মঙ্গলবার দুপুর ১:১১, ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

আরো দেড়শো ইসলামি দল মাঠে আসছে

প্রধান প্রতিবেদক

বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার আওয়ামী লীগও চায় নির্বাচনে প্রচুর ধর্মীয় ও অন্যান্য দল অংশ গ্রহণ করে ইতিহাস সৃষ্টি করে ফেলুক, তবে বিএনপি-জামায়াত বাদে। তাহলে সাপও মরবে, লাঠিও ভাঙবে না। এমনকি কোনো কোনো ভুঁইফোঁর দলের অঘোষিত প্রতিষ্ঠাতাও স্বয়ং সরকার।

অনুসন্ধানী মন্তব্যেদন-২ (মন্তব্য ও প্রতিবেদনের সমন্বয়)

সরকারের চরম অযোগ্যতা, হঠকারিতা এবং গৃহপালিত নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন-ব্যবস্থার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ধর্মের মুখোশ পরে আরো প্রায় দেড়শত ইসলামি দল শীঘ্রই মাঠে নামছে। এসব ভুঁইফোঁড় দলে কর্মী-সমর্থকের অভাব থাকলেও ‘নেতার’ কোনো অভাব নেই। এমনকি ইতিমধ্যেই এসব ‘নেতার’ প্রত্যেকেই আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণা করতে শুরু করেছে। অনেকে মাঠে নেমে গিয়েছে এবং পোস্টার-ব্যানার ফেস্টুনে শহর-জনপথ ও গ্রাম-গঞ্জের দেয়াল ভরপুর করে ফেলেছে।

অনুসন্ধানী মন্তব্যেদন -১ পড়ুন

বিশ্লেষকগণ মনে করছেন, এটা দীর্ঘদিন ধরে ইসলামের নামে রাজনীতি করে আসা ব্যক্তিবর্গের দুর্বলতা। তারা জনগণকে সঠিক ইসলামি বোধ ও শিক্ষা দিতে না পারারই ফল। তাই ধর্ম ও ইসলাম নিয়ে আজ ছেলেখেলা হচ্ছে ব্যাপকভাবে। এটা ফেরানোর কোনো যোগ্যতা ও সামর্থ্য বর্তমান কোনো ইসলামি দলের নেই। কারণ তারা ধর্মীয় জনমর্থন ও জন-মানসের ধর্মীয়-বোধগুলো নিজেদের ব্যক্তিগত ও ‘দলীয়’ স্বার্থে ব্যবহার করতেই অভ্যস্ত। ‘ঐক্য’ শব্দটি কোরআন-হাদিসে এবং তাদের মুখে মুখে থাকলেও ‘মনের সংবিধানে’ নেই। ‘ধর্মীয় ঐক্যের’ চুলপরিমাণ বোধ-জ্ঞান-চিন্তা ও নিজেদের মধ্যে ছাড় দেয়ার বিন্দুমাত্র মানসিকতা তাদের কারোরই নেই। এমন ব্যক্তিরাই এখন বড় বড় আলেম এবং ‘ইসলামি নেতা’। এদের পক্ষে আবার প্রচুর মাদরাসা-শিক্ষিতের সমর্থন আছে।

অন্যদিকে একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার আওয়ামী লীগও চায় নির্বাচনে প্রচুর ধর্মীয় ও অন্যান্য দল অংশ গ্রহণ করে ইতিহাস সৃষ্টি করে ফেলুক, তবে বিএনপি-জামায়াত বাদে। তাহলে সাপও মরবে, লাঠিও ভাঙবে না। এমনকি কোনো কোনো ভুঁইফোঁর দলের অঘোষিত প্রতিষ্ঠাতাও স্বয়ং সরকার। সরকার কাউকে কাউকে নতুন দল সৃষ্টিতে উৎসাহ এবং সবরকম সহযোগিতা করছে বলে জানা যায়।

এদিকে তথাকথিত যেসব ইসলামি দল আগে থেকেই মাঠে আছে, সেসব দলের হাজার হাজার প্রার্থী নিয়ে দলগুলো মহাবিপাকে। কাকে প্রার্থী দেবে আর কাকে দেবে না সে সিদ্ধান্ত অনেক ক্ষেত্রেই তারা নিতে পারছে না। ফলে এবারের নির্বাচনে অযোগ্য-ক্ষমতালোভী দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে অনেকের ধারণা। কিন্তু সরকার মনে করছে এতে ‘ইতিহাস’ সৃষ্টি হবে। নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য করতে এমনই কয়েকটি বিকল্প হাতে নিয়ে সরকার এগিয়ে যাচ্ছে।

 

ক্যাটাগরি: ইসলাম,  প্রধান খবর,  বিশেষ প্রতিবেদন

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply