![](https://www.old.deshdorshon.com/wp-content/uploads/2018/12/48375541_767055000296533_3557423748015456256_n.png)
ঠিক যেমন স্পর্শের মাধ্যমে বায়ুর অস্তিত্ত্ব অনুভব করা যায় এবং সুগন্ধেরর মাধ্যমে কোন কোন অনুর অস্তিত্ত্ব অনুভব করা যায়, অনুরুপভাবে, চেতনা হল অাত্মার অস্তিত্বের পরিষ্কার লক্ষ্ণণ। হে ভারত, এক সূর্য যেমন সমগ্র জগতকে প্রকাশ করে ক্ষেএী অাত্মাও সেভাবে সমগ্র ক্ষেত্রকে প্রকাশিত করে।
জীব-বিজ্ঞানীগণও এই কথার সত্যতা প্রতিপন্ন করে বলেন কি ব্যাকটরিয়ার মতো ক্ষুদ্রতম আণবিক জীবকোষেরও চেতনা রয়েছে। যখন চেতনা একটি জড় দেহে প্রবেশ করে তখন আমরা তাকে একটি জীবন্ত দেহ বলে থাকি। তবে দেহে চেতনা থাকে না, বা অন্য ভাষায়, অাত্না যখন দেহেকে পরিত্যাগ করে, তখন শুধুমাএ এক খন্ড জড়বস্তুই পড়ে থাকে এরই বহিপ্রকাশে আমরা মৃত্য বলি থাকি। সুতরাং, চিন্ময় জীবাত্মা কখনো মৃ্ত্যবরণ করে না এবং সে দ্বিতীয় বার জন্মায় না যাকে আমরা জন্ম- মৃত্য- বলি, তা অাসলে জড় দেহ সমুহের পরির্বতন ছাড়া কিছুই না। অামাদের বৈজ্ঞানিক বন্ধুরা যেখানে সরাসরিভাই হেইজেনাবার্গের অনিশ্চয়তার তত্ত্ব, কাল্পনিক একক এবং পরিসংখ্যান সংক্রান্ত কারিগরি শিল্পের ভিবিন্ন কল্পনাপ্রসুত নক্শাগুলিকে স্বীকার করেছেন, যেগুলি সবই পরীক্ষণমূলক বিজ্ঞানের গন্ডির বাইরে, পরম বৈজ্ঞানিকভাব শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন আত্নার কখনো মৃত্য হয় না অথবা পুনঃপুনঃ তার উৎপত্তি বা বৃদ্ধি হয় না, তিনি জন্মরহিত,শ্বাশ্বত, নিত্য এবং নবীন। শরীর নষ্ট হলেও অাত্না কখনো বিনষ্ট হয় না। গীতা২ / ২০
এখন বিজ্ঞানমনষ্ক বন্ধুরা ধর্ম কোনটা আর সংস্কৃতি কোন ভুলে গিয়ে ভিবিন্ন ধর্মকে গালাগাল করছে। তাদের মঙ্গল কামনায় এবং শুভবুদ্ধি উদয় হোক। তবে জানা রাখা দরকার চিন্ময় অাত্ত্বার প্রকৃতি সমন্ধে সম্মানিত বিজ্ঞানী ডারউনের কোন জ্ঞান / তথ্যও ছিল না। সুতরাং উদ্ভাবিত ক্রমবিকাশ তত্ত্ব সম্পর্কে মহা বিভ্রান্তি রয়ে গেছে। তিনি জানতেন না মানব প্রজাতি সৃষ্টির শুরু থেকেই বিদ্যমান। কারণ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন প্রকার প্রজাতিগুলি সৃষ্টি হয় মানুষ জন্তু জানোয়ার পাখি —————— প্রত্যেকটিই যুগপৎ সৃষ্টি হয়।
অধর্ম প্রভবং চৈব দুঃখ যোগং শরীরিনাম
ধর্মর্থপ্রভবং চৈব সুখ সংযোগমক্ষময়ম্
অর্থাৎ — জীবের সমস্ত দুঃখ অধর্ম থেকে উৎপন্ন হয়
পক্ষান্তরে ধর্ম পালনের ফলে অক্ষয় সুখ লাভ হয়।
Some text
ক্যাটাগরি: দর্শন
[sharethis-inline-buttons]