সোমবার রাত ১:০৮, ২০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ৩রা নভেম্বর, ২০২৪ ইং

ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় শিশুর মৃত্যু

৪০১ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের কলেজপাড়ায় অনিক (১২) নামে এক শিশু নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে হাবুডুবু খায়।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার  (৪ আগস্ট) দুপুরে অনিক বাড়ির পাশে নদীতে গোসল করতে নামলে সে পানিতে হাবুডুবু খায়। পরে স্থানীয়রা শিশুটিকে অসুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্য রত চিকিৎসক না দেখেই মৃত ঘোষনা করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।

পরে শিশুটিকে বাড়ি নেওয়ার পথে তার শরীর গরম হয়ে মুখ দিয়ে পানি বের হলে শিশুটিকে স্থানীয় এক ডায়াবেটিকস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুনঃরায় সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকে রা দ্বিতীয় বার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

সে পৌর শহরের কলেজপাড়া মহল্লার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। মোহাম্মদ আলী সরকারি কলেজের অফিস সহকারী। পরে স্বজনরা সদর হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে হাসপাতাল ঘেরাও, ভাঙচুর ও বিক্ষোভ করে। পরে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করে।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা: রাকিব এসে অনিকের স্বজন ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন স্বজনেরা, চিকিৎসায় অবহেলা ও স্বাস্থ্য সহকারী বাবুল হোসেনের হটকারী সিদ্ধান্তের কথা আবাসিক মেডিক্যাল অফিসারকে জানালে তিনি সদর হাসপাতালের তত্তাবধায়ক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। পরে পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা মত্যু সনদ নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন।

স্থানীয় এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, আমরা প্রথমে অনিককে হাসপাতালে নিয়ে আসি। সেখানে দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য সহকারী বাবুল হোসেন বলেন, আমার ১২ বছরের চিকিৎসার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাচ্চাটি মারা গেছে তার ইসিজি লাগবে না।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে ইসিজির কোন যন্ত্র নেই। বাহিরে থেকে ভাড়া করে ইসিজি মেশিন নিয়ে আসা হলেও মেশিন পরিচালনাকারী পাওয়া যায়নি। অবহেলায় এভাবে আর কত অনিককে হারাবো আমরা?

এ বিষয়ে হাসপাতালের স্বাস্থ্য সহকারী বাবুল হোসেন জানান, ওই সময় ডিউটিতে থাকা চিকিৎসক ডা: সাবিনা শিশুটিকে দেখে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি কিছু বলেননি বলে জানান।

এ ব্যাপারে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. রাকিব কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই সময় ডা: লিসা ও ডা: সাবিনা ডিউটিতে ছিলেন। রোগীর স্বজননেরা লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালে কোন ইসিজি মেশিন নেই স্বীকার করে তিনি জানান, এ কারনেই বাহিরে থেকে হয়তো ই‌সি‌জি মেশিন আনা হয়েছিল।

মোঃজাহিরুল ইসলামঃ ঠাকুরগাঁও থেকে  

Some text

ক্যাটাগরি: খবর

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি