বৃহস্পতিবার রাত ৪:৪৫, ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

কসবা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের নামকরণ ও সর্বশেষ তথ্যচিত্র

১৫৫২ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্ত ঘেঁষে রঘুনন্দন পাহাড়ের কোলে ঐতিহাসিক জনপদ কসবার অবস্থান।আরবী কস্বাহ্ থেকে ফার্সি কসবা শব্দের উদ্ভব।গ্রামের চেয়ে বড় কিন্তু শহরের চেয়ে ছোট বসতি বা সমৃদ্ধ গ্রাম বোঝাতে এক সময় কসবা শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে।

কসবা ছিল সুলতানি আমলের উপবিভাগীয় প্রশাসনিক কেন্দ্র। প্রশাসনিক উপ-বিভাগগুলোর মধ্যে ইকলিম, ইকতা, মুকতা, ইরতা, সোয়ার ও কসবা নামের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।সুলতানি আমলের ‘কসবা’ কে জেলা হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। কসবার দায়িত্বে ছিলেন একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, একজন কাজি ও একজন কতোয়ালী। মূঘল আমলে অধিকাংশ কসবা ই পূর্বের গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে।ব্রিটিশ ভারতে কসবার নাম ছিল কমলাসাগর। কসবা তথা কমলাসাগর ছিল ত্রিপুরা জেলার একটি থানা। ব্রিটিশ ভারতে ত্রিপুরা ও পার্বত্য ত্রিপুরা একটি স্বাধীন রাজ্য হিসেবে পরিচিত ছিল। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মোট ৩৭টি কসবার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। আজ আমি পাঠক সমীপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার পরিচয় তুলে ধরবো।

প্রায় দুইশত দশ বর্গ কিলোমিটার বিস্তীর্ণ সমভূমি,নিচু ভূমি,জলাধার,উচু নিচু পাহাড়,লাল মাটির পাহাড়,নদী -নালা,খাল বিল পরিবেষ্টিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লিলাভূমি কসবা উপজেলা।তিতাস,সালদা, সিনাই,সাংগুর,বিজনা,কালিয়ারা,হাওড়া,রাজার খাল,অদের খাল,বুড়ি প্রভৃতি নদী এই প্রাচীন জনপদের উপর দিয়ে অতিক্রম করেছে।

ইতিহাস সাক্ষী দেয় যে, মহারাজ প্রতীত আনুমানিক পঞ্চম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে কৈলাগড় (কসবা) অস্থায়ী রাজধানী স্থাপন করেন। কৈলাস চন্দ্র সিংহের রাজমালা গ্রন্থে উল্লেখিত ১৮৪ জন রাজার মধ্যে মহারাজপুত্র প্রতীত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের ১১৪ তম রাজা।গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে সর্বপ্রথম মহারাজ প্রতীত কৈলাগড়ে ত্রিপুরার অস্থায়ী রাজধানী স্থাপন করেন।তবে পরিবেশগত প্রতিকূলতার কারণে মহারাজ প্রতীত ৫৯০ খ্রিস্টাব্দে কসবা ত্যাগ করেন। এ পূর্বাঞ্চলে খলংমা, ধর্মনগর, কৈলাসহর ও কৈলাগড়ে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সময়ে রাজধানী স্থাপিত হয়েছিল।কৈলাগড় ছিল কসবার আদি নাম।কসবা অর্থ উপশহর বা সমৃদ্ধ গ্রাম।কিল্লাগড় থেকে বিবর্তিত হয়ে কৈলাগড়। বর্তমান বিজনা নদীর (বিজয়) পূর্ব পাড়ে টিলাময় অঞ্চলে ত্রিপুরী সৈন্যরা কাঠ ও বাঁশ দিয়ে কিল্লা বানাতো। কিল্লাগড় মানে বিল্লাদুর্গ। পশ্চিম পাড়ে আজকের কেল্লাবাড়ি, নাপিতের বাজার, মইনপুর, শাহপুর এ অঞ্চলে কিল্লা তৈরি করেছিল মুঘল সৈন্যরা। জানা যায় ১৭১৭ সালের পর কসবা নামের উৎপত্তি হয়।।

১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে ত্রিপুরার মহারাজ কীরিট কিশোর মানিক্য বাহাদুর পুনরায় কসবাতে অস্থায়ী রাজধানী স্থাপন করেন।তিনি সে সময় ইংরেজ ও মোঘল শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন।বীরবিক্রমে রাজা অত্র এলাকার জনগণের স্বাধীনচেতা মনোভাব অক্ষুন্ন রেখে ছিলেন।

১৮৫৭ সালে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম সংগঠিত হয়।যাকে ইতিহাসে সিপাহি বিদ্রোহ বলা হয়েছে। তখন ত্রিপুরার মহারাজ ইংরেজদের পক্ষে দালালি করে সিপাহিদের দমন করে। এর এক বছর পর ত্রিপুরা রাজ্যে ইংরেজদের পরামর্শে ১১টি থানা স্থাপিত হয়। তিন ভাগে বিভক্ত। যেমন হিউং, বিউং ও কৈলাগড়।১৮৯০ সালে কসবা সদরে থানা মুন্সেফ আদালত স্থাপিত হয় বলে জানা যায়। থানা সদরে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার ফলে এলাকার জনগণ শিক্ষা এবং শিল্প-সংস্কৃতিতেও অন্যান্য এলাকার চেয়ে বহুদূর এগিয়ে যায়।  ১৯৪০ সাল কসবা থানা স্থাপিন হয়।এখানে পুরাতন অফিসের মধ্যে ১৮৪৩ সালে স্থাপিত একটি তহশিল অফিস ছিল।১৯৮৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর  তারিখে কসবা থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়।কসবা পৌরসভা গঠিত হয় ১৯৯৯ সালে।

কসবা উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম কসবা থানার আওতাধীন।

পৌরসভা:
ইউনিয়নসমূহ:

১নং মূলগ্রাম

২নং মেহারী

৩নং বাদৈর

৪নং খাড়েরা

৫নং বিনাউটি

৬নং গোপীনাথপুর

৭নং কসবা পশ্চিম

৮নং কুটি

৯নং কায়েমপুর

১০নং বায়েক

 

  • ১নং মূলগ্রাম ইউনিয়নের নামকরণ ও সর্বশেষ তথ্যচিত্র:

মূলগ্রাম ইউনিয়ন নামে বাংলাদেশে মোট ২টি ইউনিয়ন রয়েছে। যথা:মূলগ্রাম ইউনিয়ন, কসবা ; (ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা )মূলগ্রাম ইউনিয়ন, চাটমোহর; ( পাবনা জেলা )।

কসবা উপজেলার সর্ব-উত্তরে মূলগ্রাম ইউনিয়নের অবস্থান। এ ইউনিয়নের দক্ষিণে বাদৈর ইউনিয়ন ও মেহারী ইউনিয়ন ; পশ্চিমে নবীনগর উপজেলার
কাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়ন , উত্তরে নবীনগর উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন,তিতাস নদী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন ; উত্তর-পূর্বে তিতাস নদী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়ন এবং পূর্বে আখাউড়া উপজেলার ধরখাড় ইউনিয়ন অবস্থিত।

#মূলগ্রাম ইউনিয়নের নামকরণ:
ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’র মুখে বলা কথামালা থেকে অনুলেখক -শুভময় ঘোষ এর লেখা “আমার কথা” বইয়ের ৮ম পৃষ্ঠায় ভুমিকায় পন্ডিত রবিশংকর লিখেছেন,

“এই বইয়ের একটি বিশেষ শক্তি হল বাবার খোলাখুলি, অকপট সত্য বলার ক্ষমতা। একেবারে গোড়ার দিকে বাবা স্বীকার করেছেন তিনি দস্যু ভবানী পাঠকের বংশধর।” ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর নিজ মুখে বলা কথা ‘আমার পূর্বপুরুষেও এক ভবানি পাঠক ছিলেন দীননাথ দেবশর্মা-মুলুকগ্রামে তার বাড়ি।’ (‘আমার কথা’ আলাউদ্দিন খাঁ-আনন্দ পাবলিশার্স-১৩৮৭ বাং, পৃ. ২৫)।ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’র বংশধরদের আদিনিবাস মুলুক গ্রামে।

মূলগ্রাম বা মূলগাঁও: ‘মূল’ শব্দের অর্থ প্রধান। মুলুক বা মুল্লুক কথাটি আরবি শব্দ থেকে উদ্ভূত যার অর্থ বৃহত্তর কোন এলাকা/অঞ্চল বা দেশ।এটি এতদ অঞ্চল বা মূলগ্রাম ইউনিয়নের প্রধান গ্রাম বলেই মূলগ্রাম বা মূলগাঁও।মুলুক’ শব্দটি বিবর্তিত হয়ে মুলুক>মূল হয়েছে। এ মতই গ্রহণযোগ্য।

#ইউনিয়নের প্রাক্তন/বর্তমান চেয়ারম্যানবৃন্দের নামের তালিকা:

১। জনাব আলহাজ্ব আশরাফ আলী
২। জনাব সহিদুল হোসেন
৩। জনাব মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী
৪। জনাব আঃ হামিদ ভূঁইয়া
৫। জনাব আজিজুল হক বাচ্চু
৬। জনাব জালাল উদ্দিন রুমি
৭। জনাব মোঃ মঈনুল ইসলাম (চলতি দায়িত্বে)

➤স্থানাঙ্ক: ২৩°৪৮.২′ উত্তর ৯১°৫.৫′ পূর্ব /
২৩.৮০৩৩° উত্তর ৯১.০৯১৭° পূর্ব

➤ আয়তন ৫,২০৫ একর (২১.০৬ বর্গ কিলোমিটার)।
➤জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১,৫১৬ জন।
➤সাক্ষরতার হার ৪৬.৪%।

#একনজরে মূলগ্রাম ইউনিয়ন:
মূলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ ভবন -১টি। এটি চারগাছ বাজারে আবস্থিত।

০১ খানার সংখ্যা ৫৯৯৫টি
০২ জনমোট জনসংখ্যা- ৩১,৯৪৩ জন ।
পুরুষ- ১৪,৬২৯জন
মহিলা-১৭,৩১৪জন
০৩ মোট ভোটার (পুরুষ-মহিলা) ১৭,২১৯ জন
০৪ ইউনিয়নের আয়তন ২০৯৭ হেক্টর
০৫ ইউনিয়নের খাস জমির পরিমাণ ২৪৮.৮৬ একর
০৬ মোট গ্রাম ১৭টি
০৭ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৬টি
০৮ বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ০টি
০৯ কেজি স্কুল ৬টি
১০ দাখিল মাদ্রাসা ২টি
১১ কওমী মাদ্রাসা ৪টি
১২ উচ্চ বিদ্যালয় ৫টি
১৩ কলেজ ২টি
১৪ এবতেদায়ী মাদ্রাসা ৫টি
১৫ এনজিও অফিস (আশা, দ্বীপ) ২টি
১৬ জামে মসজিদ ৩৭টি
১৭ খেলার মাঠ ৫টি
১৮ বাইল্লারা নদী ১টি
১৯ খাল১০টি
২০ বিল ০৩ টি
২১ মোবাইল টাওয়ার ৬টি
২২ ব্যাংক (কৃষি) ১টি
[আল আরাফা ১টি, ইসলামী ব্যাংক১টি, ব্রাকব্যাংক ১টি চারগাছ]। [অগ্রণী ব্যাংক ১টি,ব্যাংক এশিয়া ১টি মূলগ্রাম]।
২৩ আশা ব্যাংক ১টি
২৪ দীপ ব্যাংক ১টি
২৫ হাসপাতাল ১টি
২৬ ডাকঘর ৪টি
২৭ গভীর নলকূপ ২১টি
২৮ অ-গভীর নলকূপ (সেলু) ১৪৩টি
২৯ কবরস্থান ৩৫টি
৩০ ঈদগাহ ৬টি
৩১ পাওয়ার পাম্প ৫০টি
৩২ পাকা রাস্তার পরিমাণ ২৫ কিলোঃ
৩৩ কাঁচা রাস্তার পরিমাণ ২০ কিলোঃ
৩৪ শিক্ষার হার
৩৫ আবাদী জমির পরিমাণ ১৮২১.৬৭ হেক্টর
৩৬ মৎস্য খামার ১৫টি
৩৭ হাট বাজার ৬টি
৩৮ বীমা অফিস ৫টি
৩৯ কৃষি জমির পরিমাণ ১৮২১.৬৭ হেক্টর
৪০ জলাশয় ৮.৯৪ হেক্টর
৪১ বসতভিটা ১২১.৯৪ হেক্টর
৪২ মোট মৌজা ১৫টি
৪৩ টিউবওয়েল ৩১০০টি প্রায়
৪৪ এনজিও অফিস ৫ টি,

#মূলগ্রাম ইউনিয়নের গ্রাম সমূহ
আমখার
বাউরখন্ড
ডাবিরঘর
মূলগ্রাম
নেয়ামতপুর
নিবড়া
লবখাঁ
রাইতলা
শ্যামবাড়ী
নিমবাড়ী
চন্দ্রপুর
বাহাদুরপুর
চারগাছ
শেরপুর
জয়পুর
শ্যামনগর
পুকুরপাড়

#বিশেষ ও বরেণ্য ব্যক্তিত্ব:
✪ Sri AKhil Datta
A prominent Hindu philanthropist.
✪ Nurul Islam Bhuyian,
MP of East Pakistan Assembly on Muslim League.
✪ Dr.Moyana Miah
(Freedom Fighter)
✪ অধ্যাপক ড. মোঃ শাহাআলম
বিভাগীয় প্রধান,ইংলিশ ডিপার্টমেন্ট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ।
✪ মরহুম মোখলেছুর রহমান ভূঁইয়া
সমাজ সেবক ও বিশিষ্ট শিল্পপতি।
(চারগাছ)
✪ জনাব মতিউর রহমান
চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক,
উত্তরা গ্রুপ অব কোম্পানীজ।
✪ মরহুম সহিদুল হোসেন
(সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান)
✪ আলহাজ্ব মোহাম্মদ আব্দুর রহিম ভূঁইয়া
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। চারগাছ।
✪ জনাব, রুহুল আমীন ভূঁইয়া(বকুল)
(সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান)

✪ জনাব মোঃ ইয়ার হোসেন,

সহকারি পরিচালক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ।নেয়ামতপুর।তিনি ছিলেন বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ এর ব্যাচমেট।

✪ Dr.A K M Azad

MBBS,FCPS(BCS,Health)
✪ Mr. Abdullah Al Masod,
Additional Deputy Commissioner
Lobkha,
✪ Mr. Nazrul Islam,
UNO, Lalmai, Comilla
Lobkha,
✪ Md. Mamun Khander
UNO
Raitola,
✪ Mr. Nesar Uddin Robel ,
Assistant Commissioner,
Lobkha,
✪ Mr. Tanvir Hossain
Assistant Commisioner,
Chargas,
✪ মো: শাজাহান ভূঁইয়া
বিশিষ্ট শিল্পতি,মূলগ্রাম।

#তথ্যসূত্র:
১। উইকিপিডিয়া
২। বাংলা পিডিয়া
৩। সরকারি তথ্যবাতায়ন
৪। উপজেলা পরিসংখ্যান ব্যুরো
৫। মাঠ পর্যায়ে ব্যক্তিগত সংগ্রহ
৬। আমার কথা /আলাউদ্দিন খাঁ
৭। গুগল।

 

 

 ২ নং মেহারী ইউনিয়নের নামকরণ ও সর্বশেষ তথ্যচিত্র:

এ কথা সত্য যে,এটি একটি প্রাচীন গ্রাম। মেহারী একটি ঐতিহ্যবাহি কালি মন্দির অবস্থিত।এখানে প্রতি বছর মহা সমারোহে সনাতন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের পূজা ও বটতলায় মেলা অনুষ্ঠিত হয়।বিশেষ সূত্র থেকে জানা যায়, মেহারী কালি মন্দিরের নাম অনুসারে তৎকালীন লালু গোসাই নামে একজন চেয়ারম্যান পরিষদের নাম দেন মেহারী ইউনিয়ন পরিষদ।ইউনিয়নের পূর্বে খাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদ, উত্তরে মূলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ, দক্ষিণে কুটি ইউনিয়ন পরিষদ, পশ্চিমে বুড়িগঙ্গা নদী ও মুরাদনগর থানা।

➤মেহারী গ্রামের প্রাচীন নাম কি ছিল?
মাঠপর্যায়ে ব্যক্তিগত ভাবে তথ্য সংগ্রহ কালে গ্রামে বসবাসকারী কিছু সংখ্যক সবজান্তা প্রবীণদের কাছ থেকে জানা যায়,এক সময় মেহারী বাজার থেকে উত্তর-দক্ষিণ বরাবর পূর্ব দিকের লোকালয়কে মোহাম্মদপুর বলা হত।পরে কোন এক সময় বাজারের পূর্ব এবং পশ্চিম পাশে বসবাসরত পুরো জনবসতিই মেহারী নামে আত্ম প্রকাশ করে।এ তথ্যের সত্যতার পিছনে লোকমুখে প্রচলিত কিছু কথামালা এখনো মুখ থেকে মুখে মুখরিত।ইতিহাসিক তথ্যমতে কালিদাস সাগরের বুকে খানে খানে চর জেগে জনবসতি গড়ে উঠে আর জলমগ্ন এ এলাকায় একসময় নৌকা বাইচ হত।হত নৌ দৌড়ানো প্রতিযোগিতা।মাঝি মাল্লারা ডোল বাজনার তালে তালে গায়েনের সাথে জারি গানে সুর মিলাত।কখনো সখনো চর দখলের মত নিজ আধিপত্য বিস্তারের জন্য হত মারামারি,লাঠালাঠি।এক গ্রামের লোকজন অন্য গাঁয়ের লোকজনকে কবিয়াল ভাষায় হাইর (জারি গান)গেয়ে ভর্ৎসনা করত।আমার সংগৃহিত নিন্মে লেখা এমনি এক হাইর থেকে মেহারী গ্রামের পূর্ব নাম মোহাম্মদপুর বলে জানা যায়।

“ওরে শিকারপুর কোন সাহসে আইলি মোহাম্মদপুর,
হগল গোষ্ঠি বাইন্ধা রাখুম নিয়া মান্দারপুর,
পলাইবারও পথ নাইরে সামনে জমশেপুর।।”

#মেহারী_নামকরণঃ
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী খ্যাত ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার মেহারী নামক গ্রামটি মেহারী ইউনিয়ন তথা কসবা উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন গ্রাম। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের আগেও এখানে কয়েকশো বছরের পুরনো ইমারত ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন খুঁজে পাওয়া যায়। যা অনাদর আর অবহেলায় হারিয়ে গেছে।
ধারনা করা হয় সেন বংশের রাজত্বকালে এখানে মিহির চন্দ্র নামক একজন ধনী ব্যবসায়ী বাস করতেন।আশে পাশের দশ গ্রামের লোকজন তার বসবাস করা বাড়িকে মিহির বাড়ি বলে ডাকতেন।সেই “মিহির বাড়ি” নামটিই পরবর্তিতে লোকজনের মুখে মুখে ঈষৎ পরিবর্তিত হয়ে (মিহির বাড়ি>মেহার বাড়ি>মেহারী)মেহারী নাম ধারন করে।

*অন্য এক তথ্যমতে,মেহারী, বর্ণী, কালসার এই তিন গ্রামের লোকজন কোন এক সময় একই পরিবার ভূক্ত ছিল।কিংবদন্তী আছে এ গ্রাম ও তার পার্শ্বর্তী গ্রামে প্রাচীণকালে কালে খা, বরুণ খা, মেহের খা এই তিন ভাই ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ উদ দৌলার পতন হলে যুদ্ধে হেরে গিয়ে জীবন বাঁচানোর তাগিদে এ অঞ্চলে আশ্রয় নেন।
জানা যায়,মেহের খা,বরুণ খা ও কালন খা নামক একই পরিবারের তিন ব্যক্তির নামানুসারে যথাক্রমে মেহারীর নামকরণ… মেহের খা থেকে, বর্ণীর নামকরণ বরুণ খা থেকে, কালসারের নামকরণ, কালন খা থেকে হয়েছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

#ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়টি L আকৃতির দ্বি-তল ভবন।এটি ১-নং ওয়ার্ড ভুক্ত ঈশান নগর গ্রামে অবস্থিত।

যে সকল চেয়ারম্যান বৃন্দ মেহারী ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে তাঁদের নাম,বাসস্থল ও মেয়াদ কাল নিম্নে প্রদত্ত হলঃ
১। বাবু লালু গোসাই, মেহারী ১৯৬৬ইং-১৯৭১ইং
২। মোঃ খোরশেদ আলম, শিমরাইল ১৯৭২ইং-১৯৭৬ইং
৩। মোঃ আজিজ ভূইয়া, পুরকুইল। ১৯৭৭ইং-১৯৮১ইং
৪। মোঃ আবদুর রহিম, যমুনা ১৯৮২ইং-১৯৮৬ ইং
৫। মোঃ ছালাম প্রফেসার, মেহারী ১৯৮৭ইং-১৯৯১ইং
৬। মোঃ মাহফুজুর রহমান, শিমরাইল। ১৯৯২ই -১৯৯২ইং
৭। মোঃ শরীফ সামসুল হক, খেওড়া ১৯৯৩ই-১৯৯৭ইং
৮। মোঃ মোবারক হোসেন, শিরাইল ১৯৯৮ইং-৩১/০৩/২০০৩ইং
৯। মোঃ আলম মিয়া,শিমরাইল ১/৪/২০০৩ইং – ৩১/০৭/২০১১ইং
১০। মোঃ মোস্তফা কামাল, শিমরাইল ০১/০৮/২০১১-২০১৬
১১। মোঃ আলম মিয়া, শিমরাইল ২০১৬-চলতি

#মেহারী ইউনিয়নের ওয়ার্ড ভিত্তিক গ্রামগুলোর নামের তালিকাঃ
১ নং ওয়ার্ড – ঈশান নগর,যমুনা
২ নং ওয়ার্ড -মেহারী
৩ নং ওয়ার্ড -বল্লভপুর
৪ নং ওয়ার্ড – শিমরাইল সাতপাড়া
৫ নং ওয়ার্ড -শিমরাইল মধ্য পাড়া
৬ নং ওয়ার্ড -শিমরাইল উত্তর পাড়া
৭ নং ওয়ার্ড -খেওড়া পূর্ব পাড়া, বামুটিয়া,
৮ নং ওয়ার্ড -খেওড়া পশ্চিম পাড়া,পুরকুইল,বাহারআটা,
৯ নং ওয়ার্ড – চৌবেপুর

#একনজরে মেহারী ইউপি

➤স্থানাঙ্ক: ২৩°৪৬.৫′ উত্তর ৯১°৪′ পূর্ব /
২৩.৭৭৫০° উত্তর ৯১.০৬৭° পূর্ব।
➤আয়তন ৫,৪৫০ একর (২২.০৬ বর্গ কিলোমিটার)।
➤মোট পরিবার ৫,০১৮টি।
➤জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১,১৯৪ জন।
➤সাক্ষরতার হার ৪৭.৪%।

১। মোট জনসংখ্যা ২৬৯৭৮জন
পুরুষ ১২৭৫০জন
মহিলা ১৪২২৮জন
২। মোট ভোটার সংখ্যা ১৪৮৫২জন
পুরুষ ৬৮৬৮জন
মহিলা ৭৯৮৪জন
৩। ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ১টি
৪। পরিবার কল্পনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১টি
৫। হাইস্কুল ২টি
৬। দাখিল ৩ টি, ফাজেল ১টি সহ মোট মাদ্রাসা ৫টি
৭। সরকারী প্রাইমারী স্কুল ১২টি
৮। বে সরকারী প্রাইমারী স্কুল ০ টি
৯। হাট বাজার ৪টি
১০। মসজিদ ৪০টি
১১। এতিমখানা ৪টি
১২। তথ্য ও সেবা কেন্দ্র ১টি
১৩। ঈদগাহ ৬টি
কবরস্থান ১০টি
শ্মশান ৪টি
মন্দির ৬টি

#বিশেষ বরেণ্য ব্যক্তিত্ব ও গুণীজন:

✪ বহুভাষাবিদ-মৌলানা আবু মিজান মাকসাদ আলী হানাফি মুনইমি(রঃ),
[তিনি ১২৪৭ বাংলা ১লা ভাদ্র মোতাবেক ১৮৪০ ইংরেজি ১৮ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন।ত্রিপুরার ১৭৭ তম মহারাজ শ্রী শ্রী বীরেন্দ্র কিশোর মানিক্য বাহাদুরের রাজ দরবারে ১৯১০ থেকে ১৯১৬ পর্যন্ত ৬ বছর মুসলিম কাজির (বিচারক) দায়িত্ব পালন করেন। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দ ২২ মার্চ মোতাবেক ১৩২২ বাংলা ৭ চৈত্র মোতাবেক ১৩২৫ ত্রিপুরাব্দ রোজ রবিবার সন্ধ্যায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।]

✪ ছৈয়দ আবু মাছাকিন গোলাম মতিউর রহমান লাহিন্দী আল কাদেরী বল্লভপুরী (রঃ) প্রকাশ দুদু মিয়া পীর সাহেব,

[তিনি ১২৭৯ বাংলা ৩ রা চৈত্র, মোতাবেক ১২৯০ হিজরী , মোতাবেক ১৮৭৩ ইংরেজী সালে জন্ম গ্রহণ করেন।এবং ১৩৮৫ বাংলা ১৬ ই আশ্বিণ ( বাংলাদেশ পঞ্জিকা মতে ১৮ ই আশ্বিণ ), মোতাবেক ১৩৯৮ হিজরি ২৯ শে শওয়াল এবং ১৯৭৮ ইংরেজি ৩ রা অক্টোবর রোজ মঙ্গলবার সকাল ৮-২৫ মিনিটে ইন্তিকাল করেন।হযরত শায়খুল বাঙ্গাল সাতবার খানায়ে কাবার হজ্জ ও সাতবার মদিনা মুনাওয়ারাতে হাজিরি দিয়েছেন ।১৩৪৮ বাংলায় তিনি অনেক মুরিদ ও খলিফা সমভিব্যাহারে হজ্ব পালন করেন । তখন অনেক আরবিও উনার হাতে বাইআত গ্রহণ করেন এবং উনি ‘ শায়খুল বাঙ্গাল অর্থাৎ ‘বাংলার শায়খ’ খেতাবে ভূষিত হন।]
✪ শ্রী শ্রী আনন্দময়ী মা (১৮৯৬-১৯৮২) — হিন্দু আধ্যাত্মিক সাধিকা। খেওড়া গ্রামে তাঁর জন্ম হয়।
✪ জনাব মোঃ আব্দুস সুবহান
যাঁর নামে ঢাকার সুবহানবাগের নামকরণ করা হয়েছে।
✪ হাদিয়ে জামান কুতুবুল আকতাব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা হাবিবুর রহমান(রঃ)
প্রতিষ্ঠাতা,পুরকুইল গাউছিয়া হাবিবিয়া দরবার শরীফ ও পুরকুইল হাবিবিয়া ফাযিল মাদ্রাসা।
✪ মরহুম হাজী আব্দুল জব্বার বল্লভপুরী (রাহ.)
[জন্ম ১৯২৮ ইং,মৃত্যু ৬ ডিসেম্বর ১৯৮৮ই]
-ছতুরা দরবার শরীফের পীর প্রফেসর আব্দুল খালেক (রঃ)র মাস্তান খেতাবে ভূষিত শিষ্য।বল্লভপুর কবরস্থানে মা বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায়শায়িত। তিনি ছিলেন আপাদমস্তক ঘুমজাগানিয়া একজন ধর্ম প্রচারক।তিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে হজ্জে বায়তুল্লাহর উদ্দেশ্যে পবিত্র মক্কা ও মদীনা মনয়ারায় গমন করেন।
✪ জনাব মোঃ ওয়ালিউল্লাহ
একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা।
✪ আলহাজ্ব নূরুল হক
প্রয়াত শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক,(জন্ম ১৯৩৬–মৃত্যু ২০১৪) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ অত্যাদেশ ১৯৭২ এর অধ্যাদেশ মতে ১১ নং মেহারী ইউনিয়নের ১ম (কনভেনার) চেয়ার হিসাবে ( ১৯৭২-১৯৭৫) দায়িত্ব পালন করেন।
✪ কমান্ডার সফিকুল ইসলাম
মেহারী ইউনিয়নের প্রথম পদস্থ সামরিক কর্মকর্তা।বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তৎকালীন স্টাফ অফিসার।
(তিনি চীনে বাংলাদেশ এম্বাসিতে রাষ্ট্রদূত হিসাবে থাকালীন ১৯৮৮ সালে অকাল পরলোক গমন করেন)
✪ জনাব জাহাঙ্গীর মোহাম্মদ আদেল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং জাতীয় পার্টির রাজনীতিবিদ।তিনি ১৯৭৯ থেকে ১৯৮২ পর্যন্ত ঢাকা -২২ এর সংসদ সদস্য (এমপি) এবং ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ঢাকা -৭ এর সংসদ সদস্য ছিলেন।তিনি ঢাকা মহানগরের ডেপুটি মেয়রের দায়িত্বেও ছিলেন।জাহাঙ্গীর মোহাম্মদ আদেল ৮৪ বছর বয়সে ১৩ নভেম্বর ২০১৪ইং সালে মারা যান।
✪ সমরঙ্গ সেন গুপ্ত (আই সি এস)
তিনি ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস এ কর্মরত ছিলেন।
✪ মেজর জেনারেল গোলাম কাদের
তিনি মেজর জেনারেল পদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ২০০৮ সালের ৮ ই জানুয়ারী তিনি (ফখরুদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বাধীন) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা নিযুক্ত হন। যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
✪ প্রফেসর মিয়া মুহাম্মাদ ইদ্রিস
সাবেক অধ্যক্ষ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ।
খেওড়া।
✪ এড. মো: আনোয়ার জাহিদ ভূঁইয়া
শিমরাইল।

#দর্শনীয় স্থান:
✪ আনন্দ ভুবন
বল্লভপুর-শিমরাইল গ্রামের মধ্যবর্তী রাজার খালের উপর নির্মিত বড়ভাঙ্গা ব্রিজ ও তার চারি পাশের নান্দনিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান সমূহের তালিকায় এটি আনন্দ ভুবন নামে পরিচিত।

#তথ্যসূত্র:
১। উইকিপিডিয়া
২। বাংলা পিডিয়া
৩। সরকারি তথ্যবাতায়ন
৪। উপজেলা পরিসংখ্যান ব্যুরো
৫। মাঠ পর্যায়ে ব্যক্তিগত সংগ্রহ
৬। শাহাদাত হোসেন চান মিয়া
৭। গুগল।
৮। কাছিদায়ে শায়খুল বাঙ্গাল /এস এম আশরাফ আলী
৯। শামসুল আলম সোনা মিয়া হাজীর ডায়েরি

 

 

কসবার ৩ নং বাদৈর ইউনিয়নের নামকরণ ও সর্বশেষ তথ্যচিত্র:

“ওই আমাদের বাড়ি
ওই যে বাদৈর বাজার।
ওই যে পাশের গ্রাম
ছতুরা শরীফ নাম।
যেন এক স্বর্গ, আমাদের বাদৈর
বাপ দাদার ভিটা,
চৌদ্দপুরুষের থাকা
গাছগাছালি আর খাল হাওড়ের খেলা।
বসতি এখানে অনেক পুরানো,
পাহাড়ের চেয়েও পুরোনো;
সবুজ বৃক্ষের মতোই তরুণ,
সজীব ভালোবাসায় ঘেরা।”
—-ড. সফিকুল ইসলাম।

কসবা উপজেলার উত্তরাংশে বাদৈর ইউনিয়নের অবস্থান। এ ইউনিয়নের পূর্বে বিনাউটি ইউনিয়ন, দক্ষিণে খাড়েরা ইউনিয়ন , পশ্চিমে মেহারী ইউনিয়ন এবং উত্তরে মূলগ্রাম ইউনিয়ন ও আখাউড়া উপজেলার ধরখাড় ইউনিয়ন অবস্থিত।

শ্যামবাড়ি সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ইতিহাস ও লোকজ সংস্কৃতির লেখক জহিরুল ইসলাম স্বপন’র লোকজ ভাষায় লেখা কবিতায় বহুকাল আগেকার বাদৈর গ্রামের চৌহদ্দির এক চমৎকার বর্ণনা খোঁজে পাওয়া যায়,
“চদরিবারির দহিন দিয়া উদার সবুজ জমিন
পুবদহিনে সয়দাবাদে মানু আছে মমিন
পচিমদহিন শিহারপুরে শিকার হুজে রাজা
গাছেগাছে পাকপাহালি শিকার করলে সাজা
উত্তরে আতনির বিল শুকাই গেছে তার বুক
নওকা বাওয়া, মাছধরা,দাফাদাফির সুক
ডিঙ্গা- কুশা, পাতাম- সরাঙ্গা কত রকম নাও
বাতাতে নাচে মাইজ্যা,বউ নাইওর যা তার গাও
পচিমে আতরাবারি কামার- কুমার গেল কই!
হাতরা- বাডালির সৃষ্টির সুর হারিয়ে গেল সই
বাদুর গায়ের বনবাদারে ডাহে কতজাতের পাহি
সবুজ জমিন, কাজলা মাডি জরাই দইরা থাহি।”(বাদুর কথন,পুরান বচন!- ০১)

#বাদৈর নামকরণ:
হাতনির বিলের নিম গাছকে কেন্দ্র করে নিমবাড়ি,শ্যামক নামক বন্যধানের শ্যামলিমা বা সবুজ বনানীতে পরিপূর্ণতার কারণে শ্যামবাড়ি, প্রায় দুশো বছর আগে হাতনির বিলের দক্ষিণে পশুপাখির অভয়ারণ্যে ত্রিপুরার রাজকর্মচারীরা পাখি শিকার করতেন বলে শিকারপুর,মান্দার গাছের আধিক্যের কারণে মান্দারপুর।উপরোক্ত তথ্যের আলোকে কেউ কেউ বলেন, বনে-বাদাড়ে বাদৈর।হাতুনির বিলের দক্ষিণ পাড়ে বাদৈর গ্রাম অবস্থিত। শত শত বছর আগে বন বাদাড়ে পরিপূর্ণ ছিলএ গ্রাম। অনেকে বলেছেন, তিনলাখপীর থেকে পশ্চিমে নবীনগরের শাহপুর পর্যন্ত অবস্থিত পুড়া রাজার জাঙ্গাল। এটিকে লোকেরা বাঁধ বলত। কারণ,বিলের দক্ষিণে অবস্থিত গ্রামগুলোর ফসল রক্ষা পেত বাঁধ থাকার কারণে। এ বাঁধ থেকে বাদৈর নামকরণ করা হয়েছে। এটি গ্রহণযোগ্য মত। আরেকটি মত হলো, বাদৈর গ্রামে একসময় বড় বড় বটবৃক্ষ ছিল। এ গাছগুলোতে প্রচুর বাদুর ঝুলে থাকতো। এ থেকেই এ গ্রামের নাম বাদৈর হয়েছে।

ইতিহাস ও লোকজ সংস্কৃতির লেখক জহিরুল ইসলাম স্বপন’র “বাদুর কতন,পুরান বছন-০৩” কবিতায়ও গাঁয়ে গাছগাছালি ও পশুপাখির আধিক্যের প্রমাণ পাওয়া যায়।কবি লিখেছেন-
“বাদুর গেরামের দহিন বন্দ যেন তিন গেরামের মন
আমারার মাইয়ের সবুজ আছল লাল- মানিক- দন
এক হুতায় বান্দা মুরা, দুকে- সুহে অতি আপনজন
আইল, গুপাট, পাত্র- জমি মিলাই দিছে সবুজবন
গাছে গাছে চরত বান্দর,চলুই,হাপ- বিচ্ছু কত
যমকুলি, আইরাকুপি,কুয়াক ডাহে শত শত
টিআ,ময়না,চরাই- হালিক, কাওয়া- বাদুর হাজার পাহি
কই গেলরে বাজান- কাহা, মাইঅ- বুবু কেমনে থাহি?
দহিন পাত্রের দান- হওরা,মইছ- পিআইজ – কলাই
আইলের পতে দেহ চলে শত বছর, জীবন গাঙ্গে মলাই
বন্দ আমরার পান বমরা, গাই দিবানিশির গান
যাত্রাগানে ছুইট্টা চলি আইয়ে মরা গাঙ্গে বান।”

বাদৈর নামকরণ বিষয়ে ড. সফিকুল ইসলাম বলেন, “সব ঠিক আছে। তবে নামকরণ বিষয়ে যা লেখা তা বাইরের লোকদের অনুমান। গ্রামের মুরব্বীদের সাথে কথা বলে ও নথিপত্র ঘেঁটে যা পাওয়া যায়, তা হলো।কথিত আছে বাহাদুর চঁন্দ্র নামক একজন প্রতাপশালী হিন্দু জমিদার এ গ্রাম ও আশপাশের খাজনা আদায় ও বিচার সালিশের দায়িত্বে ছিলেন। তার নাম বাহাদুর থেকেই বাদৈর নামের উৎপত্তি। বাহাদুর শব্দটি পরিবর্তিত হতে হতে লোকের মুখে মুখে বাহাদুর> বাহদুর> বাদৈর এ রূপ নেয়। আরেকটি জনশ্রুতি আছে যে, এ গ্রামে অনেক শক্তিশালী লাঠিয়াল বাহিনী ছিল। এ গ্রামে অনেক বাহাদুরের জন্ম, একইভাবে অনেক লাঠিয়াল ছিল। তাঁদের শক্তিমত্তা ও বিভিন্ন জয়ের কারণে বাহাদুর বলা হতো। সেই বাহাদুর থেকে লোকের মুখে মুখে বলতে বলতে পরিবর্তিত হয়ে বাদৈর নামের উদ্ভব হয়।”

#ইউনিয়ন পরিষদের পূর্বতন চেয়ারম্যানবৃন্দ:
১। জনাব, আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান মাষ্টার,
মান্দারপুর।
২। জনাব ডা. আবু তালেব, বাদৈর,
৩। জনাব জয়নাল আবেদীন ,কালসার
৫। জনাব তাজুল ইসলাম, বাদৈর,
৬। জনাব আবু মারুফ,মান্দারপুর।
৭। জনাব, জাকির হোসেন
৮। জনাব মহিউদ্দিন ভূইয়া (পেয়ার) শিকারপুর।

➤জনাব, আবু জামাল খান
বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান।

#বাদৈর ইউনিয়নের গ্রাম সমূহ:
বাদৈর
বর্ণী
হাতুড়া বাড়ি
জমশেরপুর
কালসার
মান্দারপুর
পদুয়া
শিকারপুর

#একনজরে বাদৈর ইউনিয়ন:
স্থানাঙ্ক: ২৩°৪৭.৮′ উত্তর ৯১°৫.৯′ পূর্ব /
২৩.৭৯৬৭° উত্তর ৯১.০৯৮৩° পূর্ব
আয়তন ৩,০১৮ একর (১২.২১ বর্গ কিলোমিটার)। ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ১৮,০১২ জন। পুরুষ ৮,২৮৯ জন এবং
মহিলা ৯,৭২৩ জন।
মোট পরিবার ৩,৩৬০টি
জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১,৪৭৫ জন।
সাক্ষরতার হার ৪৯.৯%।
প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০টি
কিন্ডারগার্টেন ১১টি
মাদ্রাসা ৩টি
মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৫টি
কলেজ ১টি
(কালসার নাঈমা আলম ডিগ্রি কলেজ)
মসজিদ ৩০টি
ইয়াতিমখানা ৩টি
ঈদগাহ ৫ টি
কবরস্থান ২০টি
ক্রীড়া সংগঠন ৮টি
পেশাজীবি সংগঠন ৬টি
সাংস্কৃতিক সংগঠন ১০টি

#বিশেষ বরেণ্য ব্যক্তিত্ব ও গুণীজন:
✪ সাদত আলি মাস্টার
– লাইফ ইন ইস্ট পাকিস্তান গ্রন্থে উল্লেখ বিখ্যাত শিক্ষক,বাদৈর।
✪ আশরাফ উদ্দিন মাস্টার – গায়ক,বাদৈর।
✪ জুলফিকার আলি হিরণ
-শিক্ষা অফিসার,প্রতিষ্ঠাতা-বাদৈর সাবের সাদত উচ্চ বিদ্যালয়।বাদৈর।
✪ চন্দ্রকান্ত দেবনাথ, ১৮৯০ সালে জমিদার,বাদৈর।
✪ মৌলভী আবদুর রৌফ, বিএল
প্রতিষ্ঠাতা-জমশেরপুর উচ্চ বিদ্যালয়।জমশেরপুর।
✪ জনাব আব্দুল মান্নান
প্রধান শিক্ষক ৪৫ বছর শিক্ষকতা।জ্ঞানী ও গুণী মানুষ, মান্দারপুর।
✪ ভুবন ভৌমিক,
১৯৫২ সালে বাদৈর-মূলগ্রাম ইউনিয়নে নেতৃত্ব দেন,বাদৈর।
✪ মো: ইন্দ্রিস মিয়া
অবিভক্ত বাংলায় জমশেরপুর থেকে প্রথম বিভাগে প্রথম মেট্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ,শিকারপুর।
✪ শহীদ বুদ্ধিজীবী নুরুল আমিন খান (২২ নভেম্বর ১৯৩৫–নিখোঁজ ২০ মে ১৯৭১) প্রাদেশিক সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব। শিকারপুর।
✪ আব্দুল কাদের(১৯৩১খ্রি:–)
১৯৫০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের প্রথম ব্যাচের ছাত্র। খ্যাতিমান শিক্ষক। হাতুড়া বাড়ি।
✪ সামসুল হক –বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।হাতুড়া বাড়ি।।
✪ এডভোকেট শাহ আলাম
সাবেক এমপি,
✪ জনাব শফিকুল ইসলাম বেনু,
অবসরপ্রাপ্ত, জাতিসংঘ কর্মকর্তা, কালসার।
✪ জনাব জাফর সিদ্দিক,
অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব, বর্ণী,
✪ জনাব আব্দুর রউফ,
অবসর প্রাপ্ত যুগ্মসচিব, শিকারপুর।
✪ জনাব নাজমা বেগম
সচিব, বিজ্ঞানও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, মান্দারপুর।
✪ জনাব কুলসুম বেগম,
যুগ্মসচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়।মান্দারপুর।
✪ ড. আব্দুল কাদির,মান্দারপুর।
✪ ড. হাবিবুর রহমান, মান্দার পুর।
✪ ডক্টর. মতিউর রহমান, মান্দার পুর।
✪ প্রফেসর মোহাম্মদ উল্লাহ,
উচ্চ মাধ্যমিক টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, কুমিল্লা, মান্দারপুর।
✪ ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজ
সাবেক চেয়ারম্যান,বাংলাদেশ ইস্পাত কর্পোরেশন, মান্দারপুর।
✪ প্রফেসর মজিবুর রহমান
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ, মান্দারপুর।
✪ প্রফেসর আব্দুল মালেক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ‍্যালয়, মান্দারপুর।
✪ মৌলভী মোতাহার হোসেন ,
জমশেরপুর মাদ্রাসা থেকে ইস্ট বেঙ্গল বোর্ড এ দ্বিতীয়।বর্ণী,
✪ সমাজসেবক ডাঃ এলাহী বকশ, বর্ণী
✪ প্রফেসর মাহবুবুর রহমান
সাবেক পরিচালক শিক্ষা ভবন।বর্ণী
✪ ইঞ্জিঃ সিরাজুল ইসলাম বুয়েট। বর্ণী
✪ প্রফেসর ডঃ মোঃ শাহআলম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বর্ণী
✪ জনাব শামসুল আলম
ডিপুটি পরিচালক (অবসর প্রাপ্ত) বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্ণী
✪ মোঃ নজরুল ইসলাম রুস্তম
কৃষি অধিদপ্তর এর সাবেক মহাপরিচালক,বর্ণী
✪ জনাব মোহাম্মাদ মিকাঈল,
উপসচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
✪ জনাব ড. সফিকুল ইসলাম,
উপসচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।বাদৈর।
✪ জনাব হালিম মিঞা,
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বাংলাদেশ পুলিশ, শিকারপুর
✪ জনাব মেহেদি হাসান,
সহকারি কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট, শিকারপুর।
✪ জনাব অলি আহমেদ,মান্দারপুর।
✪ এম এ কাইয়ূম
সাবেক মহাসচিব, সি,বি,এ; টি এন্ড টি,বাংলাদেশ।
মান্দারপুর।

#তথ্যসূত্র:
১। উইকিপিডিয়া
২। বাংলা পিডিয়া
৩। সরকারি তথ্যবাতায়ন
৪। উপজেলা পরিসংখ্যান ব্যুরো
৫। জহিরুল ইসলাম স্বপন,ইতিহাস ও লোকজ সংস্কৃতির লেখক
৬। মো: শামীম পারভেজ
প্রতিষ্ঠাতা-চাঁদের হাট জমশেরপুর উচ্চ বিদ্যালয় শাখা,
ও সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় চাঁদের হাট।
৭। ড.সফিকুল ইসলাম
উপসচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৮। মাঠ পর্যায়ে ব্যক্তিগত সংগ্রহ
৯। গুগল
১০. স্মরণিকা ২০০৮/কসবা উপজেলা সমিতি, ঢাকা।

➤তথ্য সংগ্রাহক ও লেখক: এস. এম. শাহনূর

 

কসবার ৪ নং খাড়েরা ইউনিয়নের নামকরণ ও সর্বশেষ তথ্যচিত্র:

ব্রিটিশ শাসনামলের আনুমানিক ১৮৮৬ সালে খাড়েরা ইউনিয়ন গঠিত হয়।কসবা উপজেলার মধ্যাংশে খাড়েরা ইউনিয়নের অবস্থান। এ ইউনিয়নের পূর্বে
বিনাউটি ইউনিয়ন, উত্তরে বাদৈর ইউনিয়ন , পশ্চিমে মেহারী ইউনিয়ন এবং দক্ষিণে কসবা পশ্চিম ইউনিয়ন অবস্থিত। ঐ সময়ে ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান ও পরবর্তী চেয়ারম্যানবৃন্দ:

১। আব্দুর রশিদ ভূঁইয়া -(পরপর ২ বার) গ্রাম- খাড়েরা
২। মো: সিরাজুল ইসলাম – সোনারগাঁও
৩। এড: ফখরুদ্দীন খাঁন – দেলী
৪। মোজাম্মেল হক বেনু – বুগীর
৫। মো: মোখছুর রহমান – ধর্মপুর

➤বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কবির আহম্মদ খাঁন
বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান।

#খাড়েরা ইউনিয়নের গ্রাম সমূহ:
দেলী
পাতাইসার
মনকাশাইর
গনেশপুকুরপাড়
রাধানগর
সোনারগাঁও
গোলাসার
বুগীর
ধর্মপুর
কেয়াইর
খাড়েরা
দামসার
গজারিয়া

#খাড়েরা নামকরণ:

“কী যে তোমার চোখে লেখা আছে দেখি যে তাই চেয়ে ওগো খেয়ার নেয়ে!” কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর “খেয়া” কবিতায় খেয়া ঘাটের মাঝির চোখে যাহাই খুঁজুক আমি খেয়া’র মাঝে খোঁজে বেড়াই খাড়েরা/খেওড়া গ্রামের নামকরণ। কবি কাজী নজরুল ইসলামের খেয়া-পারের তরণী কবিতায়ও খুঁজি প্রত্যাশিত শব্দের আদি অন্ত। “যাত্রীরা রাত্তিরে হতে এল খেয়া পার, বজ্রেরি তূর্যে এ গর্জেছে কে আবার – — —- —- —– —– —— ——- —– — — —– —– —– —– —- —- — বৃথা ত্রাসে প্রলয়ের সিন্ধু ও দেয়া-ভার, ঐ হলো পুণ্যের যাত্রীরা খেয়া পার।” (অগ্নিবীণা)

ঐতিহাসিক তথ্য উপাত্ত থেকে পাওয়া যায় প্রাচীনকালে অত্র অঞ্চল ছিল জলমগ্ন যা কালিদহ সায়র বা কালিদাস সাগর নামে অভিহিত। আর এ কালিদহ সায়রের বুকে জেগে উঠা ছোটছোট চরগুলোতেই পরবর্তীতে আস্তে আস্তে জনবসতি গড়ে উঠে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার অন্তর্গত আজকের খাড়েরা ও খেওড়া নামক গ্রাম দুটো(কালিদহ সায়রের বুকে জেগে উঠা চর) একসময় নূরনগর পরগণার একটি ব্যস্ততম খেয়া ঘাট ছাড়া আর কিছুই ছিলনা।খেয়া অর্থ নৌকা। নৌকা বহুল অঞ্চল খাড়েরা ও খেওড়া।
বর্তমান ভারতের আগরতলা কিংবা ত্রিপুরা তথা নূরনগর পরগণা থেকে বরদাখাত পরগণার সাথে জল পথে যাতায়তের জন্য এ খেয়া ঘাট নদী বন্দর হিসাবে ব্যবহৃত হত।জানা যায়,আজ থেকে তিন চার শত বছর আগে আখাউড়া দেবগ্রাম থেকে হাতুনির বিল দিয়ে (খেয়াঘাট>খেওয়া ঘাট) খেওড়া হয়ে বুড়ি নদীতে নৌকা যাতায়াত করতো। বুড়ি তখন বুড়ি ছিল না। যৌবনবতী নদী ছিল।১৬৬০ সালের ডানব্রুকের ম্যাপে নবীনগর থেকে দক্ষিণে বিশাল জলপ্রবাহ ব্রাহ্মপুত্র নামে উল্লেখ।(কালিদহ সায়রের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে শেষ পরিচয় সর্পিলাকার রাজার খালের জলযানের খেয়া ঘাট হিসাবেও ইহা বহুকাল ব্যবহৃত হয়েছে।)গায়ের অশিক্ষিত আর অর্ধ শিক্ষিত মানুষের মুখে এ খেয়া ঘাটের উচ্চারণ শোনা যেত খেওয়া (খেওয়া পাড় বা খেওয়া ঘাট)।যা পরবর্তীতে খেওয়া থেকে খাড়েরা ও খেওড়া নাম ধারণ করে।

#একনজরে খাড়েরা ইউনিয়ন:
স্থানাঙ্ক: ২৩°৪৭′ উত্তর ৯১°৬.৫′ পূর্ব /
২৩.৭৮৩° উত্তর ৯১.১০৮৩° পূর্ব

ইউনিয়নের আয়তন ৩,২৯৩ একর (১৩.৩৩ বর্গ কিলোমিটার)।
ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ২০,৫৩৭ জন। পুরুষ ৯,৬৯৩ জন এবং
মহিলা ১০,৮৪৪ জন।
মোট পরিবার ৩,৯৪৫টি।
জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১,৫৪১ জন।
সাক্ষরতার হার ৫৯.১%।
প্রাথমিক বিদ্যালয় ১২টি
মাদ্রাসা ১টি
মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩টি
মসজিদ ৩০
মন্দির ০টি
মঠ ১টি (ধ্বংসপ্রাপ্ত-পাতাইসার)
শ্মশান ৪টি (এক সময়কার শ্মশান ঘাট/অর্পিত সম্পত্তি গুলোর অস্তিত্ব আজ আর নেই)।
ঈদগাহ ৫
কবরস্থান ৫০
ক্রীড়া সংগঠন ২
পেশাজীবি সংগঠন ৪
সাংস্কৃতিক সংগঠন ১১টি

#বিশেষ বরেণ্য ব্যক্তিত্ব ও গুণীজন:
✪ অধ্যাপক খোরশেদ আলম,
সাবেক সংসদ সদস্য, খাড়েরা।
✪ মরহুম ওয়ালি মাস্টার
প্রতিষ্ঠাতা-খাড়েরা মোহাম্মদীয়া উচ্চ বিদ্যালয়।
✪ হযরত ফতে আলি (রঃ)
পীর খাড়েরা দরবার শরিফ।
✪ বীর প্রতীক ইয়াকুব আলি, খাড়েরা।
✪ জনাব আব্দুর রশিদ চেয়ারম্যান, খাড়েরা,
✪ জনাব বজলুর রহমান মেম্বার,খাড়েরা।
✪জনাব ফজলুল হক মেম্বার,খাড়েরা।
✪ জনাব হারুনুর রশিদ মেস্বার, খাড়েরা ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দানকারী।
✪ আলহাজ্ব সেলিম মাস্টার,
বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজ সেবক,
✪ জনাব আনিছুল রহমান ভূঁইয়া
শিল্পপতি ও শিক্ষানুরাগী, খাড়েরা।
✪ পাইলট মিজানুর রহমান, সোনার গাঁও।
✪ ডক্টর মিজানুর রহমান
ডিন, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়।কেইয়ার,
✪ ডাক্তার হাবিবুর রহমান, বুগীর।
✪ প্রফেসর ডাঃ এম এ হান্নান
পরিচালক, পরিচালক মা ও শিশু হাসপাতাল মাতুয়াইল ঢাকা। গ্রাম- দেলি।
✪ জনাব লোকমান হোসেন পলা
কসবা উপজেলা থিম সং রচয়িতা।
লেখক ও সাংবাদিক। খাড়েরা।
✪ জনাব এ এ এম নসিহুল কামাল
যুগ্নসচিব,বুগীর।
✪ জনাব আব্দুল কাইয়ুম
সাবেক মহাপরিচালক ডিউটি ড্রব্যাক দপ্তর,দেলী।

#তথ্যসূত্র:
১। উইকিপিডিয়া
২। বাংলা পিডিয়া
৩। সরকারি তথ্যবাতায়ন
৪। উপজেলা পরিসংখ্যান ব্যুরো
৫। জনাব লোকমান হোসেন পলা
কসবা উপজেলা থিম সং রচয়িতা।
লেখক ও সাংবাদিক।
৭। মাঠ পর্যায়ে ব্যক্তিগত সংগ্রহ
৮। গুগল
৯। স্মরণিকা ২০০৮/কসবা উপজেলা সমিতি, ঢাকা।

➤তথ্য সংগ্রাহক ও লেখক: এস. এম. শাহনূর

 

কসবার ৫ নং বিনাউটি ইউনিয়নের নামকরণ ও সর্বশেষ তথ্য চিত্র:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন কসবা উপজেলাস্থ ৫নং বিনাউটি ইউনিয়ন পরিষদটি কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দাবাদ বাসষ্ট্যান্ডের অনতিদুরে প্রাচীন কালের ঐতিহ্যবাহী রাউৎহাট বাজারের দক্ষিণ পাশে একটি মনোরম পরিবেশে জনবহুল এলাকায় অবস্থিত। ১৯৪০ সালে বিনাউটি ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়। বিনাউটি গ্রামের নামানুসারে এই ইউনিয়নটির নাম বিনাউটি নামকরণ করা হয় বলে প্রতিয়মান হয়। শিক্ষা সাহিত্য সংস্কৃতি আর ব্যবসা বানিজ্যে পরিপূর্ণ এই ইউনিয়ন। হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে এক সৌহার্দপূর্ণ মনোভাবের এক মিলন মেলার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এখানে। ইউনিয়নটির উত্তরে ধরখার ইউনিয়ন, দক্ষিণে কসবা পৌরসভা, পশ্চিমে বাদৈর ইউনিয়ন, পূর্বে গোপীনাথপুর ইউনিয়ন। অত্র ইউনিয়নে নৌ ও স্থল পথে যাতায়ত অত্যন্ত সুবিধাজনক।
১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিনাউটি ইউনিয়নে অনেক ঘটনা ঘটেছে। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ও পরবর্তীকালে ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ও চেয়ারম্যান বৃন্দের নামের তালিকা।

✪ এড. আব্দুল করিম,প্রেসিডেন্ট,নেমতাবাদ।
✪ এড.আব্দুল গফুর, প্রেসিডেন্ট,চাপিয়া।
✪ জনাব নজীব আলী,প্রেসিডেন্ট,মজলিশপুর।
✪ জনাব মতিউর রহমান, প্রেসিডেন্ট,সৈয়দাবাদ।
✪ জনাব এবি ছিদ্দিক, চেয়ারম্যান,২বার,সৈয়দাবাদ।
✪ জনাব জহুরুল হক,চেয়ারম্যান,২বার,সৈয়দাবাদ।
✪ এড.হারুনূর রশিদ খান,চেয়ারম্যান,সৈয়দাবাদ।
✪ জনাব মনজুর আলম,চেয়ারম্যান,চকচন্দ্রপুর।
✪ জনাব জাহাঙ্গীর আলম,চেয়ারম্যান,রাউৎহাট।
✪ এড. এম এ আলম দুলাল,চেয়ারম্যান, নেমতাবাদ।

বর্তমান চেয়ারম্যান,
✪ এড.মোঃ ইকবাল হোসেন,সৈয়দাবাদ।

#বিনাউটি ইউনিয়নের গ্রাম সমূহ:
সৈয়দাবাদ
দরুইল
হাজীপুর
রাউৎহাট
বিনাউটি
মনিচং
চান্দাইসার
খিদিরপুর
ব্রাহ্মণগ্রাম
নেমতাবাদ
গাববাড়ি
নোয়াপাড়া
চন্দ্রপুর
ভরাজাঙ্গাল
সানখলা
মজলিশপুর
অনন্তপুর
চাপিয়া
টিঘরিয়া
চকচন্দ্রপুর
অনন্তপুর
আদ্রা
নোয়াপাড়া(দক্ষিণ)

