বুধবার বিকাল ৪:১০, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

ঠাকুরগাঁওয়ে শ্রাবণী রানী হত্যাকাণ্ডে সোহাগ বর্মন গ্রেফতার

৬৬৭ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নস্থ আকচা আশ্রমপাড়া এলাকার ভবেশ চন্দ্র রায় এর কন্যা শ্রাবণী রানী (১৬) হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভীরুল ইসলাম ও পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত) গোলাম মর্তুজা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহের সুরতহাল প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করেন। সেইসাথে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাকুসহ আনুষঙ্গিক আলামত জব্দ করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে ও প্রাথমিক তদন্তে নিহত শ্রাবণীর সৎ মামা সোহাগ বর্মন পিতা- ধিরেন বর্মন, মাতা সূর্যবালা বর্মন, সাং- মাইসছড়ি গুচ্ছগ্রাম ,থানা-মহালছড়ি, জেলা খাগড়াছড়ি,বর্তমানে সিংগিয়া সরকার পাড়া (আসামির মামা নীল মোহন এর বাড়ি)কে( ২২) হত্যাকাণ্ডে জড়িত মর্মে সন্দেহ করা হয়। ইতিমধ্যে মৃতার বাবা ভবেশ চন্দ্র বর্মন, পিতা:নীল মোহন বর্মন, সাং- আকচা আশ্রমপাড়া,থানা ও জেলা- ঠাকুরগাঁও নিজে বাদী হয়ে উল্লেখিত সোহাগ বর্মন সহ অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে এজাহার দায়ের করেন।

যার মামলা নং- ০৫, তাং-০৫/০৩/২০২০ইং ,ধারা – ৩০২/৩৪ পিসি রুজু করা হয়।
এজাহার মূলে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করিয়া ( ৫ মার্চ) রাত ৩:৩৫ ঘটিকায় এলাকা হতে উক্ত আসামি পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

এরপর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামির ফেলে যাওয়া জুতা অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়। উক্ত আসামি জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, মৃতা শ্রাবণী রানীর সাথে গত এক বছর যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক। তারা একে অপরকে খুব ভালবাসত। কিছুদিন পূর্বে মন্দিরে গিয়ে আসামি সোহাগ বর্মন শ্রাবনীকে সিঁদুর পরিয়ে গোপনে বিবাহ করে।

তাদের প্রেমের সম্পর্ক নিহতের মা জানতে পেরে সোহাগের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।প্রায় ৭/৮ যাবৎ শ্রাবণী সোহাগের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয় এবং বিভিন্ন ছেলেদের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে জানতে পেরে শ্রাবণীর প্রতি সোহাগ ক্ষিপ্ত হয়। গত ৪ মার্চ বুধবার সন্ধ্যা ৬ টায় শ্রাবণীর বাবা- মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে আসামি সোহাগ বর্মন শ্রাবণীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের ঘরের ভিতরে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং শ্রাবনীকে মারপিট করে।

ওই সময় শ্রাবণী তাদের ঘরের ভেতরের ড্রেসিং টেবিলের ড্রোয়ারে থাকা একটি ধারালো চাকু বের করে সোহাগ বর্মনকে ভয় দেখায়। তখন সোহাগ বর্মন থাপ্পড় দিয়ে শ্রাবনীকে বিছানায় ফেলিয়া দিয়া ধারালো চাকুটি তার হাতে নিয়ে ওই চাকু দ্বারা শ্রাবনীর গলায় পোচ মেরে রক্তাক্ত জখম করে আসামি সোহাগ বর্মন পালিয়ে যায়।

শ্রাবণী জখম অবস্থায় বিছানা থেকে উঠিয়া ঘরের-বাহিরের বারান্দায় লুটিয়া পড়ে মৃত্যু বরণ করে। আসামি সোহাগ বর্মনকে বি তু
বীজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং সে তার দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে।

৫ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে প্রেস ব্রিফিং-এ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু তাহের মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভিরুল ইসলাম তানভীর, সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা গোলাম মর্তুজা,এসআই আনিসুর রহমান, মামলার আইওসহ পুলিশ কর্মকর্তা গন।
এছাড়া প্রেসব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব সভাপতি মনসুর আলী সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

নুরে আলম শাহ::ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

Some text

ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা

[sharethis-inline-buttons]

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি