শুক্রবার রাত ২:০০, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

নির্বাচনে ইসলামপন্থীরা দাবার গুটি, মূলশক্তি নয়

প্রধান প্রতিবেদক

১. ভেতর-বাহিরের ঐক্যপ্রক্রিয়া এবং মূল সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড থেকে ইসলামপন্থীরা যোজন যোজন দূরে। ২. বিগত কয়েকটি নির্বাচনে ইসলামপন্থীরা ছিল আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের বিপরীতে উল্লেখযোগ্য একটি শক্তি, যা ইতোমধ্যেই ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গিয়েছে। ইসলামপন্থীদের বিশাল একটা অংশ এখন আওয়ামী লীগের শক্ত সমর্থক। ৩. সরকার ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ার দুর্বলতার সুযোগে ক্ষমতালোভী অনেক ইসলামপন্থী অযোগ্য যুবক-বৃদ্ধ সংসদ নির্বাচনে মাঠে নামছে। এটি ইসলামপন্থীদের সামগ্রিক ইমেজকে আরো ক্ষতিগ্রস্থ করবে বলে সবাই বলাবলি করছে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরাবরের মতো এবারও ইসলামপন্থীরা কয়েকটি শক্ত রাজনৈতিক দলের দাবার গুটি হিসেবেই ব্যবহৃত হবে। মূল শক্তি হয়ে উঠার ধারেকাছেও তারা এখনো যেতে পারেনি বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন, রাজনীতিতে একটা বিশেষ শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে গেলে কমপক্ষে এক বছর বা ছয়মাস আগেই দলের ভেতর-বাহিরের ঐক্যপ্রক্রিয়া এবং সাংগঠনিক মূল কর্মকাণ্ড শেষ করে ফেলতে হয়। তারপর শুধু প্রচার-প্রচারণা ও প্রার্থী-বাছাই। কিন্তু ইসলামপন্থীরা এসব থেকে যোজন যোজন দূরে।

তাছাড়া বিগত কয়েকটি নির্বাচনে ইসলামপন্থীরা ছিল আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের বিপরীতে উল্লেখযোগ্য একটি শক্তি, যা ইতোমধ্যেই ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গিয়েছে। ইসলামপন্থীদের বিশাল একটা অংশ এখন আওয়ামী লীগের শক্ত সমর্থক। অন্যদিকে বিভিন্ন কারণে শক্তিশালী অনেকে আবার জামায়াতকেও সমর্থন দেয়ার পথে বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে মুফতি আমিনীর গড়া ‘ইসলামী ঐক্যজোটের’ বর্তমানে কোনো জনসমর্থন বা শক্ত কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। এটি ইতোমধ্যেই ভেঙ্গে কয়েক টুকরো হয়ে গিয়েছে। আর রাজধানীতে বরিশালের প্রচুর বড় বড় ব্যবসায়ী ও জনগোষ্ঠী থাকার সুবাদে চরমোনাই পীরের ‘বাংলাদেশ ইসলামি আন্দোলন’ কখনো কখনো ঢাকার রাজনীতিতে কিছুটা আলোচনায় চলে আসে। কিন্তু সম্প্রতি মরহুম ফজলুল করিমের ছেলেদের কয়েকটি বিতর্কিত বক্তব্য এবং সামগ্রিক অদক্ষতা ভোটের রাজনীতিতে তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারছে না। তাছাড়া ‘জিকিরের মজলিস’ ও কেঁদেকেটে ওয়াজ করা ছাড়া ইসলামের বুদ্ধিবৃত্তিক ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে তাদের কোনো পদক্ষেপ নেই। যে কারণে দেশ-বিদেশ ও মিডিয়ার ইসলামবিরোধীদের কাছে তাদের ন্যূনতম গ্রহণযোগ্যতা নেই।

দেশ দর্শনের এক বিশেষ অনুসন্ধানে আরো বেরিয়ে আসে, সম্প্রতি তাবলীগের প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব-বিভক্তি এবং কওমি সনদের সরকারী স্বীকৃতি ইসলামপন্থীদের ‘ঐক্যশক্তিকে’ আরো ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে। বর্তমানে ইসলামপন্থী এবং আলেমসমাজ হিসেবে পরিচিতদের পারস্পরিক মতানৈক্য চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। অন্যদিকে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষাব্যবস্থা না আধুনিকতার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে, আর না মোকাবেলা করতে পারছে।

অনুসন্ধানে আরো দেখা যায়, সরকার ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ার দুর্বলতার সুযোগে ক্ষমতালোভী অনেক ইসলামপন্থী অযোগ্য যুবক-বৃদ্ধ সংসদ নির্বাচনে মাঠে নামছে। এটি ইসলামপন্থীদের সামগ্রিক ইমেজকে আরো ক্ষতিগ্রস্থ করবে বলে সবাই বলাবলি করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও এসব নিয়ে ট্রল হচ্ছে।

অনুসন্ধানী মন্তব্যেদন-১ (মন্তব্য ও প্রতিবেদনের সমন্বয়)

 

ক্যাটাগরি: ইসলাম,  ধর্ম-দর্শন-বিজ্ঞান,  সারাদেশ

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

One response to “নির্বাচনে ইসলামপন্থীরা দাবার গুটি, মূলশক্তি নয়”

Leave a Reply