#বিনাউটি নামকরণ:
বিননা খুঁটি থেকে বিনাউটি শব্দটি এসেছে। বিননা অর্থ জমিনের সীমানা ঠিক রাখার চিহ্ন।জমিতে খুঁটি দিয়ে সীমানা ঠিক রাখা হয়।এভাবে বিনাউটি শব্দটি এসেছে। গ্রামে বড় বড় হিন্দু তালুকদার ছিল। অনেকেই এ অঞ্চলে প্রচুর জমির মালিক।জমির সীমানা ঠিক রাখার জন্য বিননা ব্যবহার করতেন। এ থেকে বিনাউটি নামকরণ। প্রকৃতপক্ষে জমি নিয়ে চরম বিরোধের কারণে জমির সীমানা ঠিক করার প্রয়োজন থেকে বিনাউটি। অন্যমতে, বিলা একপ্রকার লম্বা ঘাস জমিতে উৎপন্ন হতো। এ বিন্না ঘাস থেকে বিনাউটি। প্রথম মতটি গ্রহণযোগ্য।

#একনজরে বিনাউটি ইউনিয়ন:
স্থানাঙ্ক: ২৩°৪৭.৫′ উত্তর ৯১°৯′ পূর্ব /
২৩.৭৯১৭° উত্তর ৯১.১৫০° পূর্ব

বিনাউটি ইউনিয়নের আয়তন ৫,৯২৬ একর (২৩.৯৮ বর্গ কিলোমিটার)।
মোট জনসংখ্যা ৩৩,৫২৫ জন।
পুরুষ ১৬,০৯৮ জন এবং
মহিলা ১৭,৪২৭ জন।
মোট পরিবার ৬,৩০৭টি।
জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১,৩৯৮ জন।
সাক্ষরতার হার ৪৯%।

প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৪টি
কিন্ডারগার্টেন ৮টি
মাদ্রাসা ২টি
মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪টি
সরকারি কলেজ ১টি
মসজিদ ২১টি
মাদ্রাসা ৫টি
ইয়াতিমখানা ১টি
ঈদগাহ ৮ টি
কবরস্থান ১৮টি
মন্দির ৪টি
শ্মশান ৩টি
ক্রীড়া সংগঠন ৬টি
পেশাজীবি সংগঠন ৯টি
সাংস্কৃতিক সংগঠন ১১টি
হাট/বাজার ৫ টি

#বিশেষ বরেণ্য ব্যক্তিত্ব ও গুণীজন:
✪ জনাব এবি সিদ্দিক
প্রতিষ্ঠাতা,
সৈয়দাবাদ সরকারি আদর্শ মহাবিদ্যালয়।
✪ জনাব আবু জামাল খন্দকার
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, চন্দ্রপুর।
✪ জনাব শহিদুল ইসলাম
সাবেক যুগ্ন সচিব, সৈয়দাবাদ।
✪ জনাব মাসুদ বিন মোমেন,
সিনিয়র সচিব,পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সৈয়দাবাদ।
তিনি ১৯৮৫ সালের বিসিএস পররাষ্ট্র সার্ভিসের একজন র্কমর্কতা,
✪ জনাব হাসনাত আব্দুল হাই
জন্ম ১৯ মে ১৯৩৭,কলকাতায়। অবসর ২০০০ সালে।১৯৯৫ সালে(সাহিত্যে) একুশে পদক পান।
✪ জনাব ওয়াহিদুজ্জামান মাষ্টার, চকচন্দ্রপুর।
✪ জনাব কাজী কামাল হোসেন, চাপিয়া।
✪ জনাব নজরুল ইসলাম চৌধুরী, অনন্তপুর
✪ জনাব আব্দুর রাজ্জাক, খিদিরপুর।
✪ জনাব হারুনূর রশিদ চৌধুরী, নেমতাবাদ।

#তথ্যসূত্র:
১। উইকিপিডিয়া
২। বাংলা পিডিয়া
৩। সরকারি তথ্যবাতায়ন
৪। উপজেলা পরিসংখ্যান ব্যুরো
৫। জনাব সাইদুর রহমান খান
(প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক)
৬। জনাব আব্দুল মতিন মেম্বার,খিদিরপুর।
৭। মাঠ পর্যায়ে ব্যক্তিগত সংগ্রহ
৮। গুগল
৯। স্মরণিকা ২০০৮/কসবা উপজেলা সমিতি, ঢাকা।

➤তথ্য সংগ্রাহক ও লেখক: এস. এম. শাহনূর

 

কসবার ৬নং গোপীনাথপুর ইউনিয়নের নামকরণ ও সর্বশেষ তথ্যচিত্র:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার উত্তর পুর্বে ভারতের সীমানা ঘেষা গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ অবস্থিত। এই ইউনিয়নে রয়েছে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশের জন্য যারা প্রাণ দিয়েছে সে সকল শহীদের স্মৃতি সৌধ যা লক্ষীপুর স্মৃতি সৌধ নামে পরিচিত।এই ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে সিনাই নদী প্রবাহিত হয়েছে যার উৎপত্তি ভারতের ত্রিপুরা । “লাঙ্গল যার জমি তার” এই প্রবাদ পুরুষ কৃষক নেতা মালেক মিয়া তাঁর জন্মও এই ইউনিয়নে।

#ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যানবৃন্দের নামের তালিকা:
০১ মৃত অগোর চন্দ্র দেব, পিতা- মৃত হরিদ চন্দ্র দেব, প্রেসিডেন্ট ১৯৩৭-১৯৪০
০২ মৃত অগোর চন্দ্র দেব, পিতা- মৃত হরিদ চন্দ্র দেব ,প্রেসিডেন্ট ১৯৪০-১৯৪৪
০৩ মৃত ডাঃ প্রাণ কিশোর চৌধুরী, পিতা-মৃত নির্মল কিশোর চৌধুরী ,প্রেসিডেন্ট ১৯৪৫-১৯৪৯
০৪ মৃত আঃ লতিফ ভূইয়া মাষ্টার, পিতা-মৃত মোঃ পান্ডব আলী, প্রেসিডেন্ট ১৯৫০-১৯৫৪
০৫ মৃত নুরুল ইসলাম হাজারী ,পিতা-মৃত আজগর আলী হাজারী, প্রেসিডেন্ট ১৯৫৫-১৯৫৮
০৬ মৃত নুরুল ইসলাম হাজারী,পিতা- মৃত আজগর আলী হাজারী, প্রেসিডেন্ট ১৯৫৮-১৯৫৯
০৭ মৃত আঃ রহমান, পিতা-মৃত সুন্দর আলী ,চেয়ারম্যান ১৯৬০-১৯৬৪
০৮ মৃত আঃ রহমান ,পিতা-মৃত সুন্দর আলী চেয়ারম্যান, ১৯৬৫-১৯৭১
০৯ মৃত বজলুর রহমান খন্দকার, পিতা-মৃত আলী আজম খন্দকার, রিলিফ চেয়ারম্যান ১৯৭২-১৯৭৩
১০ মৃত খোরশেদ আলম,পিতা- মৃত আবদুল হাকিম, চেয়ারম্যান ১৯৭৪-১৯৭৬
১১ মৃত রমজান আলী খন্দকার, পিতা-মৃত আলী আজ্জম ,চেয়ারম্যান ১৯৭৭-১৯৮২
১২ মৃত কুদ্দুছুর রেজা, পিতা-মৃত আব্দুর রাজ্জাক, চেয়ারম্যান ১৯৮৪-১৯৮৭
১৩ মৃত খোরশেদ আলম, পিতা-মৃত আবদুল হাকিম, চেয়ারম্যান ১৯৮৮-১৯৯১
১৪ মোঃ আনিছুল হক ভূইয়া, পিতা-মোঃ বজলুর রহমান ভূইয়া, চেয়ারম্যান ১৯৯২-১৯৯৭
১৫ মৃত কুদ্দুছুর রেজা, পিতা-মৃত আব্দুর রাজ্জাক, চেয়ারম্যান ১৯৯৮-২০০২
১৬ মোঃ আনোয়ার হোসেন ভূইয়া, পিতা-আবদুল কাহার ভূইয়া ,চেয়ারম্যান ২০০৩-২০১১
১৭ মোঃ আনোয়ার হোসেন ভূইয়া, পিতা-আবদুল কাহার ভূইয়া, চেয়ারম্যান ২০১১-২০১৬
১৮ এস, এম, এ মান্নান, পিতা-মোঃ আবু সাইদ ,চেয়ারম্যান ২০১৬- বর্তমান।

#গোপীনাথপুর ইউনিয়নের গ্রাম সমূহ
ভাতশালা
ভোল্লাবাড়ি
চন্ডিদ্বার
মির্জাতপুর
আলমপুর
হরিয়াবহ
নোয়াগাও
দৌলতপুর
ধব্জর্নগর
রায়েরমুড়া
গোসাইপুর
বিষ্ণাউড়ি
গনকমুড়া
কাশিপুর
বড়ঠোটা
এনায়েতপুর
ফতেহপুর
বাহাদুরপুর
রাজনগর
গোপিনাথপুর
গোসাইস্থল
গানপুর
হরিপুর
জগন্নাথপুর
জেঠুয়ামুড়া
খিরনাল
কুইয়াপানিয়া
লক্ষিপুর
লতুয়ামুড়া
মধুপুর
মানিক্যমুড়ি
পাথারিয়াদ্বার
রামপুর
দিঘীরপাড়
সুতারমুড়া
রামনগর
কাজীয়াটুলা
সৈয়দপুর
বাড়াই

#গোপীনাথপুর নামকরণ:
লোকমুখে প্রচলিত গোপীনাথ ও জগনাথ দুই ভাই। দুই গ্রামে তাদের প্রথম নিবাস করে গড়ে তুলে। সহোদর দুই ভাইয়ের নামে গোপীনাথপুর ও জগন্নাথপুর গ্রাম দুটির নাম হয়।সঠিক তথ্য হলো- গোপীনাথ, জগনাথ এবং এনায়েত নামে জমিদার এর তিনপুত্র ছিল। তাদের মধ্যে গোপীনাথ সবার বড় ছিল। তিন ভাইয়ের নামে তিনটি মৌজার সৃষ্টি হয়, গোপীনাথপুর, জগন্নাথপুর এবং এনায়েতপুর মৌজা। গোপীনাথ বড় পুত্র হওয়ায় তার জমিদারিও বড় ছিল। এই গোপীনাথের নামানুসারে গোপীনাথপুর গ্রাম এবং গোপীনাথপুর ইউনিয়ন এর নামকরণ করা হয়।
অন্য একটি তথ্যমতে, ত্রিপুরার রাজধানী উদয়পুরে মহারাজ অমর মানিক্য জগন্নাথ মন্দির স্থাপন করেন। উদয়পুরে গোপীনাথ দেবতা নামেও মন্দির আছে।আর এ দুই দেবতার নামে ত্রিপুরার মহারাজ গোপীনাথপুর ও জগন্নাথপুর নামে দুই গ্রামের নামকরণ করেন।গ্রামের দক্ষিণ পাশে ছিনাই নদী, পূর্বে বিখ্যাত সরিষা ডুলির বিল, পশ্চিমে রেললাইন, ও আন্তঃজেলা পাকা সড়ক।পাহাড়ি ও টিলাময় এ গ্রামগুলোর অবস্থান ঈমাম বাড়ি রেলস্টেশনের পূর্বে।

#স্থানাঙ্ক: ২৩°৪৬′ উত্তর ৯১°১১′ পূর্ব /
২৩.৭৬৭° উত্তর ৯১.১৮৩° পূর্ব

#একনজরে গোপীনাথপুর ইউনিয়ন:
ইউনিয়নের আয়তন ৭,৬০৯ একর (৩০.৭৯ বর্গ কিলোমিটার)।
ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ৩৫,৬৬৭ জন।
পুরুষ= ১৮৫১৬ জন,
মহিলা= ১৭১৫১ জন,
মোট পরিবার ৬,৬৯০টি।
জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১,১৫৮ জন।
সাক্ষরতার হার ৫১.৭%।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়=২১টি
মাধ্যমিক বিদ্যালয় =৫টি
কলেজ =১টি
মসজিদ=৫৩টি
মন্দির=৪টি
মেডিকেল কলেজ =১টি
হাটবাজার =১০টি
ডাকঘর=৪টি
সরকারি ব্যাংক =১টি
বেসরকারি ব্যাংক=১টি
কবরস্থান=১৫টি
গণকবরস্থান=১টি
শ্মশান=৩টি
বিওপি ক্যাম্প =৩টি
কমিউনিটি হাসপাতাল =৫টি
পরিবারের সংখ্যা =৫৩৭৯টি
শিক্ষার হার= ৪৫%
বনভূমি=৩৭.১১%

#দর্শনীয় স্থান:
লক্ষীপুর গ্রামে শহিদ মিনার,ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত লক্ষীপুর শহীদ মিনার।
➤গোপীনাথপুর মেডিকেল কলেজ।

#গুণীজন,প্রখ্যাত ও বরেণ্য ব্যক্তিত্ব:
✪ আব্দুল মালেক মিয়া।
এই ইউনিয়নের রয়েছে( লাঙ্গল যার জমি তার) এই প্রবাদ পুরুষ আব্দুল মালেক মিয়া। তার জন্ম এই ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে।
✪ শহীদ আনোয়ার হোসেন –– বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।গোপীনাথপুর।
✪ এইচ এম সুলতান আহমেদ
সাবেক পরিচালক, বাংলাদেশ বিমান।বাহাদুরপুর।
✪ জনাব শীষ হায়দার চৌধুরী
যুগ্ন সচিব,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়।গোপীনাথপুর।
✪ জনাব আকরাম খান
অধ্যক্ষ,
গোপীনাথপুর আলহাজ্ব শাহ্ আলম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ।
✪ জনাব জামশেদ আহমেদ খন্দকার
সাবেক যুগ্ন সচিব, পাথারিয়াদ্বার।
✪ জনাব হাসান আজাদ বাদল
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গোপীনাথপুর।

#তথ্যসূত্র:
১। উইকিপিডিয়া
২। বাংলা পিডিয়া
৩। সরকারি তথ্যবাতায়ন
৪। উপজেলা পরিসংখ্যান ব্যুরো
৫। মোহাম্মদ কিবরিয়া
সিনিয়র অফিসার, অগ্রণী ব্যাংক লিঃ
৬। জনাব আব্দুল মতিন মেম্বার,খিদিরপুর।
৭। মাঠ পর্যায়ে ব্যক্তিগত সংগ্রহ
৮। গুগল
৯। স্মরণিকা ২০০৮/কসবা উপজেলা সমিতি, ঢাকা।

