![](https://www.old.deshdorshon.com/wp-content/themes/deshdorshon/images/featured_image_large.jpg)
বাংলাদেশে শিশুশ্রম নিষিদ্ধহলেও গ্রামে-গঞ্জে, শহরে-বন্দরে অসংখ্য শিশুশ্রমিককে দেখা যায়- হোটেল, বাসাবাড়ি, গ্যারেজ, বাস, ট্রাকের হেলপার হিসেবে কাজ করতে। আবার অনেক শিশুশ্রমিক রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে আমড়া, শসা,পাপ্পন ইত্যাদী বিক্রি করে।
যা ঘরথেকে বের হলেই চোখে পড়ে। শিশুশ্রমিকদের শুধু কাজ করেই ক্ষান্ত নেই- কখনো কখনো সহ্য করতে হয়, অসহ্য, অবর্ণনীয় নির্যাতন। যা আমরা কয়েক দিন পর পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখতে পায়।
অসংখ্য ভাগ্যহত শিশুশ্রমিকের একজন মোঃ রাকিবুল ইসলাম। রাকিব চতু্র্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে বাড়ির নিকটভর্তি স্কুলে। পরে দারিদ্রতার কারণে পড়ালেখা ছেড়ে দিয়ে এক হোটেলে কাজ শুরু করে।
রাকিবের সাথে কথা বলে জানা যায়-হোটেলের কর্মচারির মধ্যে সে সবচেয়ে ছোট।এজন্য সবাই তার উপর খবরদারি করে। অন্যদের চেয়ে কাজ বেশি করতে হয়। এছাড়া কাজে কোনো ভুল হলে শোনতে হয় মা’বাপসুদ্ধ গালি। হজম করতে হয় চর-থাপ্পড়সহ বিভিন্ন নির্যাতন।
রাকিবের থাকার রুমটাও খুব নোংরা। ময়লা বালিশ,কম্বল।ছোট্ট একটা ভাঙাচোরা খাট। এখানেই গাদাগাদি করে রাতে ঘুমাতে হয় রাকিবসহ আরো কয়েকজনের। ভোরে অন্যান্য শিশুদের যখন ঘুম ভাঙে মায়ের আদুরে কণ্ঠে তখন রাকিবের ঘুম ভাঙে
মালিকের গালি শোনে!
কথা বলার এক ফাঁকে রাকিব জানায়- সে কিছুদিন পরে কাজ ছেড়ে দেবে।আবার স্কুলে ভর্তি হবে। রোজ রোজ মালিকের বিশ্রী গালি শোনতে শোনতে সে এখন ক্লান্ত। হোটেল এখন তার কাছে আজাবখানায় পরিনত হয়েছ। সে এথেকে মুক্তি চায়। আবার সে কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে অন্যান্য ছেলেদের সাথে দুষ্টমি করতে করতে স্কুলে যেতে চায়। ভুলে যেতে চায় যন্ত্রণাময় হোটেল
জীবনকে।
জুনায়েদ আহমেদ : শিক্ষার্থী
Some text
ক্যাটাগরি: খবর
[sharethis-inline-buttons]