ্জা গ্রামের সফিউল মোস্তফার ছেলে মৎস্য চাষি বিজলির এ দূর্ঘটনায় পুরো এলাকার মানুষ শোকে স্থব্ধ। তার সুস্থতা কামনায় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাঙ্খিরা সকলের দোয়া ও আশির্বাদ কামনা করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী, জয়পুরহাট রেলস্টেশন ও ভিডিও সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড় থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা আন্তনগর পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের জয়পুরহাট রেলস্টেশনে যাত্রা বিরতি নেই। ট্রেনটি সোমবার বিকেল পাঁচটার পর ২ নম্বর রেললাইন দিয়ে দ্রুতগতিতে জয়পুরহাট স্টেশনে প্রবেশ করছিল। এ সময় বিজলি কিছুটা অসতর্কভাবে ২ নম্বর রেললাইন অতিক্রম করে ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে উঠতে যাচ্ছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তে ট্রেনের ধাক্কায় তিনি ছিটকে পরে ২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম অতিক্রম করে ৩ নম্বর রেললাইনের ওপর গিয়ে পড়েন। সে সময় ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনযাত্রীরা ভয়ে সেখান থেকে সরে যান। ট্রেনটি রেলস্টেশন অতিক্রম করার পর লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। শুরুতে তাঁরা বিজলিকে মৃত ভেবেছিলেন। পরে জীবিত বুঝতে পেরে দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাঁকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাঁকে ঢাকায় নেওয়া হয়।
সাকিউলের স্বজন জিল্লুর রহমান জানান, সাকিউলের অবস্থা আশংকাজনক। তাকে বাঁচানোর সর্বাচ্চ চেষ্টা চলছে
প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেন, স্টেশন অতিক্রমের সময় ট্রেনের গতি কম থাকা উচিত। অথচ ট্রেনটি খুবই দ্রুত গতিতে আসছিল।
শহরের বাসিন্দা মুরশিদা বেগম বলেন, ‘ট্রেনটির জয়পুরহাটে যাত্রা বিরতি নেই। কিন্তু প্রায়ই দেখি ট্রেনটি রেলস্টেশনে পৌঁছার আগে গতি বাড়িয়ে দেয়।’
শফিউল বারী রাসেল, জয়পুরহাট থেকে।
Some text
ক্যাটাগরি: খবর, নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]