➤তথ্য সংগ্রাহক ও লেখক: এস. এম. শাহনূর

 

উপজেলার ৭ নং কসবা ইউনিয়নের  নামকরণ ও সর্বশেষ তথ্যচিত্র:

ঐহিহ্যবাহী কসবা পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদটি একটি নব গঠিত ইউনিয়ন। সাবেক কসবা ইউনিয়নের দুটি ওয়ার্ড নিয়ে ২০০৪ ইং সনে ৭নং কসবা পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদটি পুনর্গঠিত হয়। আয়তনের দিক থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সবচেয়ে ছোট ইউনিয়ন এটি।
২০১৭ সালে কসবা পশ্চিম ইউনিয়নকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করা হয়।

#অবস্থান ও সীমানা:
কসবা উপজেলার মধ্যাংশে কসবা পশ্চিম ইউনিয়নের অবস্থান। এ ইউনিয়নের পূর্বে কসবা পৌরসভা, উত্তরে বিনাউটি ইউনিয়ন ও খাড়েরা ইউনিয়ন, পশ্চিমে মেহারী ইউনিয়ন ও কুটি ইউনিয়ন এবং দক্ষিণে কায়েমপুর ইউনিয়ন অবস্থিত।

জনাব মো: মানিক মিয়া
ইউপি চেয়ারম্যান

মো: জহিরুল হক খাঁন
চেয়ারম্যান

#গ্রাম সমূহের নাম ও ওর্য়াড নং
১। কালীয়ারা-১ নং ওয়ার্ড
২। মীরপুকুরপাড়-১ নং ওয়ার্ড
৩। মীরতলা-২,৩ নংওর্য়াড
৪। বিলঘড়-৪ নং ওর্য়াড
৫। কুল্লাবাড়ী -৫ নং ওর্য়াড
৬। আকছিনা -৬,৭,৮,৯ নং ওয়ার্ড

➤একনজরে কসবা পশ্চিম ইউনিয়ন:
স্থানাঙ্ক: ২৩°৪৫′ উত্তর ৯১°৭′ পূর্ব
আয়তন ১,৩৩৫ একর (৫.৪০ বর্গ কিলোমিটার)।
মোট জনসংখ্যা ১০,০৪২ জন।
পুরুষ ৪,৭৬৩ জন এবং মহিলা ৫,২৭৯ জন।
মোট পরিবার ১,৮৭১টি।
জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১,৮৫৯ জন।
#ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ৪৮.৬%।

#খাল ও নদী
কসবা পশ্চিম ইউনিয়নের পূর্বে আকছিনা গ্রামের পাশ দিয়ে বিজনা  নদী বয়ে গেছে । এছাড়া কসবা পশ্চিম ইউনিয়নে অনেক খাল রয়েছে ।

#হাট-বাজারের-তালিকা:
১। আকছিনা বাজার।
২। মীরতলা বাজার।

#মসজিদ;
১। মীরপুকুরপাড় জামে মসজিদ
২। কালিয়ারা জামে মসজিদ
৩। মীরতলা বড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ
৪। মীরতলা মধ্যপাড়া জামে মসজিদ
৫। মীরতলা কেসরপাড়া জামে মসজিদ
৬। আকছিনা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ
৭। আকছিনা ভূইয়া বাড়ী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ
৮। আকছিনা কচুয়াপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ
৯। আকছিনা পূর্বপাড়া জামে মসজিদ
১০। আকছিনা  পশ্চিম মন্নান হাজ্বি জামে মসজিদ
১১। আকছিনা পূর্বপাড়া রশিদ হাজ্বি বাড়ী  জামে মসজিদ
১২। আকছিনা ছায়েদ আলী বাড়ী জামে মসজিদ
১৩। কুল্লাবাড়ী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ

#ঈদগাহ:
১। আকছিনা পূর্বপাড়া বড় ঈদগাহ
২। আকছিনা কুল্লাবাড়ী মালায়পাড়া ঈদগাহ
৩। আকছিনা পীরমুড়ি ঈদগাহ
৪। মীরতলী বড় ঈদগাহ

#কবরস্থান:
১। মীরপুকুরপাড় কবর স্থান
।২। কালিয়ারা কবর স্থান
৩। মীরতলা মোল্লাবাড়ী মসজিদ সংলগ্ন কবর স্থান
৪। মীরতলা ফোরকানীয় মাদরাসা সংলগ্ন কবর স্থান
৫। আকছিনা পীড়মুড়ি কবরস্থান
৬। আকছিনা মোল্লাবাড়ী কবর স্থান
৭। আকছিনা কাজি কাদির বাড়ী সংলগ্ন কবরস্থান
৮। আকছিনা মাঝিপুকুরপাড় সংলগ্ন কবরস্থান
৯। আকছিনা ডিসি রোড সংলগ্ন কবরস্থান
১০। কুল্লাবাড়ী জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থান
১১। কুল্লাবাড়ী জোরব্রিজ সংলগ্ন কবরস্থান

#ক্রীড়া সংগঠন:
১। কুল্লাবাড়ী লায়ন একাদশ ক্লাব
২। আকছিনা ক্রিকেট ক্লাব।

 

কসবার ৮ নং কুটি ইউনিয়নের নামকরণ ও সর্বশেষ তথ্যচিত্র:

শিক্ষা সাহিত্য সংস্কৃতি আর ব্যবসা বানিজ্যে পরিপূর্ন কুটি ইউনিয়ন। হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ মনোভাবের এক মিলন মেলার বহি প্রকাশ ঘটেছে এখানে। বাংলাদেশের সোনালী আশ বা গোল্ডেন ফাইবার (Golden Fiber)বলা হয় পাটকে। এক কালে কুটি বাজারে কোটি কোটি টাকার পাট কেনা বেচা হত বলে এই ইউনিয়নটির নাম কুটি নামকরণ করা হয় বলে কেউ কেউ মনে করেন।
অত্র ইউনিয়নটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা জেলার সংযোগ স্থলে অবস্থিত যাহা দুই জেলাকে বিভক্ত করে। ইউনিয়নটির উত্তরে মেহারী ইউনিয়ন, দক্ষিণে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা, পশ্চিমে মুরাদনগর উপজেলা, পূর্বে কসবা পশ্চিম ইউনিয়ন ও কসবা পৌরসভা। অত্র ইউনিয়নে নৌ ও স্থল পথে যাতায়ত অত্যন্ত সুবিধাজনক।

আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম ‍জিতু
ইউপি চেয়ারম্যান

#কুটি ইউনিয়নের গ্রাম সমূহ:
কুটি
জাজিয়ারা
বিষ্ণপুর
গংগানগর
লেশিয়ারা
মাইজখার
মানিকনগর
শরৎনগর
তকাপাড়া
তারানগর
রামপুর
দক্ষিণখার
বাগুর
বিলঘর
বাইসার
ভৈরবনগর
রাণীয়ারা
সান্তীপুর
কাঠেরপুল
কালামুড়িয়া
শাসনসার
গুনসাগর
আতকাপাড়া
কাইচ্ছানগর।

#কুটি নামকরণ:
কুটি ইউনিয়নের কুটি নাম কী করে কুটি হলো?এই কুটি কি কোটি থেকে এসেছে নাকি কুঠি শব্দের পরিবর্তিত রূপ?
সংস্কৃতে কোটি শব্দের দুটি অর্থ, একটি হল ‘প্রকার’ এবং অপরটি হল ‘কোটি’ (Crore)। বেদে তেত্রিশ কোটি (সংস্কৃত: ত্রয়স্তিমাশতি কোটি) দেবতার প্রকৃত অর্থ হল তেত্রিশজন পদাধিকারী দেবতা বা তেত্রিশ রকমের দেবতার কথা বলা হয়েছে।কোটি অন্য অর্থে পদ বা স্থান বোঝায়, যেমন “উচ্চকোটি” নির্দেশ করে উচ্চপদস্থ বা উচ্চস্থানীয়, যার ইংরেজি সমার্থক হবে “High Ranked”।

অন্যদিকে কুঠি /কুঠী/Kuthi শব্দ দ্বারা House ; bungalow ; factory ; firm. ইউরোপীয় সওদাসগর/ব্যবসায়ীদের কার্যালয় বা বাসস্হান (নীলকুঠি); রাজপুরুষ বা পদস্হ ব্যক্তির বাসগৃহ, বাংলো (কালেক্টরের কুঠি, ম্যাজিস্ট্রেটের কুঠি) নির্দেশ করে।ইউরোপীয়দের বাণিজ্য কেন্দ্র ও পণ্যাগার বুঝানো হয়। এ ধরনের কেন্দ্র থেকে ইউরোপীয় নৌবাণিজ্য কোম্পানিগুলি পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে তাদের ব্যবসায়-বাণিজ্য পরিচালনা করত। এ পণ্যাগারে জাহাজের মালামাল বাজারজাত করার জন্য মজুত রাখা হতো। এখানে রপ্তানির জন্য মালামাল সংগৃহীত ও প্রক্রিয়াজাত করা হতো। কোম্পানির ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের আবাসস্থলও ছিল এ কুঠি।

কুঠি >কুটি। কুঠি বাজার বা গ্রামটি ছিল বিখ্যাত পাট কেন্দ্র। বুড়ি নদী ও বিশাল হাওড় অঞ্চলের পূর্বে অবস্থিত এ গ্রাম।কুটি কসবার পশ্চিমে অবস্থিত সমৃদ্ধ বাজার। এখানে পাট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সুন্দর সুন্দর পাট কুঠি ব্যবসায়ীরা গড়ে তুলে। কুঠির পাট কেন্দ্র ৩/৪ শত বছরের পুরাতন। কুলীন হিন্দুরা তাদের বাড়িতে চৌচালা বা আটচালা সুন্দর কুঠি গড়ে তুলে।হিন্দু ধনী ব্যবসায়ী,কুলীন হিন্দুদের কুঠিঘর থেকে এর নামকরণ হয় কুঠি>কুটি।

স্থানাঙ্ক: ২৩°৪৩.৭′ উত্তর ৯১°৫.৫′ পূর্ব /
২৩.৭২৮৩° উত্তর ৯১.০৯১৭° পূর্ব

ইউনিয়নের আয়তন ৫,০২২ একর (২০.৩২ বর্গ কিলোমিটার)।
মোট জনসংখ্যা ৩৯,৬৫১ জন।
পুরুষ ১৯,১৫২ জন এবং
মহিলা ২০,৪৯৯ জন।
মোট পরিবার ৭,৬৩৭টি।
জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১,৯৫১ জন।
সাক্ষরতার হার ৫১%।

➤শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা:
কলেজ (১)
নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১)
প্রাথমিক বিদ্যালয় (৯)
মাদ্রাসা (২)
মাধ্যমিক বিদ্যালয় (২)
কিন্ডারগার্টেন (৬)

➤ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান:
মসজিদ ৩৫
মন্দির ৫
ঈদগাহ ১২
মাজার ১
কবরস্থান ১২

➤সংগঠন:
ক্রীড়া সংগঠন ৪
সাংস্কৃতিক সংগঠন ২
পেশাজীবি সংগঠন ৪

➤ব্যাংক:
ঐতিহ্যবাহী কুটি বাজারে সরকারি বা বেসরকারী বেশ কয়েকটি ব্যাংক রয়েছে। এছাড়া স্থানীয় জনগন বিদেশ থেকে রেমিটেন্স ট্রাষ্ট ব্যাংকের মাধ্যমে, বিকাশ ক্যাশ পয়েন্ট, ডাচ্ বাংলা ক্যাশ পয়েন্ট থেকেও টাকা উত্তোলন, লেন/দেন করতে পারছে।

➤প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব:
মিল্লাত গ্রুপ অফ কোম্পানী লিঃ এর চেয়ারম্যান ও শিক্ষারমান উন্নয়ন, নকল প্রতিরোধ আন্দোলনের চেয়ারম্যান প্রখ্যাত ব্যক্তি জনাব মিয়া আবদুল্লাহ ওয়াজেদ আব্দু মিয়া এই কুটি গ্রামের বাসিন্দা।

➤দর্শনীয় স্থান:
কুটি হযরত রুকন উদ্দিন শাহ মাজার
(রিক্সা অথবা বাস যোগে কুটি চৌমুহনী থেকে কুটি ফকির বাড়ী।)

#তথ্যসূত্র:
১। উইকিপিডিয়া
২। বাংলা পিডিয়া
৩। সরকারি তথ্যবাতায়ন
৪। উপজেলা পরিসংখ্যান ব্যুরো
৫। মোহাম্মদ কিবরিয়া
সিনিয়র অফিসার, অগ্রণী ব্যাংক লিঃ
৬। জনাব আব্দুল মতিন মেম্বার,খিদিরপুর।
৭। মাঠ পর্যায়ে ব্যক্তিগত সংগ্রহ
৮। গুগল
৯। স্মরণিকা ২০০৮/কসবা উপজেলা সমিতি, ঢাকা।

➤তথ্য সংগ্রাহক ও লেখক: এস. এম. শাহনূর

 

কসবার ৯ নং কায়েমপুর ইউনিয়নের নামকরণ ও সর্বশেষ তথ্য চিত্র:

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত কসবা উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়ন। বাংলাদেশ বডার গার্ড মইনপুর হতে আনুমানিক এক কিলোমিটার পশ্চিমে একটি মনোরম পরিবেশে এর অবস্থান। শিক্ষা সাহিত্য সংস্কৃতি আর ব্যবসা বানিজ্যে পরিপূর্ণ কায়েমপুর।এখানে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে এক সৌহার্দপূর্ণ মনোভাবের মিলন মেলার বহি প্রকাশ লক্ষণীয়।

#সীমানা:
এ ইউনিয়নের উত্তরে কসবা পৌরসভা ও কসবা পশ্চিম ইউনিয়ন, উত্তর-পশ্চিমে কুটি ইউনিয়ন, পশ্চিমে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়ন ও চান্দলা ইউনিয়ন, দক্ষিণ-পশ্চিমে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়ন, দক্ষিণ-পূর্বে বায়েক ইউনিয়ন এবং পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ অবস্থিত।

#ইউনিয়ন পরিষদের পূর্বতন চেয়ারম্যানবৃন্দের নাম, গ্রাম ও মেয়াদকাল:
০১ মো: শানু মিয়া মইনপুর ১৯৭৪-১৯৭৬
০২ এ্যাডভোকেট মনিরুল হক মইনপুর ১৯৭৭-১৯৮৪
০৩ আব্দুল মজিদ জাজিসার ১৯৮৪-১৯৮৮
০৪ এ্যাডভোকেট মনিরম্নল হক মইনপুর ১৯৮৮-১৯৯২
০৫ এম এ খালেক চৌধুরী কায়েমপুর ১৯৯২-১৯৯৬
০৬ জাহাঙ্গীর আলম সেলিম জাজিসার ১৯৯৭-২০০৫
০৭ হেবজুল বারী (বি,কম) গোবিন্দপুর ২০০৫-২০১১
০৮ মো: আমজাদ হোসেন সরকার কায়েমপুর ২০১১-২০১৬

➤মোঃ ইয়াকুব আলী ভূইয়া
বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান

#গ্রামভিত্তিক লোকসংখ্যা ও ওয়ার্ড:
১ পানিয়ারূপ ৩১৫০ ১নং ওর্য়াড
২ নোয়াগাঁও ২৪৫০ ১নং ওর্য়াড
৩ লক্ষিপুর ১৪৫০ ১নং ওর্য়াড
৪ জাজিসার ২৯৫০ ২নংওর্য়াড
৫ চক বস্তা ১০১০ ২নং ওর্য়াড
৬ গংঙ্গানগর ৯৫০ ২নং ওর্য়াড
৭ ওমরপুর ৩৫৫ ৩নং ওর্য়াড
৮ কালতা ৫৫০ ৩নং ওর্য়াড
৯ খোড়াইশার ৪১৪ ৩নং ওর্য়াড
১০ দিঘির পাড় ৪৪০ ৩নং ওর্য়াড
১১ নাখাউড়া ৪৫০ ৩নং ওর্য়াড
১২ রাজবল্লভপুর ৬৫০ ৩নং ওর্য়াড
১৩ চাটুয়াখলা ৪৫০ ৩নং ওর্য়াড
১৪ দক্ষিণ চকবস্তা ৩২৫ ৩নং ওর্য়াড
১৫ রাউৎখলা ২৯০ ৩নং ওর্য়াড
১৬ কায়েমপুর ৫০৫০ ৪নং ওর্য়াড
১৭ শ্রীপুর ৯৯৪ ৫নং ওর্য়াড
১৮ কায়েমপুর পশ্চিম ২৯৫০ ৫নং ওর্য়াড
১৯ মন্দবাগ ২৯৫০ ৬নং ওর্য়াড
২০ জগন্নাথপুর ১০৫৫ ৬নং ওর্য়াড
২১ নোয়াপাড়া ৯৮০ ৬নং ওর্য়াড
২২ মইনপুর পশ্চিম ২৯৯০ ৭নং ওর্য়াড
২৩ ঝিকড়া ৫৫০ ৭নং ওর্য়াড
২৪ কালিনগর ৪৯০ ৭নং ওর্য়াড
২৫ মইনপুর পূর্ব ৩০৫০ ৮নং ওর্য়াড
২৬ গ্রিরিশনগর ৯৯০ ৮নং ওর্য়াড
২৭ কামালপুর ৪৯৫ ৯নং ওর্য়াড
২৮ গোবিন্দপুর ১০২০ ৯নং ওর্য়াড

#কাইমপুর নামকরণ:
কায়েমপুর।কায়েম অর্থ পত্তন বা বাস্তবায়ন। কসবা থেকে দক্ষিণে কৈখলা পর্যন্ত বিস্তৃত জনপদ হলো মোগল-ত্রিপুরিদের যুদ্ধক্ষেত্র। ষোড়শ শতাব্দীর বহু বড় বড় দীঘি কসবা, কায়েমপুর অঞ্চলে দেখা যায়। কারো কারো মতে মোগলদের সঙ্গে ত্রিপুরীরা যুদ্ধে হেরে যায়। মোগলরা এখানে গ্রাম পত্তন করেন। এ থেকে কায়েমপুর নামকরণ হয়।অন্যমতে, কাইমপুর গ্রাম এ অঞ্চলে সর্বপ্রথম গ্রামের পত্তন বা বাস্তবায়ন হয়। গ্রামের আদি নিবাসীই তা পত্তন করেন। এ থেকে কাইমপুর নামকরণ হয়।এ মতটি বেশি গ্রহণযোগ্য।

#এক নজরে কায়েমপুর ইউনিয়ন পরিষদ:

স্থানাঙ্ক: ২৩°৪২′ উত্তর ৯১°৭′ পূর্ব
আয়াতন: ৪৮২৭ একর (১৯,.৫৩বর্গ কিলোমিটার)।
মোট পরিবার ৬,৪০৭টি।
মোট লোক সংখ্যা:- ৪৫,৮৫০ প্রায়
পুরুষ:- ২০,৮০০
মহিলা:- ২৫,০৫০
জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১,৬৯৫ জন।
ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ৪৯.৪%।

হাট বাজার সংখ্যা:- ৫টি।
উচ্চ বিদ্যালয়:- ৪টি।
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়:- ২০টি।
মাদ্রাসা সংখ্যা:- মাদ্রাসা- ৩টি
মহিলা মাদ্রাসা- ১টি
হাফিজিয়া মাদ্রাসা- ৫টি ।
হোল্ডিং সংখ্যা:- ৪৪১৪টি।
ব্যাংক:-
জনতা ব্যাংক -১টি
আশা ব্যাংক- ১টি।
ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স:- ১টি।
কমিউনিটি হেলথ্ ক্লিনিক:- ৩টি।
ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার:- ১টি।

#অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
✪ ইকরা মডেল পাবলিক স্কুল, প্রতিষ্ঠাকাল ২০০০ খ্রীঃ

#প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম ও প্রতিষ্ঠাকাল:
✪ মইনপুর পূর্ব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৩৯ সাল
✪ মইনপুর পশ্চিম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৪৮ সাল
✪ দিঘীরপাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৩৬ইং
✪ নোয়াগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৭৮ সাল
✪ মন্দভাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৬৩ইং
✪ ৭২নং কায়েমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯২৫ সাল
✪ পানিয়ারূপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৬৭ খ্রি.
✪ গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৭১ খ্রি.।
✪ কামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৪০ খ্রি.।
✪ জাজিসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৪১ খ্রি.।
✪ চাটুয়াখলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ০১/০১/১৯৯১ইং
✪ উত্তর চকবস্তা সরকারী বিদ্যালয় ১৯৮৮ইং
✪ কায়েমপুর পশ্চিম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ০১/১২/২০০০ইং
✪ ১৪২নং জগন্নাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ০১/০১/১৯৯০ইং
✪ কায়েমপুর পূর্ব আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ০১/০১/১৯৮৬ইং
✪ ১৩৮নং লক্ষীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৮৭ইং
✪ গংগানগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৮৯ইং
✪ কামালপুর হাজী মুকবুল হোসেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৯১ইং
✪ শ্রীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ০১/০১/১৯৯০ইং

#মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম ও প্রতিষ্ঠাকাল:
✪ কায়েমপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ১০/১০/১৯৯৬ইং
✪ মঈনপুর উচ্চ বিদ্যালয় ০১/০১/১৯৬৩ইং
✪ পানিয়ারূপ উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৪৭ খ্রিঃ
✪ কালতা আলহাজ্ব আজহারুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়

#মসজিদ :-৫৬ টি
০১। নোয়াগাঁও জামে মসজিদ :- ২ টি।
০২। জাজিসার জামে মসজিদ :- ৩ টি।
০৩। পানিয়ারুপ জামে মসজিদ :- ৩ টি।
০৪। লক্ষিপুর জামে মসজিদ :- ১ টি।
০৫। কামালপুর জামে মসজিদ :- ৫ টি।
০৬। রাউৎখলা জামে মসজিদ :- ২ টি।
০৭। চাটুয়াখলা জামে মসজিদ :- ৩ টি।
০৮। কালতা জামে মসজিদ :- ২ টি ।
০৯। চকবস্তা জামে মসজিদ :- ১ টি।
১০। গংগানগর জামে মসজিদ :- ১ টি।
১১। দিঘিরপাড় জামে মসজিদ :- ১ টি।১২। গোবিন্দপুর জামে মসজিদ :- ২ টি।
১৩। রাজভল্লবপুর জামে মসজিদ :- ১ টি।
১৪। মইনপুর জামে মসজিদ :- ৮ টি।
১৫। কায়েমপুর জামে মসজিদ :- ১০ টি।
১৬। মন্দভাগ জামে মসজিদ :- ৫ টি।
১৭। ঝিকড়া জামে মসজিদ :- ১ টি।১৮। কালী নগর জামে মসজিদ :- ১ টি।
১৯। জগন্নাথপুর জামে মসজিদ :- ১ টি।
২০। নোয়াপাড়া জামে মসজিদ :- ১ টি।
২১। গিরিশনগর জামে মসজিদ :- ১ টি।
২২। শান্তিপুর জামে মসজিদ :- ১ টি।

#কালি মন্দির:-৩টি
১। মন্দভাগ মন্দির:-১টি।
২। কায়েমপুর মন্দির:-১টি।
৩। মইনপুর মন্দির:-১টি।

#ঈদগাহ:-১৩ টি
১। নোয়াগাঁও ঈদগাহ মাঠ :-১ টি।২। লক্ষিপুর ঈদগাহ মাঠ :- ১ টি।৩। গংগানগর ঈদগাহ মাঠ :- ১ টি।৪। জাজিসার ঈদগাহ মাঠ :- ১ টি।৫। ঝিকড়া ঈদগাহ মাঠ :- ১ টি।৬। কামালপুর ঈদগাহ মাঠ :- ১ টি।৭। গোবিন্দপুর ঈদগাহ মাঠ :- ১ টি।৮। দিঘীরপার ঈদগাহ মাঠ :- ১ টি।৯। মইনপুর ঈদগাহ মাঠ :- ১ টি।১০। মন্দভাগ ঈদগাহ মাঠ :- ২ টি১১। জগন্নাথপুর ঈদগাহ মাঠ :- ১ টি।১২। কায়েমপুর ঈদগাহ মাঠ :- ১ টি।

#এতিমখানা
মইনপুর দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা। ঐতিহ্যবাহী কায়েমপুর ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র মইনপুর গ্রামে একটি এতিমখানা রয়েছে। এটি মইনপুর বাজারের উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত।

#মাজার ৪টি
০১। কায়েমপুর পূর্ব পাড়া
০২। মইনপুর
০৩। মন্দভাগ লেংটার দরবার শরীফ
০৪। জাজিসার লালন সাহার মাজার

#কবর স্থান :- ৪৭ টি
১। পানিয়ারুপ কবর স্থান :- ১ টি।২। নোয়াগাঁও কবর স্থান :- ৩ টি।৩। লক্ষিপুর কবর স্থান :- ১ টি।৪। কামালপুর কবর স্থান :- ৫ টি।৫। গোবিন্দপুর কবর স্থান :-১ টি।৬। ঝিকড়া কবর স্থান :-১ টি।৭। কালীনগর কবর স্থান :-১ টি।৮। মইনপুর কবর স্থান :- ৬ টি।৯। গ্রিশনগর কবর স্থান :- ১ টি১০। শ্রীপুর কবর স্থান :- ১ টি।১১। কায়েমপুর কবর স্থান :- ৮ টি।১২। মন্দভাগ কবর স্থান :- ৩ টি।১৩। নোয়াপাড়া কবর স্থান :- ১ টি।১৪। জগন্নাথপুর কবর স্থান :- ১ টি।১৫। রাউৎখলা কবর স্থান :- ১ টি।১৬। চাটুয়াখলা কবর স্থান :- ১ টি।১৭। রাজভল্লবপুর কবর স্থান :- ১ টি।১৮। দিঘীরপাড় কবর স্থান :- ২ টি।১৯। কালতা কবর স্থান :- ২ টি।২০। ওমরপুর কবর স্থান :- ১ টি।২১। জাজিসার কবর স্থান :- ৪ টি।২২। গংগানগর কবর স্থান :- ১ টি।

#ক্রীড়া সংগঠন:
১। কায়েমপুর মেধা লালন ছাত্র সংঘ ।২। মইনপুর আদশ ক্লাব । ৩। হিল ফুল ফুযল শান্তি সংঘ।৪। কায়েমপুর মেঘনা ছাত্র সংঘ।৫। নোয়াগাও প্রগতি যুব সংঘ।

#সাংস্কৃতিক সংগঠন:
১। দামামা শিল্পী গোষ্ঠী।২। সিন্দাবাদ শিল্পী গোষ্ঠী।এছাড়ারাও বিভিন্ন এনজিও সমুহ মাঝে মাঝে বিভিন্ন জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নাটিকা, সংগীতানুষ্ঠান ইত্যাদি প্রচার করা হয়।

#পেশাজীবি সংগঠন:
০১. কায়েমপুর ইনসাফ সমবায় সমিতি০২. বন্দু যুব উন্নয়ন সমিতি০৩. মইনপুর কৃষক সমিতি

#খাল ও নদী
কায়েমপুর ইউনিয়নের বুক চিরে বিজনা নদী প্রবাহিত হয়েছে। এ ছাড়া ও ছোট ছোট অসংখ্য খাল বিজনা নদীতে গিয়ে একত্রিত হয়েছে।

#হাট-বাজার
১ কায়েমপুর বাজার ৫০ শতক ৩টা ৬০০০/= (ছয় হাজার) কায়েমপুর, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
২ মন্দভাগ বাজার ৭০ শতক ৪টি ২০,০০০/= (বিশ হাজার) মন্দভাগ, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
৩ মইনপুর বাজার ৭০ শতক ২টি ৩০,০০০/= মইনপুর, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
৪ পানিয়ারুপ বাজার ৪৫ শতক ২টি ১০,০০০/=(দশ হাজার) পানিয়ারুপ, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
৫ কালতা বাজার ৩০ শতক ২টি ৭,০০০/= (সাত হাজার) কালতা, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

#দর্শনীয় স্থান:
✪ মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশন
১৮৯২ সালে ইংল্যান্ডে গঠিত আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানি এদেশে রেলপথ নির্মাণের দায়িত্ব নেয়। ১৮৯৫ সালের ১ জুলাই চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা ১৫০ কিমি মিটারগেজ লাইন এবং লাকসাম থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত ৬৯ কিমি রেললাইন জনসাধারণের জন্য খোলা হয়। ১৮৯৬ সালে কুমিল্লা-আখাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ স্থাপন করা হয়। কুমিল্লা -আখাউড়া -শাহবাজপুর লাইনের স্টেশন হিসেবে মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশন তৈরি করা হয়।
✪ কায়েমপুর দত্তের বাড়ী
কসবা থেকে বাস, সি এন জি, করে কায়েমপুর ব্রীজ নামতে হবে। তারপর রিক্সা করে কায়েমপুর দত্তের বাড়ী।

#প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব ও গুণিজন:
✪ এডভোকেট সিরাজুল হক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর,
সাবেক গণপরিষদের সদস্য ও এমপি।
✪ এডভোকেট আনিসুল হক এম.পি
মাননীয় মন্ত্রী,আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।✪ এডভোকেট রাশেদুল কাওছার ভূঁইয়া জীবন।
কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান।
✪ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার; কায়েমপুর।
✪ মোঃ আজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া,
সাবেক সচিব; নোয়াগাঁও।
✪ প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক
নির্বাহী প্রকৌশলী স,ও, জ নোয়াগাঁও।
✪ হারুনুর রশীদ ভূঁইয়া
সম্পাদক দৈনিক বিশাল, গ্রাম জাজিসার।

#তথ্যসূত্র:
১। উইকিপিডিয়া
২। বাংলা পিডিয়া
৩। সরকারি তথ্যবাতায়ন
৪। উপজেলা পরিসংখ্যান ব্যুরো
৫। মাঠ পর্যায়ে ব্যক্তিগত সংগ্রহ
৬। গুগল
৯। স্মরণিকা ২০০৮/কসবা উপজেলা সমিতি, ঢাকা।
১০। রেলওয়ে বাংলাপিডিয়া http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%93%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87

➤তথ্য সংগ্রাহক ও লেখক: এস. এম. শাহনূর

 

কসবার ১০ নং বায়েক ইউনিয়নের নামকরণ ও সর্বশেষ তথ্যচিত্র:

কালের স্বাক্ষী বহনকারী সালদানদী তীরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বায়েক ইউনিয়ন। কসবা উপজেলার এক ঐতিহ্যবাহী অঞ্চলে এর অবস্থান। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এখানে অনেক মুক্তিযুদ্ধা ও নিরহ মানুষ তাদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে শহীদ হয়েছে । এখানে রয়েছে দেশের রাষ্ট্রীয় প্রাকৃতিক সম্পদ সালদা গ্যাস। রয়েছে ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি সম্বলিত স্মৃতিসৌধ।কাল পরিক্রমায় আজ বায়েক ইউনিয়ন শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, খেলাধুলা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার নিজস্ব স্বকীয়তায় সমুজ্জ্বল। ২০১৮ সালে বায়েক ইউনিয়নকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করা হয়।

#সাংগঠনিক কাঠামো: একজন চেয়ারম্যান,৩ জন মহিলা সদস্য ও ৯ জন পুরুষ সদস্য।

#পূর্বতন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বৃন্দের তালিকা:
০১ জনাব মো: মনিরুল হক মনির ২০০৩-২০১১ইং
০২ জনাব মো: মনিরুল হক মনির ১৯৯৮-২০০৩ইং
০৩ জনাব আবু তাহের সরকার ১৯৯৩-১৯৯৮ইং
০৪ জনাব আবু তাহের সরকার ১৯৮৮-১৯৯৩ইং
০৫ জনাব আবু তাহের সরকার ১৯৮৩-১৯৮৮ইং
০৬ জনাব আবু তাহের সরকার ১৯৭৮-১৯৮৩ইং
০৭ জনাব ইসমাইল ভূইয়া ১৯৭৩-১৯৭৮ইং
০৮ জনাব মো: তোতা মিয়া
০৯ জনাব সুরুজ মিয়া ভুইয়া

বর্তমান চেয়ারম্যান:
জনাব আল মামুন ভূঁইয়া

#অবস্থান ও সীমানা:
কসবা উপজেলার সর্ব-দক্ষিণে বায়েক ইউনিয়নের অবস্থান। এ ইউনিয়নের উত্তর-পূর্বে কায়েমপুর ইউনিয়ন, পশ্চিমে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়ন ও চান্দলা ইউনিয়ন, দক্ষিণে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়ন ও ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ এবং পূর্বে ও উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ অবস্থিত।

#বায়েক নামকরণ:
বাউক>বাহুক >বাঁক। শব্দটির উৎপত্তি মধ্যযুগীয় বাংলা শব্দ থেকে। বিজনা নদীটি কৈখলা গ্রাম হয়ে বায়েক গ্রামে প্রবেশ করেই উত্তর-পশ্চিমে বাঁক নিয়ে উত্তরে কসবার দিকে প্রবাহিত হয়।নদীটি বায়েক গ্রামে, একবার বাঁক নিয়েছে বলেই গ্রামটির নাম বায়েক।

#বায়েক ইউনিয়নের গ্রাম সমূহের নাম:
ও গ্রাম ভিত্তিক লোক সংখ্যা:
০১ চারুয়া ২৩৩৫ জন
০২ বায়েক ২২২৪ জন
০৩ নয়নপুর ১২৩১ জন
০৪ কোনাঘাটা ১৩৫৭জন
০৫ কান্দারপাড় ৭৯৫জন
০৬ ধনরাজপুর ৩৩০জন
০৭ কৈখলা ৫৫৬জন
০৮ বড় বায়েক ১৭১জন
০৯ সাগরতলা ৬৪১জন
১০ জয়দেবপুর ২৮৬জন
১১ কোল্লাপাথর ১২৯৩জন
১২ হরিপুর ৮৬৩জন
১৩ বিদ্যানগর ১১১৫জন
১৪ মাদলা ২১২৫জন
১৫ খাদলা ১২৭২জন
১৬ নিচন্তপুর ১৩০জন
১৭ গোপীনগর ১০০৬জন
১৮ গৌরাঙ্গুলা ৮২৯জন
১৯ বাড়ীখলা ৮৬জন
২০ বাদালিয়া ২৪১জন
২১ শ্যামপুর ৭৮৯জন
২৩ পুটিয়া ১০৪৬জন
২৪ বেলতলী ১২৯২জন
২৫ বালিয়াহুড়া ৭১৯জন
২৬ কাশিরামপুর ৭২৭জন
২৭ রঘুরামপুর ৭৩০জন
২৮ চাঁন্দখলা ৬৪৭জন
২৯ সস্তাপুর ২১৫জন
৩০ মিজ্জাপুর ১৪৪জন
৩১ ধোপাখলা ৫৫৩জন
৩২ নোয়াপাড়া ৪৩৯জন
৩৩ নয়নপুর হাট ৪৩জন
৩৪ রাজভল্লবপুর ২৪৫জন

➤একনজরে বায়েক ইউনিয়ন:
#স্থানাঙ্ক: ২৩°৪১′ উত্তর ৯১°১১′ পূর্ব
#আয়তন: ৬,২৮২ একর (২৫.৪২ বর্গ কিলোমিটার)।
মোট জনসংখ্যা ২৯,৯৭৪ জন।
পুরুষ ১৪,৪৪২ জন এবং
মহিলা ১৫,৫৩২ জন।
মোট পরিবার ৫,৯৩২টি।
জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১,১৭৯ জন।
#ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ৪৮%।

#প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহের নাম ও প্রতিষ্ঠাকাল:
✪ শহীদ স্মৃতি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৭২
✪ বায়েক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৫২
✪ খাদলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৬১ ইং।
✪ গৌরাঙ্গুলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যানগর,প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৩৯
✪ রাজ ভলস্নবপুর রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়।প্রতিষ্ঠাকাল ০১/০১/১৯৯০ইং।
✪ চারুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৭১ সাল।
✪ মাদলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৪৯ইং।
✪ গোপীনগর-বেলতলী রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়।প্রতিষ্ঠাকাল ০১-০১-১৯৭৩ইং।
✪ কাশীরামপুর রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৯৫ইং এবং ১৯৯৬ সালের জানুয়ারীতে কার্যক্রম শুরু হয়।
✪ চারুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৭০ খ্রি.।
✪ জয়দেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৩৭ খ্রি.।
✪ মন্দভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৪৩ খ্রি.।

➤ মাদলা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠাকাল ১২/১২/১৯৯৭ইং

#মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের নাম ও প্রতিষ্ঠাকাল:
✪ সোনার বাংলা এডভোকেট সিরাজুল হক উচ্চ বিদ্যালয়।
✪ শিক্ষা সদন বায়েক উচ্চ বিদ্যালয়।
✪ রাবেয়া মান্নান ভূইয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ০৭-০৯-১৯৯৭ ইং
✪ এম.এন জাকারিয়া টেকনিক্যাল হাইস্কুল। ০১/০১/১৯৯৬ইং।
✪ শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৭০ ইং সাল।

➤ বায়েক আলহাজ্ব শাহ আলম কলেজ।

#মসজিদ:
১। কৈখলা জামে মসজিদ,কৈখলা।
১। মাদলা জামে মসজিদ, মাদলা।
২। পুটিয়া জামে মসজিদ, পুটিয়া ।
৩। খাদলা জামে মসজিদ, খাদলা।
৪। অষ্টজঙ্গল জামে মসজিদ, অষ্টজঙ্গল।
৫। কোল্লাপাথর জামে মসজিদ, কোল্লাপাথর।
৬। নয়নপুর কোনাঘাটা জামে মসজিদ, নয়নপুর।
৭। চারুয়া পূর্বপাড়া জামে মসজিদ, চারুয়া।
৮। চারুয়া পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ, চারুয়া।
৯। চারুয়া মধ্যপাড়া জামে মসজিদ, চারুয়া।
১০। চারুয়া উত্তরপাড়া জামে মসজিদ, চারুয়া।

#মন্দির
১। শ্রী শ্রী শিবশক্তি মন্দির, নয়নপুর।
২। হরিপুর কালীমন্দির, হরিপুর।
৩। শ্মশান কালীমন্দির, নয়নপুর।

#শ্মশান:
০১। নয়নপুর শ্মশান ঘাট, নয়নপুর।
০২। মাদলা শ্মশান, মাদলা।
০৩। হরিপুর শ্মশানঘাট, হরিপুর।

#ঈদগাহ:
১. কৈখলা ঈদগাহ,কৈখলা।
২। চারুয়া মধ্যপাড়া ঈদগাহ, চারুয়া।
৩। রঘুরামপুর ঈদগাহ, রঘুরামপুর।
৪। নয়নপুর, ঈদগাহ, নয়নপুর।
৫। কোল্লাপাথর ঈদগাহ, কোল্লাপাথর।
৬। খাদলা ঈদগাহ , খাদলা।

#কবরস্থান: ১৫ টি
১. কৈখলা কবরস্থান২. বাড়িখলা কবরস্থান৩. নয়নপুর কবরস্থান৪. কান্দারপাড় কবরস্থান৫ বায়েক কবরস্থান৬. রঘুরামপুর কবরস্থান৭. চান্দখলা কবরস্থান৮. বালিয়াহুড়া কবরস্থান৯. ধোপাখলা কবরস্থান১০. গৌরাঙ্গুলা কবরস্থান১১. মাদলা কবরস্থান১২. খাদলা কবরস্থান১৩. শ্যামপুর কবরস্থান১৪. পুটিয়া কবরস্থান১৫. বেলতলী কবরস্থান .

#ক্রীড়া সংগঠন: ০৪টি

#সাংস্কৃতিক সংগঠন:
১। দামামা শিল্পী গোষ্ঠী।
২। সিন্দাবাদ শিল্পী গোষ্ঠী।
এছাড়ারাও বিভিন্ন এনজিও সমুহ মাঝে মাঝে বিভিন্ন জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নাটিকা, সংগীতানুষ্ঠান ইত্যাদি প্রচার করা হয়।

#পেশাজীবি সংগঠন:
০১. নিজেরা করি ভুমিহীন সংগঠন
০২. আব্দুল্লাহপুর জেলে সমবায় সমিতি
০৩. বুড়িরপাড় যুব উন্নয়ন সমিতি
০৪. জিন্নতপুর কৃষক সমিতি

#যোগাযোগ ব্যবস্থা:
রেল পথ, সড়ক পথ ও নদী পথে যোগাযোগের সুব্যবস্থা রয়েছে। নয়নপুর বাজার থেকে কসবার দূরত্ব পর্যন্ত ১০ কি.মি।

#হাট- বাজার:
নয়নপুর তোহা বাজার,নয়নপুর গরুর বাজার, মাদলা বাজার,অষ্টজঙ্গল বাজার, মাদলা বাজার, সাগরতলা বাজার, হরিপুর বাজার ও মন্দভাগ বাজার ।

#খাল নদী:
সালদানদী। বিজয় নদী।তাছাড়া সাগরতলা খেলার মাঠের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে এক প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী খাল। এখানে নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হয়,নদীর দুই পাশে রযেছে কাশবন,

#এনজিও সমূহ:
১। আশা২। গ্রামীণ ব্যাংক৩। উদ্যাম৪।প্রশিকা৫। জনতা ব্যাংক৬। সালদা মাল্টি পারপাস কো অপারেটিভ বেসরকারী সংস্থা গুলো ১০ নং বায়েক ইউনিয়নের জনগনকে আর্থিক ভাবে সহায়তা প্রদানের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্ষুদ্র ঋণ সহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালু রয়েছে।

#বীমা:
১। ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স কোঃ লিঃ২। পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোঃ লিঃ৩। আল আরাফাহ ইসলামী ইন্সুরেন্স কো অপারেটিভ লি:৪। আল বারাকা লাইফ ইন্সরেন্স লিঃ৫। ইসলামী ব্যাংক ইন্সুরেন্স শাখা ।৬। প্রগতি লাইফ ইনসুরেন্স৭। বায়রা লাইফ ইন্সুরেন্স লিঃ৮। পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লিঃএ সকল বীমা প্রতিষ্ঠান সমূহ বায়েক ইউনিয়নে তাদের শাখা অফিস, এজেন্ট এবং বুথ দ্বারা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে ।

#দর্শনীয় স্থান:
কোল্লাপাথর শহীদ সমাধি
সালদা গ্যাস ক্ষেত্র
সাগরতলা খেলার মাঠ।

#প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব:
✪ সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আবু তাহের সরকার।
✪ কর্নেল (অব.) এম এ মালেক ভূঁইয়া
সাবেক পরিচালক প্ল্যানিং বিজিএমসি, গ্রাম বড় বায়েক।

#তথ্যসূত্র:
১। উইকিপিডিয়া
২। বাংলা পিডিয়া
৩। সরকারি তথ্যবাতায়ন
৪। উপজেলা পরিসংখ্যান ব্যুরো
৫। মাঠ পর্যায়ে ব্যক্তিগত সংগ্রহ
৬। গুগল
৯। স্মরণিকা ২০০৮/কসবা উপজেলা সমিতি, ঢাকা।

➤তথ্য সংগ্রাহক ও লেখক: এস. এম. শাহনূর

Some text

ক্যাটাগরি: বিবিধ

[sharethis-inline-buttons]

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি